জলপাইগুড়ি, 22 ডিসেম্বর: নাবালক সন্তানের সাক্ষীতে যাবজ্জীবন জেল (Life Imprisonment for Killing Wife) হল বাবার । স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে (Man sentenced to life imprisonment)। তাঁদের নাবালক সন্তানই বাবাকে দোষী সাব্যস্ত করতে সাহায্য করল । স্ত্রীকে খুনের অপরাধে ওই ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করল জলপাইগুড়ি আদালত (Jalpaiguri News)৷ এই ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে ৷
2008 সালের 16 মে নিজের বাড়িতেই স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে ভাওয়াল পাড়ার বাসিন্দা গোবিন্দচন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে । অভিযোগ, পারিবারিক বিবাদের জেরে স্ত্রী রীতা দাসকে খুন করেন তিনি । এরপর পুলিশে অভিযোগের ভিত্তিতে গোবিন্দকে গ্রেফতার করা হয় ।
জলপাইগুড়ি আদালতে সরকার পক্ষের আইনজীবী প্রতীকলাল ঝা চক্রবর্তী বলেন, গত 17/5/2008 সালে বিমলচন্দ্র দাস নামে এক ব্যক্তি ধুপগুড়ি থানায় অভিযোগ করেন গোবিন্দচন্দ্র দাসের নামে । তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর মেয়ে রীতা দাসকে রাত দেড়টার সময় কুপিয়ে হত্যা করেছেন তাঁর স্বামী গোবিন্দচন্দ্র দাস ।
আরও পড়ুন: ফরাসি শিখবে কলকাতা পুলিশ, স্বাক্ষরিত হল মউ
এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ ৷ বিভিন্ন লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে 22 জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় । জলপাইগুড়ি আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক ফাস্ট কোর্টের বিচারক রিন্টু সুর সব পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর গোবিন্দচন্দ্র দাসকে দোষী সাব্যস্ত করেন । মৃতার নাবালক সন্তানের সাক্ষীতে গোবিন্দকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে আদালত ।