ETV Bharat / state

অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ, জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে ধরা পড়ল 4 রোহিঙ্গা

নামতে চেয়েছিল নিউ জলপাইগুড়িতে । কিন্তু স্টেশনের নাম একইরকম হওয়ায় ভুল করে নেমে পড়ে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে । আর তাতে আনন্দ বিহার এক্সপ্রেস মিস করে RPF-র হাতে ধরা পড়ল 4 রোহিঙ্গা ।

4 রোহিঙ্গা
author img

By

Published : Jul 29, 2019, 5:30 AM IST

Updated : Jul 30, 2019, 4:40 AM IST

জলপাইগুড়ি, 29 জুলাই : নামতে চেয়েছিল নিউ জলপাইগুড়িতে । কিন্তু স্টেশনের নাম একইরকম হওয়ায় ভুল করে নেমে পড়ে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে । আর তাতেই RPF-র হাতে ধরা পড়ল চার রোহিঙ্গা । ভেস্তে গেল দু'জনের বিয়ের পরিকল্পনাও । জানা গেছে, তারা বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে । NJP স্টেশন থেকে তাদের দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল ।

গতকাল জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে মহম্মদ রফিক (২০), আনোয়ারা বেগম (১৮), দিলদার বেগম (১৮) এবং ইয়াসমিন আরা নামে চার রোহিঙ্গাকে আটক করে RPF । তুলে দেয় জলপাইগুড়ি GRP-র হাতে । তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায়, তারা আদতে মায়ানমারের নাগরিক হলেও 2017 সালে বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে গিয়ে থাকে । সেখান থেকেই ভারত-বাংলাদেশ আখাউড়া সীমান্ত পেরিয়ে ত্রিপুরায় ঢোকে তারা । তারপর সেখান থেকে ট্রেন ধরে আসে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে । রফিক আনোয়ারা ও বাকি দু'জনকে নিয়ে দিল্লিতে যাচ্ছিল । সেখানেই দিদির কাছে স্থায়ীভাবে বসবাস করার পরিকল্পনা করেছিল । রফিক আনোয়ারাকে বিয়ে করত এবং দুই বোন দিলদার ও ইয়াসমিনের বিয়ে দিত ।

জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে রোহিঙ্গা ধরা পড়ার খবর জানাজানি হতেই রাজ্য ও কেন্দ্রের গোয়েন্দা আধিকারিকরা একে একে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে তাদের । মহম্মদ রফিক জানায়, বাংলাদেশে রোজগারের তেমন সুযোগ ছিল না । তাই সে বাংলাদেশের শরণার্থী শিবির থেকে চলে এসেছে । টাকার অভাবে নিজের বিয়ে ও বোনেদের বিয়েও দিতে পারছিল না । দিল্লির আনন্দ বিহারের নুর স্টেশনের কাছে আরও রোহিঙ্গা আছে । সেখানে তার দিদি রাইজুমার বেগম থাকেন । ওখানে গিয়েই রোজগার করে বিয়ে করার পরিকল্পনা ছিল তার । তাই 24 তারিখ কক্সবাজারে কাটুপালং শরণার্থী শিবির থেকে সড়ক পথে কুমিল্লায় আসে । 26 জুলাই (শুক্রবার) একজনের সাহায্য নিয়ে কুমিল্লা থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের ত্রিপুরায় ঢোকে । ওইদিন রাতেই আগরতলা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ধরে NJP স্টেশনে নামার কথা ছিল । সেখান থেকে আনন্দ বিহার এক্সপ্রেসে দিল্লি যেত । কিন্তু ভুল করে নিউ জলপাইগুড়ির বদলে নেমে পড়ে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে ।

অবৈধ ভাবে ভারতে ঢোকায় GRP তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে ।

