জলপাইগুড়ি, 7 মে: পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই রাজ্য-রাজনীতিতে উত্তেজনার পারদ চড়ছে ৷ রবিবার এক নির্বাচনী কর্মীসভায় শাসক শিবিরকে লক্ষ্য করে আরও একবার তোপ দাগলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহ: সেলিম। তাঁর কটাক্ষ, যে যে রাস্তা ধরে অভিষেকের তামাশা গিয়েছে সেখানেই মানুষ লাল ঝান্ডা ধরেছে।
এই প্রথম নয়, বিগত কয়েকদিন ধরেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নব জোয়ার কর্মসূচিকে কটাক্ষ করছে বিরোধী শিবির । সেই মতো রবিবার ডুয়ার্সের নাগরাকাটায় এক নির্বাচনী কর্মিসভায় উপস্থিত হয়েছিলেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির সম্পাদক মহ: সেলিম। সভা থেকে তিনি তৃণমূল ও বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করেন ৷ তাঁর কথয় ,"তৃণমূলের সঙ্গে তৃণমূলের লড়াই হচ্ছে। তৃণমূল-বিজেপির হাতে মহিলারা সুরক্ষিত নন। তৃণমূলের লোকেরা বিতশ্রদ্ধ হয়ে লাল ঝান্ডা ধরেছে ৷ মালদায় ধরেছে, মুর্শিদাবাদে ধরেছে, কোচবিহার ধরেছে, জলপাইগুড়িও ধরেছে।"
এরপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নব জোয়ার কর্মসূচিকেও কটাক্ষ করেন প্রবীণ সিপিএম নেতা ৷ তিনি বলেন, "কর্মসূচির নাম জোয়ার দেওয়া হয়েছে কিন্তু উত্তরবঙ্গের নদীতে কি জোয়ার-ভাটা হয়? ওটা সমুদ্রের ধারের নদীতে হয় ৷ সমুদ্র থেকে 100 কিলোমিটারের মধ্যে যে সমস্ত নদী রয়েছে সেগুলোতে হয়।" আসলে উত্তরবঙ্গ থেকেই নিজের কর্মসূচি শুরু করেন অভিষেক। সেই বিষয়টাকেই ঘুরপথে কটাক্ষ করলেন সেলিম।
আরও পড়ুন: উর্দি খুলে তৃণমূলের জামাটা পরিয়ে দেবে মানুষ, পুলিশকে হুঁশিয়ারি সুজনের
অন্যদিকে, মালবাজারে তৃণমূলের অন্তর্কলহ প্রকাশ্যে এসেছে। স্থানীয় ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে ধরনায় বসছেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। এ নিয়ে জোর তরজা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। সভা থেকে এই বিষয় নিয়েও কটাক্ষ করেন সিপিএমের এই প্রবীণ নেতা। তিনি বলেন, " এখন অনেকটা গান্ধীবাদী আন্দোলন চলছে। কিন্তু এরাই একে অপরকে খুন করছে। যদি বাঁচতে হয় তাহলে তৃণমূল ছাড়তেই হবে ৷ বিজেপি এবং তৃণমূলের হাতে মহিলারা যে সুরক্ষিত নন, তা মালবাজারের ঘটনাতেই প্রমাণ হয়েছে ৷
এর পাশাপাশি পাহাড়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও সরব হন সেলিম। তাঁর দাবি, গোর্খাল্যান্ডের নামে দার্জিলিং-এর মানুষকে ধোঁকা দেওয়া হয়েছে। কত সরকার এসেছে কত সরকার গিয়েছে, কত সংসদ এখান থেকে গিয়েছে । কিন্তু পাহাড়ের সমস্যার সমাধান হয়নি। উত্তরবঙ্গের সমস্যা সমাধান করতে সমস্ত স্তরের মানুষকে নিয়ে উন্নয়ন করতে হবে বলে মনে করেন সেলিম ।