জলপাইগুড়ি, 26 অক্টোবর : উত্তরবঙ্গের স্বাস্থ্য দফতরের ওএসডি (OSD) চিকিৎসক সুশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে তদন্ত দাবি করে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ জলপাইগুড়ির সমাজকর্মী। পাশাপাশি জলপাইগুড়িতে মেডিক্যাল কলেজ গড়ার দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরকালেই ওএসডির বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যসচিবকে অভিযোগ জানালেন জলপাইগুড়ির প্রবীণ সমাজসেবী ৷ জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের চক্ষু চিকিৎসক তথা উত্তরবঙ্গের স্বাস্থ্য বিভাগের ওএসডির বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থসচিবকে মেইল করে অভিযোগ জানালেন জলপাইগুড়ির সমাজসেবী সুব্রত সরকার ৷ স্বাস্থ্য দফতরে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠে এসেছে সুশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে ৷ পুত্র ও পুত্রবধূকে সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে ৷ এবার মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন সমাজকর্মী।
সুব্রতবাবু ই-মেল মারফত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছেন, চোখের ডাক্তার সুশান্ত রায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে নষ্ট করে দিচ্ছেন ৷ মুখ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যসচিবকে অভিযোগ করে তিনি লেখেন, সুশান্ত রায়ের মুল উদ্দেশ্য ক্ষমতা দখল করে অর্থ উপার্জন করা ৷ সুশান্ত রায় জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালেরর ভাল ভাল ডাক্তারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে তাঁদের চাকরি ছাড়তে বাধ্য করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী তাকে উত্তরবঙ্গের স্বাস্থ্যব্যবস্থা দেখার দায়িত্ব দিয়েছেন বলে, সুশান্ত রায় প্রচার করছেন। উত্তরবঙ্গের ৮০% ডাক্তাররা তাঁর বিরুদ্ধে ৷ সুশান্ত রায় তাঁর ছেলেকে অবৈধভাবে সদর হাসপাতালের থ্যালাসেমিয়া বিভাগে নিয়োগ করিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে।
আরও পড়ুন : স্ত্রীর গাড়িতে নীলবাতি লাগিয়ে ঘোরার অভিযোগ উত্তরবঙ্গের স্বাস্থ্য বিভাগের ওএসডির বিরুদ্ধে
সুশান্ত রায়ের ছেলের স্ত্রীকে ডাক্তারি কোয়ার্টার ব্যবহার করার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছিল ৷ এছাড়াও সুব্রতবাবুর অভিযোগ, রাজ্য সরকার জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল তৈরি করছে ৷ মুখ্যমন্ত্রী ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন ২০ একর জমিতে মেডিক্যাল কলেজ গড়ার জন্য ৷ কিন্তু সুশান্ত রায় তাঁর ক্ষমতার অপব্যবহার করে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে দুই ক্যাম্পাসে মেডিক্যাল কলেজ গড়ার প্রস্তাব পাঠান। যার কোনও যুক্তি নেই ৷ কারণ জলপাইগুড়ি শহরের জন সংখ্যা দেড় লক্ষ ৷ IMC-এর নির্দেশিকা অনুযায়ী ২৫ লক্ষের ওপর জনসংখ্যা থাকলে, তবে দুটি ক্যাম্পাসে মেডিক্যাল কলেজ হতে পারে।