জলপাইগুড়ি, 5 সেপ্টেম্বর : বিয়ের মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু যুবতির । অতিরিক্ত পণ না দেওয়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পুড়িয়ে মেরেছে, অভিযোগ মৃতের পরিবারের । রাজগঞ্জের কালিনগর এলাকার ঘটনা ।
মাস পাঁচেক আগে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের জহুরি তালমা এলাকার নরেন বিশ্বাসের মেয়ে নম্রতার সঙ্গে রাজগঞ্জের কালিনগরের মহাদেব বালার ছেলে জয়দেবের বিয়ে হয় । যুবতির পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই বাইকসহ অতিরিক্ত পণের দাবিতে যুবতির উপর অত্যাচার শুরু করে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ।
মৃতের বাবা বলেন, "বিয়ের সময় জামাইকে সোনার চেন, আসবাবপত্র-সহ প্রায় 4 লাখ টাকার জিনিস দেওয়া হয় । কিন্তু, আরও পণের দাবিতে মেয়ের উপর ওর স্বামীসহ পরিবারের সবাই শারীরিক অত্যাচার করত ।" বৃহস্পতিবার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁর মেয়ের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করে নরেন বিশ্বাস । তিনি বলেন, "মেয়ে গায়ে আগুন দিয়েছে ও উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি বলে আমাদের জানানো হয় । সেখানে গিয়ে দেখি ওর অবস্থা আশঙ্কাজনক । সেখান থেকে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে গতকাল রাতে মারা যায় ।"
জামাই জয়দেব ও তার পরিবারের সকলের বিরুদ্ধে রাজগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন নরেন বিশ্বাস । ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা । তদন্ত শুরু করেছে রাজগঞ্জ থানার পুলিশ।