জলপাইগুড়ি, 13 এপ্রিল: ডিজিটাল লেনদেনের ফলে অস্তিত্ব সংকটে হালখাতা । খাতা ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত। বাঙালি ব্যবসায়ীদের পয়লা বৈশাখ মানেই হালখাতা। পয়লা বৈশাখে ব্যবসায়ীরা গণেশ পুজো করে থাকেন (Halkhata Ceremony Crisis) । আর এই পুজোয় প্রধান জিনিসই হল হালখাতা। আগে পয়লা বৈশাখে হালখাতার পসরা সাজিয়ে বসে থাকতেন বিক্রেতারা। কিন্তু বর্তমানে নিয়ম রক্ষার জন্য হালখাতা কেনা হয়। শুধুমাত্র পুজোতে দেবার জন্যই এই খাতার প্রয়োজন হয়। খুব কমই আজকাল এই হালখাতা ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করে থাকেন।
আরও পড়ুন : Social Sector of KMC : করোনা কমায় শুরু হচ্ছে প্রশিক্ষণ, এবার কাজের ব্যবস্থাও করবে কলকাতা পৌরনিগম
হালখাতা ব্যবসায়ী মহম্মদ আবিদ হোসেন জানান, আমি দীর্ঘ 44 বছর ধরে এই ব্যবসা করে আসছি। আগের মত ব্যবসা আর নেই । হালখাতা আগের মত বিক্রি নেই। এখন কম্পিউটার ও ডিজিটাল লেনদেনের জন্য হালখাতার কদর কমে গিয়েছে । কতদিন এই হালখাতা থাকবে তা নিয়ে সন্দিহান তিনি। তিনি আরও জানান, আগের মত খাতাতে হিসেব অনেকেই রাখেন না। এখন ডিজিটালের যুগ। তাই নিয়ম রক্ষার জন্য শুধুমাত্র একটি খাতা পুজোর জন্য নিয়ে যান ব্যবসায়ীরা।
হালখাতা ব্যবসায়ী আমজাদ আলি জানান, আমরা জলপাইগুড়িতে আসি হালখাতা বিক্রি করার জন্য। কিন্তু আগেত মত আর ব্যবসা নেই। এখন ডিজিটাল মাধ্যমে কেনা-বেচা বেশি চলছে। তাই হালখাতার কদর কমেছে। কতদিন এইভাবে চলবে বুঝতে পারছি না।
জলপাইগুড়ির ব্যবসায়ী পিঙ্কু ভৌমিক জানান, পয়লা বৈশাখে পুজোর জন্য একটা খাতা নিলাম। এখন হালখাতার দরকার খুব একটা পড়ে না। কিছু কিছু হিসেব রাখা হলেও আগের মত খাতার প্রয়োজন নেই। পুজোর জন্য একটা খাতাই নিলাম।