জলপাইগুড়ি, 24 অগস্ট: ছোটবেলা থেকেই তাঁর স্বপ্ন ছিল বিজ্ঞানী হবে ৷ আজ সেই স্বপ্ন কেবল বাস্তবের রূপই নেয়নি বরং খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে জলপাইগুড়ির কৌশিক নাগ ৷ ইসরোর বিজ্ঞানী তিনি ৷ চন্দ্রযান-3 সফল অবতরণে রয়েছে তাঁর অবদানও ৷ ছেলের সাফল্য দেখে তাই আবেগতাড়িত হয়ে পড়লেন তাঁর মা সোনালি নাগ ।
তিনি বলেন, "ছোট সোনা আমার আজ অনেক বড় হয়ে গেল । বিজ্ঞানী হয়ে গেল ৷ টিভিতে ওকে দেখা যাচ্ছে । দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনে কাজ করার সময়ই ইসরোতে কাজ করার আবেদন করেছিল ও । আমাদের আগে কিছু জানায়নি । কাগজপত্র আসার পরেই আমরা জানতে পারি ইসরোতে সুযোগ পেয়েছে । ছোটবেলার স্বপ্ন ছিল বিজ্ঞানী হবে ৷ তাই আমাদের সারপ্রাইজ দিয়েছিল ।"
বৃহস্পতিবার সংবর্ধনায় ভাসলেন বিজ্ঞানী কৌশিকের মা । ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কর্তৃপক্ষ ও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁকে সংবর্ধিত করা হয় এ দিন । এদিকে জলপাইগুড়ি গর্ভনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে হল লাড্ডু বিতরণ । লায়ন্স ক্লাব জেনেসিসের পক্ষ থেকে কলেজে গিয়ে অধ্যক্ষ অমিতাভ রায়কে জানানো হল সংবর্ধনা । জলপাইগুড়ি গর্ভনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের 6 প্রাক্তন ছাত্র চন্দ্রযান-3 এর প্রকল্পে কাজ করেছেন । তাঁর মধ্যে একজন হলেন কৌশিক নাগ ৷ কলেজের প্রাক্তন ছাত্রের এত বড় সাফল্যে তাই স্বাভাবিকভাবেই আনন্দ বাঁধ মানছে না অধ্যক্ষ থেকে শুরু করে অধ্যাপক ও ছাত্রছাত্রীদের ।
কলেজের অধ্যক্ষ অমিতাভ রায় বলেন, "চন্দ্রযান-3 এর এই সাফল্যে আমাদের অধ্যাপক শিক্ষক অশিক্ষক কর্মীদের অবদান কম নয় ৷ আমাদের কলেজের 6 জন প্রাক্তন ছাত্রের কৃতিত্বে আমরা গর্বিত । আমরা শহরের ছেলে আমাদের প্রাক্তন ছাত্র কৌশিক নাগের বাড়িতে গিয়ে তাঁর মাকে সংবর্ধিত করেছি । আমাদের কলেজের আরও ছাত্র এই প্রকল্পে ছিল কি না খোঁজ নিয়ে দেখছি ।"
আরও পড়ুন: চন্দ্রযানের প্রজেক্টে ছিলেন জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তিন প্রাক্তনী
অধ্যক্ষ জানান, 6 প্রাক্তন ছাত্রের মধ্যে সৌমিক সরখেল 2000 সালে, নিরঞ্জন কুমার 2010 সালে, মুকুন্দ কুমার ঠাকুর 2010 সালে ৷ অমরনাথ নন্দী 1997 সালে, সুজয় দলুই 2004 সালে এবং কৌশিক নাগ 2015 সালে জলপাইগুড়ি গর্ভনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে পাস করেছেন ৷ তাঁরা সকলে চন্দ্রাভিযানের অংশ । তিনি বলেন, "জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে যাদের আমরা তৈরি করেছি তারা আমাদের গর্বিত করল । 6 জনের মধ্যে মেকানিকাল বিভাগের 4 জন, কম্পিউটার সায়েন্স ও ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ার একজন ।"