জলপাইগুড়ি, 25 জুলাই : জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালের চুড়ান্ত অব্যবস্থার সমস্যার সমাধান করতে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসল জলপাইগুড়ি রোগী কল্যাণ সমিতি । কোভিড হাসপাতালের পরিষেবা ঠিক করতে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হল বৈঠকে ৷ কোরোনা আক্রান্তদের খাবারের মান উন্নতির জন্য প্রতিদিন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তরে খাবারের নমুনা রাখার পাশাপাশি বেড বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে ।
বেশ কয়েকদিন থেকেই অভিযোগ আসছিল জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালের ও কোরোনা রোগীদের জন্য রানীনগর সেফ হোমে পরিষেবা নিয়ে । কোভিড হাসপাতালে কোরোনা আক্রান্তরা রোগীদের মেঝেতে শুতে হচ্ছে । নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ । এমন খবর প্রকাশিত হয়েছিল ETV ভারতে । রোগীরা জল,খাবার সহ অন্যান্য সমস্যা নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন সোস্যাল মিডিয়ায়। এমনকী গতকাল সারাদিন জল না পেয়ে জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে জলের দাবিতে বিক্ষোভ করেন কোরোনা আক্রান্তরা । রোগীদের সকাল ডিম কলা পাউরুটি বদলে লুচি তরকারি দেওয়া হচ্ছিল । সেই দিক খবর প্রকাশিত হতেই নড়ে চড়ে বসল প্রশাসন ।এবার থেকে খাবারের মান দেখতে সারপ্রাইজ় ভিজ়িটও করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে ।
এদিন জলপাইগুড়ি রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান বিজয় চন্দ্র বর্মন জেলাশাসক, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক,OSD কে নিয়ে বৈঠকে বসে । বিজয় চন্দ্র বর্মন জানান, "জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালের জলের সমস্যা ও খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে । জলের সমস্যার সমাধান হয়েছে । একটা ভুল বোঝাবুঝির জন্য জলের সমস্যা হয়েছিল । আমরা বলেছি প্রতিদিন খাবারের নমুনা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তরে রাখতে হবে । স্বাস্থ্য দপ্তরের ফুড সেফটি অফিসারসহ অন্যান্যরা সারপ্রাইজ় ভিজ়িটে যাবেন । পরিষেবা কেমন তা খতয়ে দেখবেন । রানীনগরের সেফ হোমে যাতে সরকারি নির্দেশ মত যাতে খাবার দেওয়া হয় সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । জলপাইগুড়ি শহরের কনটেইনমেন্ট জ়োনে কেউ মারা গেলে সেই বাড়ির সবার সোয়াব পরীক্ষা করা হবে । গতকাল জলের একটা সমস্যা ছিল সেটা মিটে গেছে।আর যাতে কোন রকম সমস্যা না হয় সেটার দিকে নজর রাখা হবে ।
একটা সমন্বয়ের অভাবেই এই সমস্যা হচ্ছিল বলে মনে করেন বিজয় চন্দ্র বর্মন । এদিকে OSD সুশান্ত রায় বলেন, "খাবার আমরা খারাপ দিচ্ছি না ।"
এদিন জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বিজয় চন্দ্র বর্মন, জেলাশাসক অভিষেক কুমার তিওয়ারি, কোরোনা মোকাবিলার উত্তরবঙ্গের OSD ডাঃ সুশান্ত রায়,পুর্ত দপ্তরের আধিকারিক,সদর হাসপাতালের সুপার ডাঃ গয়ারাম নস্করসহ পৌরসভার আধিকারিকরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ।