জলপাইগুড়ি, 22 মার্চ: সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ রোগীর রক্তাক্ত দেহ পাওয়া গেল তিস্তা নদীর (Teesta river) চর থেকে । এটা আত্মহত্যা না খুন, ধন্ধে মৃতের পরিবার ৷ তবে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া রোগীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ছড়াল চাঞ্চল্য । হাসপাতালের পক্ষ থেকে দুই নার্স, নিরাপত্তারক্ষী, ওয়ার্ড বয়-সহ ছয়জনকে শো-কজ করা হয়েছে এই ঘটনায় ৷ এমনটাই জানিয়েছেন সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সহকারি এমএসভিপি সুরজিৎ সেন । তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করার ভাবনা মৃতের পরিবারের ।
জলপাইগুড়ি বানারহাট ব্লকের নিউ ডুয়ার্সের বাসিন্দা বিরবল গোর (52) গত 17 মার্চ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি হন । গত 18 তারিখ তিনি হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হয়ে যান । পরিবারের দাবি, তাদের রোগীর সঙ্গে একজন পরিবারের সদস্য ছিলেন । বিরবলের একটি টেস্টের রিপোর্ট নিতে সেই ব্যক্তি ওয়ার্ড থেকে বাইরে যান ৷ সেসময়ই বিরবল গোর হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হয়ে যান ৷ এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোতয়ালি থানায় একটি নিখোঁজের লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷ এরপর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের পক্ষ থেকে কোতোয়ালি থানায় নিখোঁজের অভিযোগ করা হয় । বুধবার বিরবলের পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালের মর্গে এসে বিরবল গোরের দেহ শনাক্ত করেন ।
মৃতের ছেলে কিরণ গোর বলেন, "বাবাকে অসুস্থ অবস্থায় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি করি । হাসপাতাল থেকে আমাদের বলা হয় রোগীর সঙ্গে থাকার জন্য । কিন্তু এদিকে সিকিউরিটি গার্ডরা দু'জনকে ঢুকতে দেন না । হাসপাতালে নিরাপত্তা থাকার পরেও কী করে একজন রোগী নিখোঁজ হয়ে গেল । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে ৷"
এদিকে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সহকারি এমএসভিপি চিকিৎসক সুরজিৎ সেন জানান, হাসপাতাল থেকে রোগী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় ওই বিভাগের সেই সময় দায়িত্বে থাকা দুই নার্সিং কর্মী, নিরাপত্তারক্ষী, ওয়ার্ড বয়-সহ 6 জনকে শো-কজ করা হয়েছে । রোগীর পরিবারের লোক থাকার সত্বেও কীভাবে তিনি বেরিয়ে গেলেন আমরা জবাব চেয়েছি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের কাছে । কোতয়ালি থানার আইসি অর্ঘ্য সরকার বলেন, "আমরা ঘটনা খতিয়ে দেখছি । ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে ৷"
আরও পড়ুন: জলপাইগুড়ি শহরে মহিলার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় আটক ছেলে
