জলপাইগুড়ি, 29 জুলাই : নামতে চেয়েছিল নিউ জলপাইগুড়িতে । কিন্তু স্টেশনের নাম একইরকম হওয়ায় ভুল করে নেমে পড়ে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে । আর তাতেই RPF-র হাতে ধরা পড়ল চার রোহিঙ্গা । ভেস্তে গেল দু'জনের বিয়ের পরিকল্পনাও । জানা গেছে, তারা বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে । NJP স্টেশন থেকে তাদের দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল ।
গতকাল জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে মহম্মদ রফিক (২০), আনোয়ারা বেগম (১৮), দিলদার বেগম (১৮) এবং ইয়াসমিন আরা নামে চার রোহিঙ্গাকে আটক করে RPF । তুলে দেয় জলপাইগুড়ি GRP-র হাতে । তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যায়, তারা আদতে মায়ানমারের নাগরিক হলেও 2017 সালে বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে গিয়ে থাকে । সেখান থেকেই ভারত-বাংলাদেশ আখাউড়া সীমান্ত পেরিয়ে ত্রিপুরায় ঢোকে তারা । তারপর সেখান থেকে ট্রেন ধরে আসে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে । রফিক আনোয়ারা ও বাকি দু'জনকে নিয়ে দিল্লিতে যাচ্ছিল । সেখানেই দিদির কাছে স্থায়ীভাবে বসবাস করার পরিকল্পনা করেছিল । রফিক আনোয়ারাকে বিয়ে করত এবং দুই বোন দিলদার ও ইয়াসমিনের বিয়ে দিত ।
জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে রোহিঙ্গা ধরা পড়ার খবর জানাজানি হতেই রাজ্য ও কেন্দ্রের গোয়েন্দা আধিকারিকরা একে একে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে তাদের । মহম্মদ রফিক জানায়, বাংলাদেশে রোজগারের তেমন সুযোগ ছিল না । তাই সে বাংলাদেশের শরণার্থী শিবির থেকে চলে এসেছে । টাকার অভাবে নিজের বিয়ে ও বোনেদের বিয়েও দিতে পারছিল না । দিল্লির আনন্দ বিহারের নুর স্টেশনের কাছে আরও রোহিঙ্গা আছে । সেখানে তার দিদি রাইজুমার বেগম থাকেন । ওখানে গিয়েই রোজগার করে বিয়ে করার পরিকল্পনা ছিল তার । তাই 24 তারিখ কক্সবাজারে কাটুপালং শরণার্থী শিবির থেকে সড়ক পথে কুমিল্লায় আসে । 26 জুলাই (শুক্রবার) একজনের সাহায্য নিয়ে কুমিল্লা থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের ত্রিপুরায় ঢোকে । ওইদিন রাতেই আগরতলা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ধরে NJP স্টেশনে নামার কথা ছিল । সেখান থেকে আনন্দ বিহার এক্সপ্রেসে দিল্লি যেত । কিন্তু ভুল করে নিউ জলপাইগুড়ির বদলে নেমে পড়ে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে ।
অবৈধ ভাবে ভারতে ঢোকায় GRP তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে ।