ETV Bharat / state

বাধা এলেও পড়াশুনো চালাতেই হবে, বন্ধ চা-বাগানের পড়ুয়াদের পরামর্শ জেলাশাসকের - স্কুল ছুট

DM Visit Tea Garden: চা বাগান থেকে অনেক ছাত্রছাত্রী বাইরে কাজে চলে যাচ্ছে । স্কুলছুটের সংখ্যাই প্রায় 60-70 জন। তাদের স্কুলে ফেরার বার্তা দিলেন জেলাশাসক ৷

DM Visit Tea Garden
জেলাশাসক শামা পারভিন
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 11, 2024, 1:48 PM IST

Updated : Jan 11, 2024, 7:28 PM IST

স্কুল ছুট পড়ুয়াদের সঙ্গে জেলাশাসক শামা পারভিন

জলপাইগুড়ি, 11 জানুয়ারি: বন্ধ চা-বাগান। পড়াশোনায় উৎসাহ কমছে পড়ুয়াদের। বেড়েই চলেছে স্কুলছুটের সংখ্যা। সমাধানের আশার আলো নিয়ে বন্ধ চা-বাগানে পৌঁছলেন জেলাশাসক শামা পারভিন। স্কুল ছুট পড়ুয়াদের সঙ্গে বললেন তিনি ৷ বন্ধ রায়পুর চা-বাগানের স্কুল ছুট পড়ুয়াদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন নিজের জীবন-যুদ্ধের কথা ৷ এই চা-বাগানের পডুয়ারাও তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পেরে আপ্লুত ৷ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ এই চা-বাগান ৷ এই পরিস্থিতিতে এলাকায় স্কুল ছুট পড়ুয়ার সংখ্যা যে বেশি হবে তা আর আলাদা করে বলে দিতে হয় না ৷ সম্প্রতি এই সমস্ত পডুয়ার সমস্যা জানতে পৌঁছে গিয়েছিলেন জেলাশাসক শামা পারভিন ৷

চা-বাগানের পড়ুয়াদের সঙ্গে জীবনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে জেলাশাসক শামা পারভিন জানান, তাঁর পরিবারের অবস্থাও ভালো ছিল না ৷ তিনিও নিয়মিত স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা করতে পারেননি ৷ অন্য কোনও শিক্ষকও ছিলেন না ৷ তার মধ্যেও পড়াশোনা করেছেন ৷ সাফল্য পেয়েছেন ৷ তাই জীবনে যে পরিস্থিতিই হোক না কেন বা যত বাধাই আসুক না কেন পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবেই ৷ তাঁর কথায়, "আমি রেলের ক্লার্কের চাকরি করতে করতে পড়াশোনা করেছি। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ছিলাম হিন্দি মিডিয়ামেই। স্নাতক হয়েছি মুক্ত মহাবিদ্যালয় থেকে। পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি।"

জেলাশাসক আরও বলেন, "রায়পুর চা বাগানটি পরিত্যক্ত। আমরা খবর পেয়েছি, ছাত্রছাত্রীদের একটা বড়ই অংশ পড়া ছেড়ে দিয়েছে। আমরা তাদের পড়ানোর ব্যবস্থা করছি। যাঁদের বয়স 18 বছরের বেশি তাঁদের উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পের মাধ্যমে কম্পিউটার ট্রেনিং থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর ফলে চাকরি পেতে তাঁদের সুবিধে হবে।"


রায়পুর চা বাগানের শ্রমিক তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান প্রধান হেমব্রম বলেন, "আমাদের চা বাগান থেকে অনেক ছাত্রছাত্রীরা বাইরে কাজে চলে যাচ্ছে । 60-70 জন স্কুলছুট হয়ে গিয়েছে। জেলাশাসক এসে তাদের পড়াশোনার ব্যাপারে উৎসাহ দেন। এই উদ্যোগে আমরা খুশি।" ছাত্র লাট্টূ মুন্ডা জানয়, জেলাশাসক আমাদের পড়ানোর ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছেন।

দীর্ঘদিন থেকেই জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের রায়পুর এই চা বাগানটি এই অবস্থায় পড়ে আছে। চা বাগানের মালিক কোথায় আছেন তা কেউ জানে না । জেলাপ্রশাসন বাগানটি ঠিক করে পরিচালনা করার জন্য বললেও কাজের কাজ হয়নি। একপ্রকার বাধ্য হয়েই রায়পুর চা বাগানের মালিকের লিজ বাতিল করতে সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে। এরই মধ্যে পড়ুয়াদের স্কুলে ফেরার বার্তা দিলেন জেলাশাসক।

আরও পড়ুন:

