জলপাইগুড়ি, 26 অগস্ট: ছেলেধরা ও চোর নিয়ে গুজব খবর, তার জেরে মারধরের ঘটনার পরেই সচেতেনতা মূলক প্রচারে নামল জেলা পুলিশ। ইতিমধ্যেই আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলার পুলিশ প্রচারে নেমেছে। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকের মাধ্যমে চলছে প্রচার। প্রায়শই জেলার বিভিন্ন এলাকায় চোর, ছেলেধরা সন্দেহে আটকে রেখে পুরুষ বা মহিলাদের হেনস্তা করা হচ্ছে। কোথাও কোথাও আবার উত্তেজিত জনতা মারধরও করছে। এমন পরিস্থিতিতে সত্যতা যাচাই করে খবর পরিবেশন করার অনুরোধ করলেন জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার ৷
গতকাল, শুক্রবার সন্ধ্যায় জুড়াপানিতে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে এক মহিলাকে উদ্ধার করে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। জানা যায়, জুড়াপানি ফুলবাড়ি মোড়ে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। সন্ধ্যার পর স্থানীয়দের তাঁকে এলাকায় একাধিকবার ঘোরাফেরা করতে দেখে সন্দেহ হয়। ওই মহিলাকে ঘিরে ধরে তাঁর নাম, বাড়ির ঠিকানা জিজ্ঞাসা করলে তিনি একাধিকবার ভিন্ন রকম উত্তর দেন। এতেই সন্দেহ আরও গাঢ় হয় স্থানীয়দের।
তাঁকে আটক রেখে বেশ কিছু লোকজন। খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকার লোকজন ভিড় জমান। মহিলার কথায় অসঙ্গতি দেখা দেওয়ায় এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে মারধোর করে বলে অভিযোগ ৷ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এলাকায় ৷ পরবর্তীতে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ এসে সেই মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় ৷ জলপাইগুড়ির জেলা পুলিশ সুপার খান্ডবাহালে উমেশ গণপত জানান, গতকাল সালবাড়িতে এক মহিলাকে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ খবর পেয়ে উদ্ধার করেন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
তিনি আরও জানান, এরপর খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, তাঁর বাড়ি আলিপুরদুয়ারের শামুকতলায়। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। প্রায়ই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতেন তিনি। হাসপাতালে চিকিৎসার পর তাঁর বাবার হাতে ওই মহিলাকে তুলে দেওয়া হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের কাছে পুলিশ সুপার অনুরোধ জানান, কোনওরকম ভুল খবরের ভিত্তিতে পরিবেশন না-করাই ভালো । এতে করে গুজব ছড়াচ্ছে। ফলে সত্যতা যাচাই করার পর খবর করা হোক ৷
আরও পড়ুন: চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে ব্যক্তির মৃত্যু ! পরিবার-সহ পলাতক মূল অভিযুক্ত