জলপাইগুড়ি, 18 এপ্রিল : "আমাকে সবাই ভয় পায় কারণ আমি বিরোধীদের জমি দিতে চাই না।" বললেন জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কৃষ্ণ দাস। কৃষ্ণ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর পঞ্চায়েত এলাকায় ব্যাপক সন্ত্রাস চালিয়েছিল বলে অভিযোগ বিরোধীদের। গতকাল স্পেশাল অবজ়ারভারের কাছে কৃষ্ণকে গ্রেপ্তার বা নজরবন্দী করার দাবি করেছিল বিরোধীরা। এবিষয়ে কৃষ্ণ বলেন, "বিরোধীদের পায়ের তলার মাটি নেই এখানে। তাই আমার নামে কী করে বদনাম করা যায় আর কীভাবে নিজেদের পায়ের তলায় জমি পাওয়া যায় সেই চেষ্টা করছে বিরোধীরা। কিন্তু আমি বিরোধীদের একটুও জমি দিতে চাই না। তারা যাতে কোনওভাবে জমি তৈরি করতে না পারে সেজন্য আমি যা যা করার করব।"
কৃষ্ণ বলেন, "আমি মানুষের পাশে থাকি। আমি যেমন মানুষের পাশে থাকি মানুষও আমাদের পাশে থাকে। তাই বিরোধীরা আমাকে টার্গেট করেছে।" ভোট চলাকালীন আপনার সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী বা রাজ্য পুলিশের কোনও সমস্যা হয়েছে? উত্তরে তিনি বলেন, "আমাকে প্রচারের ক্ষেত্রে কোনও বাধা দেওয়া হয়নি। আমার কোনও অসুবিধা হয়নি। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে যেভাবে ভোট হয় আমিও সেভাবেই করেছি।"
ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে কৃষ্ণ বলেন, "কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যেও তো BJP ঘেঁষা লোক আছে। তারা একটু ভোট করানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা বাধা দিলে ওরা সরে যাবে।"
পঞ্চায়েত ভোটে অভিযোগ উঠেছিল আপনি ব্যাপক সন্ত্রাস করেছেন, সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে কৃষ্ণ বলেন, "পঞ্চায়েত, লোকসভা আর বিধানসভা ভোট পুরোপুরি আলাদা। পঞ্চায়েতে পারিবারিক, এলাকাভিত্তিক, পাড়াভিত্তিক সমস্যা থাকে। সেটা আলাদা। লোকসভা ভোটও আলাদা।"
তৃণমূলের জেতার ব্যাপারে 100 শতাংশ আশাবাদী কৃষ্ণ বলেন, "আমাকে কেন্দ্রীয় বাহিনী নজরবন্দী করবে এমন জায়গা আমি দিইনি। এমন কাজও আমি করিনি। আমি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাজ করেছি। আমি তাদের কোনও সুযোগ দিইনি। আমি সতর্ক ছিলাম।"
এরপরই সাংবাদিক প্রশ্ন করেন মাথা ঠাণ্ডা রাখতে কী করেন। উত্তরে মৃদু হেসে তিনি বলেন, "আমার মাথা গরম করার কোনও ব্যাপার নেই। আমি যখন লড়াইয়ের ময়দামে নামব তখন আমার যা যা রণকৌশল তাই করব। এটা পরিষ্কার। আর আমি ফলমূল খেয়ে বেঁচে আছি। ভাত খাই না। আমার সময় নেই শত্রুদের বিষয়ে ভাবার। আমি মানুষের কাজে ব্যস্ত থাকি।"