শিলিগুড়ি, 22 অক্টোবর: উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের (North Eastern Railway) তরফে চালু করা হয়েছে রেল কোচ রেস্টুরেন্ট। আপাত দৃষ্টিতে দেখলে বাইরে থেকে মনে হবে কোনও রেলের কামরা দাঁড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু ভিতরে ঢুকলেই আস্ত একটি এসি বা বাতানুকূল রেস্টুরেন্ট ৷
খাবারও মিলবে সব। ভেজ থেকে ননভেজ । ইন্ডিয়ান, সাউথ ইন্ডিয়ান থেকে চাইনিজ। দার্জিলিং চা থেকে কোল্ড ড্রিংকস। সব ধরনের মনকাড়া খাবার মিলবে ওই রেস্টুরেন্টে (Rail Coach Restaurant)। এই ধরনের কোচ রেস্টুরেন্ট এই প্রথম চালু করল রেল কর্তৃপক্ষ। তবে আপাতত ওই কোচ রেস্টুরেন্ট রয়েছে নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশনে (New Jalpaiguri Junction)। যেখানে শুধু যাত্রী বা পর্যটকরাই নয়। যে কেউ গিয়ে বসে খেতে পারবেন। পর্যটকদের জন্য সব থেকে ভালো খবর হল আগামী এক মাসের মধ্যে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের অধীনে সুকনা, তিনধারিয়া, কার্শিয়াং ও দার্জিলিংয়েও একইভাবে কোচ রেস্টুরেন্ট চালু হবে।
একইভাবে টয়ট্রেনের কামরায় বসে রেস্টুরেন্টের খাওয়ার খেতে পারবেন পর্যটকরা। মূলত যাত্রী কিংবা পর্যটকরা স্টেশনে গেলে ভালো খাবারের খোঁজে থাকেন। আর তা জন্য তাঁদের এদিক-ওদিক করতে হয়। আবার কোনওসময় ট্রেন লেট হলে আরও সমস্যা। এইসবের কথা মাথায় রেখেই কোচ রেস্টুরেন্ট তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষ। রেল কর্তৃপক্ষের তরফে একটি কামরাকে সংস্কার করে দেওয়া হয়। তারপর টেন্ডারের মাধ্যমে ওই রেস্টুরেন্ট পরিচালনার জন্য উপযুক্ত সংস্থা নিযুক্ত করা হয়। যাত্রীদের সুবিধার্তে স্টেশনে প্রবেশ কিংবা বেরনোর মুখেই তৈরি করা হয়েছে ওই কোচ রেস্টুরেন্ট।
আরও পড়ুন: 35 বছর ধরে সাইকেলে ঘুরে পরিবেশরক্ষায় সচেতনতার বার্তা শিক্ষকের
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের এডিআরএম সঞ্জয় চিলাওয়ারওয়ার বলেন, "জেনারেল ম্যানেজার অনসুল গুপ্তার মাথাতেই প্রথম এই রেল কোচ রেস্টুরেন্টের ভাবনা এসেছিল। সেই মতো আমরা কাজ করি। নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশনে প্রথম এটি তৈরি করা হল। আগামীতে পাহাড়ের স্টেশনেও একইভাবে টয়ট্রেনের কামরা দিয়ে রেস্টুরেন্ট তৈরি করা হবে। এতে একদিকে যেমন আয় বাড়বে তেমনই রেলের কামরায় বসে রেস্টুরেন্টে খাওয়া উপভোগ করতে পারবেন যাত্রীরা।"
রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার বিশ্বজিৎ জানা বলেন, "সব ধরনের খাবার থাকছে। ভারতীয় খাবার থেকে চাইনিজ, ভেজ থেকে ননভেজ সবই মিলবে।" আরেক রেস্টুরেন্ট কর্তা শিশির হালদার বলেন, "নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশনে প্রচুর যাত্রী আসা-যাওয়া করে। অনেকে হাতের কাছে রেস্টুরেন্টের খাবার চান। আর এই কনসেপ্টটাও খুব ইউনিক। আশা করি যাত্রী ও পর্যটকদের ভালো লাগবে।"
জানা গিয়েছে, রেলের পুরনো কামরাকে প্রথমে রেলের তরফেই সংস্কার করা হয়। তারপর নিযুক্ত করা হয় সংস্থা। সব মিলিয়ে 25 থেকে 30 লক্ষ টাকা খরচ করা হয়। এরপর রয়েছে অত্যাধুনিক কিচেন। সকাল ছ'টা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত খোলা থাকবে ওই রেস্টুরেন্ট। যেখানে দু'টো শিফটে 40 জন কর্মী কাজ করবেন। রেস্টুরেন্টের ভিতরে 32 জন বসতে পারবেন। কেউ চাইলে বাইরেও বসে খেতে পারবেন।
আরও পড়ুন: দোকানেই সাহিত্যচর্চা, পাগল কটাক্ষেও হার না-মানার নাম বেহালার পিন্টু