জলপাইগুড়ি, 17 মে : ডেঙ্গুর আঁতুর ঘর হয়ে উঠেছে ডুয়ার্সের বাগরাকোট চা বাগান । হু হু করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে মালবাজার মহকুমার বাগরাকোট চা বাগানে । পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বাগরাকোটে যান রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তা ডা: অসিত বিশ্বাস । ডেঙ্গুতে আক্রান্তরা ওদলাবাড়ি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে, মালবাজার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন (Number of dengue cases increasing day by day in Bagrakote tea garden)।
গরম পরতেই মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হবার সংখ্যা বাড়ছে । তার মধ্যে সব থেকে চিন্তার কারণ ডেঙ্গু । মালবাজার মহকুমার বাগ্রাকোটে প্রায় 40 থেকে 50 জনের মতো মানুষ এখন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত । স্বাস্থ্য দফতর সুত্রে খবর, গত 29 এপ্রিল থেকে ডেঙ্গুর সন্ধান পাওয়া গেছে এই বাগ্রাকোট এলাকার টপ লাইন এবং বিডিআর বস্তিতে । গত কয়েকদিন থেকে এই এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনতার শিবির করা হচ্ছে । যেহেতু দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাই মঙ্গলবার সকালে বাগরাকাটের ডেঙ্গু প্রবণ এলাকা পরিদর্শন করতে আসে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরা । সঙ্গে ছিলেন মালবাজার মহকুমার স্বাস্থ্য এবং প্রশাসনের আধিকারিকেরা ।
এদিন তাঁরা এলাকা পরিদর্শন করেন, আক্রান্তদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন ৷ এরপর এলাকার একটি হল ঘরে সমস্ত স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক এবং প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন । ডিরেক্টর অফ হেলথ সার্ভিস ডা: অসিত বিশ্বাস, সিএমওএইচ ডা: অসিম হালদার, ডেপুটি সিএমওএইচ মৃণালকান্তি ঘোষ, মালবাজারের মহকুমা শাসক পিজুস সালুঙ্কে ও এলাকার অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তারা উপস্থিত ছিলেন ।
ডিরেক্টর অফ হেলথ সার্ভিস ডা: অসিত বিশ্বাস বলেন, "আমরা এলাকা পরিদর্শন করেছি । আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বললাম । বর্তমান পরিস্থিতিতে কী কী করনীয় তা স্বাস্থ্য কর্মীদের বলা হয়েছে । আক্রান্তদের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গিয়েই চিকিৎসা করাতে হবে । এলাকায় ক্যাম্প করে রক্ত পরীক্ষার পাশাপাশি জমা জল ফেলে দিতে হবে । অন্যদিকে স্প্রে করার কথা বলা হয়েছে ।"
আরও পড়ুন : North Bengal Industry Tourism : জঙ্গল-পাহাড়, চা বাগানের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে এবার ইন্ডাস্ট্রি ট্যুরিজম
স্থানীয় জেলাপরিষদের সদস্যা সেলিনা ছেত্রী বলেন, "বাগরাকোট চা বাগানে ডেঙ্গু বেড়েছে । ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দফতরের টিম ঢুকেছে । তাঁরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন । এলাকায় ফগিং করা হচ্ছে ।" মালবাজারের মহকুমা শাসক পিজুস সালুঙ্কে বলেন, "আগামিকাল থেকে বিশেষ অভিযান চালানো হবে । এলাকায় ফগিং ও লাগাতার স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির চলবে ।" স্থানীয় বাসিন্দা রুদ্র প্রধান বলেন, "2019 সালে প্রচুর মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল এই চা বাগানে । এবার আবার আক্রান্ত বাড়ছে । বাড়ি বাড়ি জ্বর নিয়ে মানুষ রয়েছে ।"