জলপাইগুড়ি, 29 জুলাই : নামতে চেয়েছিল নিউ জলপাইগুড়িতে । কিন্তু স্টেশনের নাম একইরকম হওয়ায় ভুল করে নেমে পড়ে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে । আর তাতেই RPF-র হাতে ধরা পড়ল চার রোহিঙ্গা । ভেস্তে গেল দু'জনের বিয়ের পরিকল্পনাও । জানা গেছে, তারা বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে । NJP স্টেশন থেকে তাদের দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল ।

গতকাল জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে মহম্মদ রফিক (২০), আনোয়ারা বেগম (১৮), দিলদার বেগম (১৮) এবং ইয়াসমিন আরা নামে চার রোহিঙ্গাকে আটক করে RPF । তুলে দেয় জলপাইগুড়ি GRP-র হাতে । তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায়, তারা আদতে মায়ানমারের নাগরিক হলেও 2017 সালে বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে গিয়ে থাকে । সেখান থেকেই ভারত-বাংলাদেশ আখাউড়া সীমান্ত পেরিয়ে ত্রিপুরায় ঢোকে তারা । তারপর সেখান থেকে ট্রেন ধরে আসে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে । রফিক আনোয়ারা ও বাকি দু'জনকে নিয়ে দিল্লিতে যাচ্ছিল । সেখানেই দিদির কাছে স্থায়ীভাবে বসবাস করার পরিকল্পনা করেছিল । রফিক আনোয়ারাকে বিয়ে করত এবং দুই বোন দিলদার ও ইয়াসমিনের বিয়ে দিত ।

জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে রোহিঙ্গা ধরা পড়ার খবর জানাজানি হতেই রাজ্য ও কেন্দ্রের গোয়েন্দা আধিকারিকরা একে একে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে তাদের । মহম্মদ রফিক জানায়, বাংলাদেশে রোজগারের তেমন সুযোগ ছিল না । তাই সে বাংলাদেশের শরণার্থী শিবির থেকে চলে এসেছে । টাকার অভাবে নিজের বিয়ে ও বোনেদের বিয়েও দিতে পারছিল না । দিল্লির আনন্দ বিহারের নুর স্টেশনের কাছে আরও রোহিঙ্গা আছে । সেখানে তার দিদি রাইজুমার বেগম থাকেন । ওখানে গিয়েই রোজগার করে বিয়ে করার পরিকল্পনা ছিল তার । তাই 24 তারিখ কক্সবাজারে কাটুপালং শরণার্থী শিবির থেকে সড়ক পথে কুমিল্লায় আসে । 26 জুলাই (শুক্রবার) একজনের সাহায্য নিয়ে কুমিল্লা থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের ত্রিপুরায় ঢোকে । ওইদিন রাতেই আগরতলা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ধরে NJP স্টেশনে নামার কথা ছিল । সেখান থেকে আনন্দ বিহার এক্সপ্রেসে দিল্লি যেত । কিন্তু ভুল করে নিউ জলপাইগুড়ির বদলে নেমে পড়ে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে ।

অবৈধ ভাবে ভারতে ঢোকায় GRP তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে ।