  1. পুজোর মুখে বন্ধ উত্তরের 7টি চা-বাগান, বিপাকে শ্রমিকরা
  2. বিজেপিই পারে চা বাগান শ্রমিকদের দুর্দশা মেটাতে, অ্যাম্বুল্যান্স ইস্যুতে মন্তব্য শুভেন্দুর
  3. চা-বাগান থেকে উদ্ধার মহিলার পচাগলা দেহ

স্কুল ছুট পড়ুয়াদের সঙ্গে জেলাশাসক শামা পারভিন

জলপাইগুড়ি, 11 জানুয়ারি: বন্ধ চা-বাগান। পড়াশোনায় উৎসাহ কমছে পড়ুয়াদের। বেড়েই চলেছে স্কুলছুটের সংখ্যা। সমাধানের আশার আলো নিয়ে বন্ধ চা-বাগানে পৌঁছলেন জেলাশাসক শামা পারভিন। স্কুল ছুট পড়ুয়াদের সঙ্গে বললেন তিনি ৷ বন্ধ রায়পুর চা-বাগানের স্কুল ছুট পড়ুয়াদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন নিজের জীবন-যুদ্ধের কথা ৷ এই চা-বাগানের পডুয়ারাও তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পেরে আপ্লুত ৷ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ এই চা-বাগান ৷ এই পরিস্থিতিতে এলাকায় স্কুল ছুট পড়ুয়ার সংখ্যা যে বেশি হবে তা আর আলাদা করে বলে দিতে হয় না ৷ সম্প্রতি এই সমস্ত পডুয়ার সমস্যা জানতে পৌঁছে গিয়েছিলেন জেলাশাসক শামা পারভিন ৷

চা-বাগানের পড়ুয়াদের সঙ্গে জীবনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে জেলাশাসক শামা পারভিন জানান, তাঁর পরিবারের অবস্থাও ভালো ছিল না ৷ তিনিও নিয়মিত স্কুলে গিয়ে পড়াশোনা করতে পারেননি ৷ অন্য কোনও শিক্ষকও ছিলেন না ৷ তার মধ্যেও পড়াশোনা করেছেন ৷ সাফল্য পেয়েছেন ৷ তাই জীবনে যে পরিস্থিতিই হোক না কেন বা যত বাধাই আসুক না কেন পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবেই ৷ তাঁর কথায়, "আমি রেলের ক্লার্কের চাকরি করতে করতে পড়াশোনা করেছি। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ছিলাম হিন্দি মিডিয়ামেই। স্নাতক হয়েছি মুক্ত মহাবিদ্যালয় থেকে। পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি।"

জেলাশাসক আরও বলেন, "রায়পুর চা বাগানটি পরিত্যক্ত। আমরা খবর পেয়েছি, ছাত্রছাত্রীদের একটা বড়ই অংশ পড়া ছেড়ে দিয়েছে। আমরা তাদের পড়ানোর ব্যবস্থা করছি। যাঁদের বয়স 18 বছরের বেশি তাঁদের উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পের মাধ্যমে কম্পিউটার ট্রেনিং থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর ফলে চাকরি পেতে তাঁদের সুবিধে হবে।"


রায়পুর চা বাগানের শ্রমিক তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান প্রধান হেমব্রম বলেন, "আমাদের চা বাগান থেকে অনেক ছাত্রছাত্রীরা বাইরে কাজে চলে যাচ্ছে । 60-70 জন স্কুলছুট হয়ে গিয়েছে। জেলাশাসক এসে তাদের পড়াশোনার ব্যাপারে উৎসাহ দেন। এই উদ্যোগে আমরা খুশি।" ছাত্র লাট্টূ মুন্ডা জানয়, জেলাশাসক আমাদের পড়ানোর ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছেন।

দীর্ঘদিন থেকেই জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের রায়পুর এই চা বাগানটি এই অবস্থায় পড়ে আছে। চা বাগানের মালিক কোথায় আছেন তা কেউ জানে না । জেলাপ্রশাসন বাগানটি ঠিক করে পরিচালনা করার জন্য বললেও কাজের কাজ হয়নি। একপ্রকার বাধ্য হয়েই রায়পুর চা বাগানের মালিকের লিজ বাতিল করতে সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে। এরই মধ্যে পড়ুয়াদের স্কুলে ফেরার বার্তা দিলেন জেলাশাসক।

আরও পড়ুন:

  1. পুজোর মুখে বন্ধ উত্তরের 7টি চা-বাগান, বিপাকে শ্রমিকরা
  2. বিজেপিই পারে চা বাগান শ্রমিকদের দুর্দশা মেটাতে, অ্যাম্বুল্যান্স ইস্যুতে মন্তব্য শুভেন্দুর
  3. চা-বাগান থেকে উদ্ধার মহিলার পচাগলা দেহ
Last Updated : Jan 11, 2024, 7:28 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.