ETV Bharat / state

Human Wildlife Conflict: মানুষ ও বন্যপ্রাণী সংঘাত রুখতে বুধে বনাধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে মন্ত্রীর

পশুদের সঙ্গে মানুষের সংঘাতে প্রায়ই উভয়ের কারও প্রাণহানি হচ্ছে ৷ এবার বিষয়টি রুখতে আসরে নামছেন বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা ৷ বুধবার বনাধিকারিকদের সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করবেন তিনি ৷

Etv Bharat
হাতির ছবি
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 7, 2023, 9:05 PM IST

জলপাইগুড়ি, 7 নভেম্বর: গত একমাসে উত্তরের জেলাগুলোতে হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছে 15 জনের । হাতি তাড়াতে গিয়ে তার পায়ে পদপিষ্ঠ হয়ে এক বনকর্মীও মারা গিয়েছেন ৷ উত্তরবঙ্গের মানুষ ও বন্যপ্রাণী সংঘাত রুখতে বুধবার বনাধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা । অরণ্যসাথীদের হাতে কী করে বন্দুক তুলে দেওয়া হচ্ছে তা নিয়েও আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে ।

প্রায়দিনই লোকালয়ে খাবারের লোভে বেরিয়ে আসছে হাতির দল । আর এতেই মানুষ ও বন্যপ্রাণী সংঘাত লেগেই চলেছে । আলিপুরদুয়ার থেকে শুরু করে জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং ও কোচবিহার জেলায় বুনোহাতির আক্রমণে গত এক মাসে 15 জনের ঘটনার নড়েচড়ে বসেছে বন বিভাগ । রাজ্যের বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাও বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন ।

অভিযোগ, এই মুহূর্তে হাতি তাড়াতে ঢাল নেই, তরোয়াল নেই নিধিরাম সর্দার হয়ে রয়েছে বনকর্মীরা । প্রায়দিনই হাতি তাড়াতে গিয়ে বুনোহাতির আক্রমণের কবলে পড়ছেন তাঁরা । গত শনিবার হাতি তাড়াতে গিয়ে হাতির আক্রমণের কবলে পড়েন এক বনকর্মী । হাতির আক্রমণ থেকে বাঁচতে গুলি করতে গেলেও গুলি না বের হয়নি ৷ তারপর সেখানেই বনকর্মীকে আছড়ে পিষে মারে হাতি । মান্ধাতার আমলের বন্দুক কাজ না করায় বিপাকে পড়েন ওই বনকর্মী রিথে সুব্বা (41) । পরে জানা যায় রিথে সুব্বা একজন অরণ্যসাথী । তিনি বনকর্মী নন । তাহলে প্রশ্ন উঠছে, একজন অরণ্যসাথীকে কী করে প্রশিক্ষণ ছাড়াই বন্দুক তুলে দেওয়া হল । এই ঘটনাটি ঘটে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের পশ্চিম ব্যাঙডাকি বিটের যোগেন্দ্রনগরে । 2011 সাল থেকে বারবার বনকর্মীদের নতুন হাতিয়ার ও উপকরণ দেবার কথা ঘোষণা হলেও বাস্তবায়ন হয়নি বলে অভিযোগ ।

এই বিষয়ে রাজ্যের বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন,"জলদাপাড়ার যে বনকর্মী মারা গিয়েছে তার হাতে বন্দুক ছিল । তিনি বনকর্মী না অরণ্যসাথী তা দেখা হচ্ছে । হাতি তাড়ানোর জন্য তিনি বন্দুক সঙ্গে রাখতে পারেন কি না, সেটাই দেখতে বলা হয়েছে । তাছাড়াও বন বিভাগের কর্মীদের যে বন্দুক দেওয়া হয়েছে সেই সব বন্দুকের বর্তমান অবস্থা কী তাও দেখা হচ্ছে । আমরা অত্যাধুনিক বন্দুক কেনার কথা চিন্তাভাবনা করছি ৷ বনকর্মীদের কীভাবে সুরক্ষিত রাখা যায় সেটাও আমাদের দেখতে হবে । মানুষ ও বন্যপ্রাণী সংঘাত রুখতে আমরা পরিকল্পনা করছি । বুধবার আমরা বনবিভাগের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসব । আমরা কখনওই চাই না বন্যপ্রাণীর আক্রমণে মানুষ মারা যাক বা কোনও বন্যপ্রাণী কোনওভাবে মারা যাক । মানুষকে যেমন বাঁচাতে হবে তেমনি বন্যপ্রাণীকেও বাঁচাতে হবে আমাদের ।"

