জলপাইগুড়ি,1সেপ্টেম্বর : কো মর্বিডিটি রুখতে গ্রামে গ্রামে সমীক্ষা চালাবে স্বাস্থ্যদপ্তর। অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে আক্রান্ত রোগীরা কোরোনা পজিটি়ভ হয়ে মারা যাচ্ছে ৷ এবার থেকে এই সকল রোগীদের নিয়ে সমীক্ষা চালাবে স্বাস্থ্যদপ্তর।গ্রামে গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে আশাকর্মী ও স্বাস্থ্য কর্মীরা খোঁজ নেবেন কোরোনা ছাড়া অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে কোন কোন রোগী বাড়িতে আছেন। জলপাইগুড়িতে এসে এই কথা জানালেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী। অনেকেই সচেতন নন তাই তারা চিকিৎসা নিতে আসছেন না।
আজ জলপাইগুড়িতে এসে কোভিড হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা। জলপাইগুড়ির স্বাস্থ্য পরিষেবা খতিয়ে দেখতে আসেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সহ তিন আধিকারিক।এদিন বিকেলে ন্যাশনাল হেলথ মিশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৌমিত্র মোহন,স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী ও ডাইরেক্টর মেডিকেল এডুকেশন দেবাশিস ভট্টাচার্য জলপাইগুড়িতে আসেন। এদিন সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে কোভিড হাসপাতালে পরিদর্শনে যান এই বিশেষ পরিদর্শন দলটি। এরপর জলপাইগুড়ি সার্কিট হাউসে বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা। বৈঠক শেষে অজয় চক্রবর্তী বলেন," কোরোনা চিকিৎসায় জলপাইগুড়ি ভালো কাজ করছে। কিন্তু কো মর্বিডিটি কমাতে আমরা উদ্যোগ নিচ্ছি। খুব বেশি করে টেস্ট বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। হাসপাতালে বেশি করে পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এখানে মানুষের মৃত্যুর হার কম। পুরনো রোগী হাসপাতালে আসেন তাহলে কিভাবে চিকিৎসা দেওয়া হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের পরিষেবা নেবার জন্য মানুষ আসছেন না। ভয় পাচ্ছেন সেই ভয় কাটাতে হবে। কো মর্বিডিটি চিহ্নিতকরণ করতে চাইছি।তাদের কোভিড হলে মৃত্যুর হার বেশি হবে। সেটা আমরা দেখব ।জলপাইগুড়িতে একটা ল্যাব হবে, সেটা দেখে গেলাম কোথায় করা যেতে পারে। "
সার্কিট হাউকে এদিন বৈঠকে জেলাশাসক অভিষেককুমার তিওয়ারি, পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব সহ ভারপ্রাপ্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রুন্দ্র কুমার ঈশ্বরী সহ কোরোনা মোকাবিলার উত্তরবঙ্গের OSD সুশান্ত রায় উপস্থিত ছিলেন ।