জলপাইগুড়ি, 2 অগস্ট : "আমি কোনও এফআইআর লিখিনি ৷ আমি পড়িওনি। জন দাদাকে বদনাম করতে আমাকে ব্যবহার করা হয় । কয়েকজন মহিলা সেখানে ছিলেন তাঁরাই কাউকে দিয়ে লিখিয়ে নিয়ে এই কাজ করান ৷ ওরা বলেছিল আমার সঙ্গে এই বিষয়ে রফা করে নেবে ৷ কিন্তু আমি চাই না কাউকে জবরদস্তি ফাঁসাতে ৷ সাংসদ জন বারলা কোনও আর্থিক প্রতারণা করেননি । জন দাদা আমাকে সাহায্য করেছেন । তাঁর বিরুদ্ধে আমার কোনও অভিযোগ নেই ৷" জন বারলার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ নিয়ে এমনই বললেন অভিযোগকারিণী মহিলা ।
সাংসদ জন বারলার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ না থাকলেও তাঁর আপ্ত সহায়ক অডিপ ভুজেল, সাংসদ ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় চৌধুরী ও সন্তোষ প্রসাদ তাঁকে হেনস্থা করেন বলে জানান অভিযোগকারিণী মহিলা ৷ এমনকি তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন ওই মহিলা ৷ এভাবে অভিযোগকারিণী মহিলা বক্তব্য পালটে দেওয়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে ডুয়ার্সে ।
প্রসঙ্গত, 28 জুলাই বানারহাট থানার অন্তর্গত এক মহিলা বানারহাটেরই ব্যবসায়ী জয়চাঁদ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ আনেন । ন্যায় চাইতে বিজেপি সাংসদ জন বারলার কাছে গেলে তিনি সহযোগিতা না করে উল্টে আর্থিক প্রতারণা করেন বলে সাংসদ-সহ তাঁর আপ্ত সহায়ক অডিপ ভুজেল, সাংসদ ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় চৌধুরী ও সন্তোষ প্রসাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানান ওই মহিলা ৷
আরও পড়ুন : জন বারলা সহ চারজনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ
অভিযোগকারিণী মহিলা বলেন, "আমি মহিলা সমিতির কাছে গিয়েছিলাম ন্যায় পাওয়ার জন্য । আমাকে বলা হয়েছিল জয়চাঁদ আগরওয়ালের সঙ্গে আলোচনায় বসে আমার ও আমার বাচ্চার একটা রফা করে দেবে । কিন্তু এমন ঘটনা ঘটবে বুঝতে পারিনি । আমি চাপে পড়ে এটা করেছি ৷ এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি । আমি থানাতে কেস করার পর আমার সঙ্গে অপরাধীর মতো আচরণ করা হয়েছে ৷"
তিনি আরও বলেন, "কারও বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করলে এমনভাবে রাখা হবে ভাবতেই পারিনি । আমি আমার বাচ্চাকে নিয়ে না খেয়ে ছিলাম । আমাদের খেতেও দেওয়া হয়নি । জন দাদার কাছে আমি সাহায্য চাইতে গিয়েছিলাম ৷ আমাকে তিনি সাহায্য করেছেন ৷ তার সঙ্গে আমার কোনও লড়াই বা ঝগড়া নেই ৷ কিন্তু সঞ্জয় চৌধুরী ও অডিপ ভুজেল আমার উপর অত্যাচার করে । এমনকি আমাকে প্রাণে মারারও চেষ্টা করে ।"