ETV Bharat / state

Bhandani Puja 2023: নেই মহিষাসুর, বাহন বাঘ! বিষাদের সুরের মাঝেই একদিনের দুর্গাপুজোয় মাতল বার্নিশ গ্রাম - Bhandani Puja

Goddess Durga Worshipped as Bhandani: মা দুর্গার আরেক রূপ হল ভাণ্ডানী ৷ বার্নিশ গ্রামে একাদশীর দিন উমা পূজিত হয়ে আসছেন ভাণ্ডানী রূপে । জেনে নিন এই পুজো শুরুর ইতিহাস ৷

Bandhani Puja
ভাণ্ডানী
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 25, 2023, 7:18 PM IST

জলপাইগুড়ি, 25 অক্টোবর: একাদশীর দিনে দেবী দুর্গা বার্নিশ গ্রামে পূজিত হন মা ভাণ্ডানী রূপে । একদিন কৃষকরা তাঁদের সুখ-সমৃদ্ধির জন্য পুজো করে থাকেন মা’কে । মর্তে পূজিত হওয়ার পর উমা পাড়ি দেন কৈলাসে ৷ ঘরে ফিরে যাওয়ার সময় মা পূজিত হন কৃষকদের হাতে । চারিদিকে যখন বিষাদের আবহ, তখন উত্তরবঙ্গের গ্রামে শোনা যায় বোধনের সুর । জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি বার্নিশ এলাকায় দেখা মেলে এই ছবির ৷ এখানে মায়ের মূর্তির সঙ্গে মহিষাসুর থাকে না । পাশাপাশি মা দুর্গার বাহন হিসেবে সিংহ নয়, মা ভাণ্ডানীর বাহন হিসেবে দেখা যায় বাঘকে । বার্নিশ গ্রাম ছাড়াও জেলার বেশ কিছু অন্য গ্রামেও সমৃদ্ধির দেবী ভাণ্ডানীর পুজোকে ঘিরে ফের উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে ৷

শুধু রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষই নয়, বর্তমানে ভাণ্ডানী পুজোকে ঘিরে উৎসবে মেতে ওঠে গ্রাম বাংলার সর্বধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষজন । কথিত আছে, দেবী দুর্গার অপররূপ ভাণ্ডানীকে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ বনাঞ্চলের বাসিন্দারা পুজো করেন 'বনদুর্গা রূপে' । উত্তরবঙ্গের বনাঞ্চলেও তাই দেবী দুর্গার বিসর্জনের পর এক উৎসবের শেষে আরেক উৎসব শুরু হয়ে যায় । কথিত আছে, বিসর্জনের পর বাপের বাড়ি থেকে এই বার্নিশ গ্রাম দিয়ে কৈলাসে যাচ্ছিলেন দেবী দুর্গা ৷ সেই সময় এলাকার কৃষকরা মা দুর্গাকে একরাত তাদের গ্রামে থেকে যেতে বলেন ৷ কারণ গ্রামে প্রচণ্ড অভাব-অনটন । তখন মা দুর্গা তাদের অনুরোধ রাখেন এবং এই বার্নিশ গ্রামে একরাত কাটিয়ে যান ৷ একাদশীর দিন গ্রামের মানুষের কাছ থেকে পুজো নিয়ে কৈলাসের পথে রওনা দেন তিনি ।

গ্রামবাসীদের আতিথ্যে তুষ্ট হয়ে দেবী গ্রাম বাংলার মানুষের শস্যের ভান্ডার সর্বদা পূর্ণ থাকবার বর দিয়ে যান । সেই থেকেই দেবী ভাণ্ডানী পুজোর সূচনা বার্নিশ গ্রামে । এরপর থেকেই নাকি গ্রামের অভার-অনটন দূর হয়ে যায় । বিগত প্রায় 500 বছর ধরে বার্নিশ গ্রামে মা ভাণ্ডানীর পুজো হয়ে আসছে । একাদশীর দিন ভোররাত থেকে হাজার হাজার মানুষ পুজো দেওয়ার জন্য লম্বা লাইন দেন । মা ভাণ্ডানীর কাছে নাকি কিছু মানত করলে সেটা সফল হয় ৷ এমনটাই দাবি বার্নিশ গ্রামে বাসিন্দাদের । একদিনের পুজোকে কেন্দ্র করে বিশাল মেলা বসে এখানে ।

আরও পড়ুন: 'ঠাকুর থাকবে কতক্ষণ...' বিদায়ের সুরেই বাবুঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন

ময়নাগুড়ির বার্নিশ গ্রামপঞ্চায়েতের সামনে ভাণ্ডারী গ্রামে প্রতিবছরের মত এ বছরও একাদশীর দিন মহাধূমধাম করে পূজিত হন মা ভাণ্ডানী । উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা আসেন পুজো দিতে । সমগ্র ডুয়ার্স তথা উত্তরবঙ্গ জুড়ে ভাণ্ডানী পুজো হলেও প্রায় পাঁচশো বছরের পুরনো এই গ্রামের পুজো উপলক্ষ্যে ভক্তরা নিবেদন করে পায়রা ও পাঁঠা । বছরের এই একটি দিন জনসমুদ্রের চেহারা নেয় ময়নাগুড়ির এই বার্নিশ গ্রাম ।