জলপাইগুড়ি, 7 নভেম্বর: গত একমাসে উত্তরের জেলাগুলোতে হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছে 15 জনের । হাতি তাড়াতে গিয়ে তার পায়ে পদপিষ্ঠ হয়ে এক বনকর্মীও মারা গিয়েছেন ৷ উত্তরবঙ্গের মানুষ ও বন্যপ্রাণী সংঘাত রুখতে বুধবার বনাধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা । অরণ্যসাথীদের হাতে কী করে বন্দুক তুলে দেওয়া হচ্ছে তা নিয়েও আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে ।

প্রায়দিনই লোকালয়ে খাবারের লোভে বেরিয়ে আসছে হাতির দল । আর এতেই মানুষ ও বন্যপ্রাণী সংঘাত লেগেই চলেছে । আলিপুরদুয়ার থেকে শুরু করে জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং ও কোচবিহার জেলায় বুনোহাতির আক্রমণে গত এক মাসে 15 জনের ঘটনার নড়েচড়ে বসেছে বন বিভাগ । রাজ্যের বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাও বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন ।

অভিযোগ, এই মুহূর্তে হাতি তাড়াতে ঢাল নেই, তরোয়াল নেই নিধিরাম সর্দার হয়ে রয়েছে বনকর্মীরা । প্রায়দিনই হাতি তাড়াতে গিয়ে বুনোহাতির আক্রমণের কবলে পড়ছেন তাঁরা । গত শনিবার হাতি তাড়াতে গিয়ে হাতির আক্রমণের কবলে পড়েন এক বনকর্মী । হাতির আক্রমণ থেকে বাঁচতে গুলি করতে গেলেও গুলি না বের হয়নি ৷ তারপর সেখানেই বনকর্মীকে আছড়ে পিষে মারে হাতি । মান্ধাতার আমলের বন্দুক কাজ না করায় বিপাকে পড়েন ওই বনকর্মী রিথে সুব্বা (41) । পরে জানা যায় রিথে সুব্বা একজন অরণ্যসাথী । তিনি বনকর্মী নন । তাহলে প্রশ্ন উঠছে, একজন অরণ্যসাথীকে কী করে প্রশিক্ষণ ছাড়াই বন্দুক তুলে দেওয়া হল । এই ঘটনাটি ঘটে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের পশ্চিম ব্যাঙডাকি বিটের যোগেন্দ্রনগরে । 2011 সাল থেকে বারবার বনকর্মীদের নতুন হাতিয়ার ও উপকরণ দেবার কথা ঘোষণা হলেও বাস্তবায়ন হয়নি বলে অভিযোগ ।

এই বিষয়ে রাজ্যের বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন,"জলদাপাড়ার যে বনকর্মী মারা গিয়েছে তার হাতে বন্দুক ছিল । তিনি বনকর্মী না অরণ্যসাথী তা দেখা হচ্ছে । হাতি তাড়ানোর জন্য তিনি বন্দুক সঙ্গে রাখতে পারেন কি না, সেটাই দেখতে বলা হয়েছে । তাছাড়াও বন বিভাগের কর্মীদের যে বন্দুক দেওয়া হয়েছে সেই সব বন্দুকের বর্তমান অবস্থা কী তাও দেখা হচ্ছে । আমরা অত্যাধুনিক বন্দুক কেনার কথা চিন্তাভাবনা করছি ৷ বনকর্মীদের কীভাবে সুরক্ষিত রাখা যায় সেটাও আমাদের দেখতে হবে । মানুষ ও বন্যপ্রাণী সংঘাত রুখতে আমরা পরিকল্পনা করছি । বুধবার আমরা বনবিভাগের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসব । আমরা কখনওই চাই না বন্যপ্রাণীর আক্রমণে মানুষ মারা যাক বা কোনও বন্যপ্রাণী কোনওভাবে মারা যাক । মানুষকে যেমন বাঁচাতে হবে তেমনি বন্যপ্রাণীকেও বাঁচাতে হবে আমাদের ।"

আরও পড়ুন : নভেম্বরেই উত্তরবঙ্গে বন্যপ্রাণ রক্ষায় চালু হতে চলেছে কন্ট্রোলরুম

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.