জলপাইগুড়ি, 10 অক্টোবর: সিকিমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে তিস্তা নদীতে প্রায়ই ভেসে আসছে বিস্ফোরক ৷ মঙ্গলবারও ভেসে আসা বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করল সেনাবাহিনী ও পুলিশ । অন্যদিকে, ভেসে আসা সেনার বিস্ফোরক কেনার অপরাধে অতুল মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে আটক করল কোতয়ালি থানার পুলিশ । তিনি ভাঙারির দোকানি বলে জানা গিয়েছে । এখনও বাড়ি বাড়ি থেকে উদ্ধার হচ্ছে সেনার বিস্ফোরক ।
এদিন জলপাইগুড়ি তিস্তার চর সুকান্তনগর ও বিবেকানন্দপল্লী এলাকায় বেশ কয়েকটি বিস্ফোরক উদ্ধার করে তা নিষ্ক্রিয় করে সেনাবাহিনীর জওয়ানরা । তিস্তা নদী থেকে পাওয়া বিস্ফোরক অনেকেই বাড়িতে নিয়ে আসেন । খবর পেয়ে কয়েকটি বাড়ি থেকে সেইসব বিস্ফোরক উদ্ধার করে আনেন জওয়ানওরা । এরপর বিস্ফোরকগুলো ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে একত্রিত করা হয় । বিবেকানন্দ পল্লীতে ধানখেতের মধ্যে থাকা বিস্ফোরক অত্যন্ত মারাত্মক অবস্থায় থাকায় সেগুলোকে ওখানে থেকে না সরিয়ে সেখানেই বালির বস্তা চাপা দিয়ে নিস্ক্রিয় করা হয় ।
আরও পড়ুন : তিস্তায় ভেসে আসা সেনাবাহিনীর যন্ত্রাংশ খুলতে গিয়ে বিপত্তি; বিস্ফোরণে মৃত 1, আহত 5
বিবেকানন্দপল্লীর বাসিন্দা রতন বিশ্বাস বলেন, "আজ খুব আশ্বস্ত হলাম । গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় সেনার বিস্ফোরক পরে থাকলেও তা উদ্ধার করা হচ্ছিল না । আজ জওয়ানরা এসে বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করে । আমরা চাই সবাই এগিয়ে আসুক এবং সেনার বিস্ফোরক যে যেখানে রেখেছে সেখান থেকে বের করে দিক । আগামিকাল বুধবার ফের সেনাবাহিনীর জওয়ানরা আসবেন বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করতে ।" এদিন কোতোয়ালি থানার পুলিশ এলাকার বাসিন্দাদের জানান কোনও বিস্ফোরক লুকিয়ে রেখে থাকলে বের করে দিন । সেনাবাহিনী তা নিস্ক্রিয় করে দেবে ।
সুকান্ত নগরের বাসিন্দা মল্লিকা মণ্ডলের কথায়, "স্থানীয় ভাঙারির ব্যবসা করে এক ব্যক্তি তিস্তায় ভেসে আসা সেনার বিস্ফোরক কিনেছিল । কোতোয়ালি থানার পুলিশ এসে তাকে নিয়ে গিয়েছে । আমাদের বাড়ির মতো তার বাড়িতেও বাচ্চা আছে ৷ এমনকাজ তিনি কীভাবে করলেন আমরা অবাক ।"
আরও পড়ুন : কে জানে কখন বিস্ফোরক উদ্ধার হবে! স্থানীয় বাসিন্দাদের তিস্তায় যেতে নিষেধ পুলিশের