জলপাইগুড়ি, 9 নভেম্বর : জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন নদীতে বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরার কাজ করে যাচ্ছেন কিছু অসাধু ব্যাক্তি ৷ ফলে ক্রমাগত কমছে বেশ কিছু বিরল প্রজাতির মাছ ৷ বহু বার জলপাইগুড়ির বেশ কিছু এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে ৷ ব্যবসায়িকদের ক্ষণিকের লাভের জন্য বিপন্নের মুখে পড়ছে বহু প্রজাতির মাছ ৷
নদীতে বিষ প্রয়োগের ফলে মাছের মড়ক দেখা গেছে বেশ কয়েকবার ৷ 2011 সালের নভেম্বরে মূর্তি নদীতে বিষ প্রয়োগে মাছের মড়ক সংবাদ শিরোনামে এসেছিল৷ কয়েকদিন আগেই জলঢাকা নদীতে 27 অক্টোবর ও গতকাল ফের একবার বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধারার ঘটনা সামনে আসে ৷ ফলে প্রায় 2 কুইন্টাল মাছ মারা গেছে বলে মৎস্য দপ্তর সূত্রে খবর ৷ জলঢাকা, ডায়না ও মূর্তি নদীর সংযোগ স্থলে পানবাড়ি নৌকা বিহার সংলগ্ন এলাকায় মরা মাছ ভেসে উঠেছে । স্থানীয় নদীর অন্যতম মাছ বোরোলি, পুঁটি, চিংড়ি , চাঁদা এমন কী কাঁকড়াও ভেসে ওঠে । এরপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন ৷
পুলিশ ও বন দপ্তরকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ ৷ বনভূমির মধ্যে প্রবাহিত হওয়া নদীগুলিতে বন দপ্তরকে বেশি করে নজরদারি চালানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে মৎস্য দপ্তরের পক্ষ থেকে ৷ এছাড়াও বেশ কিছু সচেতনতা মূলক পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে মৎস্য দপ্তরের তরফ থেকে ৷ সচেতেনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অসাধু উপায়ে মাছ ধরা বন্ধ করার জন্য উদ্যোগী হচ্ছে মৎস দপ্তর ।