জলপাইগুড়ি, 7 অক্টোবর: কৃত্রিমভাবে নদীতে বাঁধ দেওয়ায় এই বিপত্তি দেখা দিয়েছে । যার ফলে আচমকা আসা হড়পা বানে মৃত্যু হয়েছে 8 জনের । এই অভিযোগ এনে মালবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান ও মাল মহকুমাশাসকের দফতরের বিরুদ্ধে মাল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন মৃতা এক মহিলার স্বামী তথা এক শিশুর বাবা (FIR Against Mal Municipality and SDO) । ওইদিনের ঘটনায় স্ত্রী এবং পুত্রকে হারিয়ে অভিযোগকারী দিলীপ পণ্ডিতের দাবি, দোষীদের কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে ।
তাঁর দাবি, গত 5 তারিখে মাল শহরের বাসিন্দা দিলীপ পণ্ডিতের স্ত্রী বিভাদেবী পণ্ডিত (28) এবং পুত্র অংশ পণ্ডিত (7) মাল নদীর ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন দেখতে যায় । হঠাৎ করে হড়পা বান এসে 2 জনকেই ভাসিয়ে নিয়ে যায় ৷ এরপরে স্ত্রী ও সন্তানের মৃতদেহ উদ্ধার হয় । দিলীপবাবুর অভিযোগ, নদীতে কৃত্রিম ভাবে বাঁধ দেওয়ার কারণেই এই দুর্ঘটনা হয়েছে ৷ পাশাপাশি এর জন্য দায়ী মালবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান ও মাল মহকুমা শাসকের দফতর-সহ বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা । এদের শাস্তির দাবি করে মাল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন দিলীপ পণ্ডিত ।
আরও পড়ুন: জলপাইগুড়ির ঘটনায় শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর, দুর্ঘটনার দায় কার ? উঠছে প্রশ্ন
প্রসঙ্গত, দশমীর দিন রাতে জলপাইগুড়ির মালবাজারের মাল নদীতে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের সময় হড়পা বানে বহু মানুষকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় ৷ অধিকাংশকে উদ্ধার করা গেলেও 8 জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে ৷ 13 জন আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৷ তবে, কেউ নিখোঁজ রয়েছে কি না, তা এখনও প্রশাসনের তরফে জানানো হয়নি ৷ এই ঘটনায় মাল নদীর গতিপথ বদল করার অভিযোগ উঠেছে ৷ আর সেই কারণেই হড়পা বান ভয়াবহ রূপ ধারণ করে বলে অভিযোগ ৷ যদিও, সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক ৷
জেলাশাসক জানিয়েছিলেন, ওই জলাশয়ের মধ্যেই বিসর্জন চলছিল ৷ কিন্তু, স্থানীয়ভাবে মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণেই হড়পা বান চলে আসে ৷ আর ওই কৃত্রিম জলাশয়ের মধ্যে দিয়ে জল ঢুকে লোকজনদের ভাসিয়ে নিয়ে যায় ৷ তবে, এ ক্ষেত্রে নদীর গতিপথ বদল বা অন্য কোনও কারণে নদীর মাঝে বাঁধ দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছিলেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা ৷