জলপাইগুড়ি 9 এপ্রিল: তেলাঙ্গানা থেকে রুটিরুজির টানে এরাজ্যে এসে আটকে পড়ে পাঁচটি পরিবার। কিছুদিন আগেও শিশু ও গর্ভবতী মহিলাকে নিয়ে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে হচ্ছিল তাদের। পরে মাথার উপরে ছাদ মেলে। কিন্তু খাবার জুটছিল না। অবশেষে দুস্থ পরিবারগুলির দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন ময়নাগুড়ি থানার IC অসীম গোপ।
তেলাঙ্গানার মেহবুবনগর জেলার ভিজনাপল্লি থানার বাসিন্দা ওই পাঁচটি পরিবারের সদস্যদের হাতে আজ খাবার তুলে দেন ময়নাগুড়ি থানার IC। এরা প্রায় দশ মাস আগে তেলাঙ্গানা থেকে এরাজ্যে আসে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে চার শিশুসহ একজন গর্ভবর্তী মহিলাও রয়েছেন। পুরোনো তামা, দস্তা, কাঁসা ইত্যাদি ধাতু গলিয়ে দেবদেবীর মূর্তি বানিয়ে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে পরিবারগুলি। গত মার্চ মাসেই এদের তেলাঙ্গানায় ফেরার টিকিট কাটা ছিল। কিন্তু লকডাউনের জেরেই আটকে পড়ে। রাজারহাট ধানহাটিতে খোলা আকাশের নিচে তাঁবুতে থাকছিল মানুষগুলো। পরে স্থানীয় এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে এদের রাজারহাট গুরুচরণ বিদ্যাপীঠ স্কুলে থাকবার ব্যবস্থা হয়। তবে খাবার জুটছিল না সবদিন। সে কথা জানতে পেরে আজ ময়নাগুড়ি থানার IC অসীম গোপ নিজে এসে তেলাঙ্গানার ওই পাঁচটি পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলেন।
তেলাঙ্গানা থেকে আসা এক শ্রমিক সৈয়দ ইউনুস বলেন, "আজ পুলিশ যেভাবে সাহায্য করল তা ভোলার না । এই রাজ্যের পুলিশের সাহায্য পেয়ে ভালো লাগছে।"
অন্যদিকে ময়নাগুড়ি থানার IC অসীম গোপ বলেন, "কেউ না খেয়ে থাকবে, সে কথা জানার পর আর ঠিক থাকতে পারিনি। কর্তব্যের খাতিরেই ছুটে গেছি খাবার নিয়ে। প্রয়োজন হলে আবার সাহায্য করব।"