জলপাইগুড়ি, 25 অক্টোবর: একাদশীর দিনে দেবী দুর্গা বার্নিশ গ্রামে পূজিত হন মা ভাণ্ডানী রূপে । একদিন কৃষকরা তাঁদের সুখ-সমৃদ্ধির জন্য পুজো করে থাকেন মা’কে । মর্তে পূজিত হওয়ার পর উমা পাড়ি দেন কৈলাসে ৷ ঘরে ফিরে যাওয়ার সময় মা পূজিত হন কৃষকদের হাতে । চারিদিকে যখন বিষাদের আবহ, তখন উত্তরবঙ্গের গ্রামে শোনা যায় বোধনের সুর । জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি বার্নিশ এলাকায় দেখা মেলে এই ছবির ৷ এখানে মায়ের মূর্তির সঙ্গে মহিষাসুর থাকে না । পাশাপাশি মা দুর্গার বাহন হিসেবে সিংহ নয়, মা ভাণ্ডানীর বাহন হিসেবে দেখা যায় বাঘকে । বার্নিশ গ্রাম ছাড়াও জেলার বেশ কিছু অন্য গ্রামেও সমৃদ্ধির দেবী ভাণ্ডানীর পুজোকে ঘিরে ফের উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে ৷

শুধু রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষই নয়, বর্তমানে ভাণ্ডানী পুজোকে ঘিরে উৎসবে মেতে ওঠে গ্রাম বাংলার সর্বধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষজন । কথিত আছে, দেবী দুর্গার অপররূপ ভাণ্ডানীকে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ বনাঞ্চলের বাসিন্দারা পুজো করেন 'বনদুর্গা রূপে' । উত্তরবঙ্গের বনাঞ্চলেও তাই দেবী দুর্গার বিসর্জনের পর এক উৎসবের শেষে আরেক উৎসব শুরু হয়ে যায় । কথিত আছে, বিসর্জনের পর বাপের বাড়ি থেকে এই বার্নিশ গ্রাম দিয়ে কৈলাসে যাচ্ছিলেন দেবী দুর্গা ৷ সেই সময় এলাকার কৃষকরা মা দুর্গাকে একরাত তাদের গ্রামে থেকে যেতে বলেন ৷ কারণ গ্রামে প্রচণ্ড অভাব-অনটন । তখন মা দুর্গা তাদের অনুরোধ রাখেন এবং এই বার্নিশ গ্রামে একরাত কাটিয়ে যান ৷ একাদশীর দিন গ্রামের মানুষের কাছ থেকে পুজো নিয়ে কৈলাসের পথে রওনা দেন তিনি ।

গ্রামবাসীদের আতিথ্যে তুষ্ট হয়ে দেবী গ্রাম বাংলার মানুষের শস্যের ভান্ডার সর্বদা পূর্ণ থাকবার বর দিয়ে যান । সেই থেকেই দেবী ভাণ্ডানী পুজোর সূচনা বার্নিশ গ্রামে । এরপর থেকেই নাকি গ্রামের অভার-অনটন দূর হয়ে যায় । বিগত প্রায় 500 বছর ধরে বার্নিশ গ্রামে মা ভাণ্ডানীর পুজো হয়ে আসছে । একাদশীর দিন ভোররাত থেকে হাজার হাজার মানুষ পুজো দেওয়ার জন্য লম্বা লাইন দেন । মা ভাণ্ডানীর কাছে নাকি কিছু মানত করলে সেটা সফল হয় ৷ এমনটাই দাবি বার্নিশ গ্রামে বাসিন্দাদের । একদিনের পুজোকে কেন্দ্র করে বিশাল মেলা বসে এখানে ।

আরও পড়ুন: 'ঠাকুর থাকবে কতক্ষণ...' বিদায়ের সুরেই বাবুঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন

ময়নাগুড়ির বার্নিশ গ্রামপঞ্চায়েতের সামনে ভাণ্ডারী গ্রামে প্রতিবছরের মত এ বছরও একাদশীর দিন মহাধূমধাম করে পূজিত হন মা ভাণ্ডানী । উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা আসেন পুজো দিতে । সমগ্র ডুয়ার্স তথা উত্তরবঙ্গ জুড়ে ভাণ্ডানী পুজো হলেও প্রায় পাঁচশো বছরের পুরনো এই গ্রামের পুজো উপলক্ষ্যে ভক্তরা নিবেদন করে পায়রা ও পাঁঠা । বছরের এই একটি দিন জনসমুদ্রের চেহারা নেয় ময়নাগুড়ির এই বার্নিশ গ্রাম ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.