Intro:জলপাইগুড়িঃঃ একটা ষ্টেশনের নামের ভুলেই বিয়ে করা হল না রফিক আর আনোয়ারার।ইচ্ছে ছিল প্রেমীকাকে দিল্লীতে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করবে।এবং দিল্লীতে রোজগার করে বোনেদেরও বিয়ে দেবে। কিন্তু তা আর হল না।তার আগেই ধরা পরে গেল রোহিঙ্গা রফিক। নিউ জলপাইগুড়ি আর জলপাইগুড়ি রোড এই নামটাই গন্ডগোল পাকিয়ে দিল।RPF এর হাতে ধরা পরে গেল মায়ানমারের ৪ রোহিঙ্গা। Body:জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে রোহিঙ্গা ধরা পরার খবর চাউর হতেই রাজ্য ও কেন্দ্রের গোয়েন্দা এজেন্সিরা একে একে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে ৪ জন রোহিঙ্গাদের। মহম্মদ রফিক জানিয়েছেনতারা মায়ানমারের রেঙ্গুন জেলার শাবাজার এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। ২০১৭ সালে মায়ানমার থেকে লক্ষাধিক মানুষকে বিতারিত করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে তারাও ছিল। আশ্রয় নিয়েছিল বাংলাদেশের কক্সবাজারে কাটুপালং শরনার্থী শিবিরে । রফিকের জানিয়েছে সেখানে কাজ করে রোজগারের তেমন সুযোগ ছিল না তাই সে বাংলাদেশের শরনার্থী শিবির থেকে চলে এসেছে। টাকার অভাবে নিজের বিয়ে ও বোনেদের বোনদের বিয়েও দিতে পারছিল না। রফিকের আরও জানিয়েছে দিল্লীর আনন্দ বিহারের নুর স্টেশনের কাছে আরও রোহীঙ্গা আছে।সেখানে তার দিদি রাইজুমার বেগম থাকেন। সেখানে গিয়ে কাজ করে টাকা অয়সা রোজগার করে নিজে বিয়ে করে দিলদার বেগম (১৮) এবং ইয়াসমিন আরা বোনের বিয়ে দিতেন।তাই আগরতলা থেকে দিল্লীর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে ছিল জানাা গেছে ২৪ তারিখ কক্সবাজারে কাটুপালং শরনার্থী শিবির থেকে সড়ক পথে কুমিল্লায় আসে। ২৬ জুলাই একজনের সাহায্য নিয়ে কুমিল্লা থেকে ভারত বাংলাদেশের মধ্যে আখাউড়া সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের ত্রিপুরায় রাজ্যে ঢোকে চারজন। ২৬ তারিখ রাতেই আগরতলা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ধরে এনজেপি ষ্টেশনে নামার কথা ছিল।
বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় তারপর আগরতলা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে এনজেপি নেমে সেখান থেকে আনন্দ বিহার এক্সপ্রেসে দিল্লী যাবার কথা ছিল তাদের। কিন্তু ভুল করে নিউ জলপাইগুড়ির জায়গায় জলপাইগুড়ি রোড ষ্টেশনে নেমে পরে তারা।Conclusion:চারজনকে জিজ্ঞাসা বাদের জানা যায় তারা প্রায় দুই বছর ধরে বাংলাদেশে শরনার্থী শিবিরে রয়েছে। তারা মায়ানমারের বাসিন্দা।অবৈধ ভাবে ভারতে ঢোকার অপরাধে এখন GRP আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে।
আরপিএফ GRP এর হাতে চারজনকে তুলে দিয়েছে।

জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন আর পি এফ মহম্মদ রফিক ( ২০), আনোয়ারা বেগম (১৮), দিলদার বেগম (১৮) এবং ইয়াসমিন আরা নামে চার জন কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে রোহীঙ্গার পরিচয় পায়। । মহহ্মদ রফিক কে জেরা করে রফিক জানায় আনোয়ারা বেগম, রফিকের স্ত্রী কিন্তু পরে জানায় সে তাকে বিয়ে করতে নিয়ে যাচ্চছিল। বাকি দুই যুবতী রফিকের বোন। এরা সকেলেই মায়ানমারের বাসিন্দা হলেও গত দুই বছর থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজারে কিটুপালং শরনার্থী শিবিরে থাকতো। এও জানা গেছে রফিক এর আগেও একবার দিল্লীতে এসেছিল, কার ওয়াশিং এর কাজ করত। কাশ্মীরেও দুই মাস ছিল।এবার ভেবেছিল নিজে বিয়ে করে, বোনেদের বিয়ে দিয়ে পাকাপাকি ভাবে দিল্লীতে থাকবে আর রোজগার করবে।



Last Updated : Jul 30, 2019, 4:40 AM IST

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.