জলপাইগুড়ি, 6 অগস্ট: বাবার মৃত্যুর পর দেহ আগলে রেখেছিলেন। মায়ের মৃত্যুর পরেও একই কাণ্ড ঘটালেন মেয়ে। পচা গন্ধ বের হতেই রবিবার স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ বাড়িতে ঢুকে দেখে মায়ের পচনশীল দেহ মেয়ে পাহারা দিচ্ছে। পরবর্তীতে তারা দেহটি উদ্ধার করে ৷ জলপাইগুড়ি শহরের কলেজ পাড়ার এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মৃত মহিলার নাম অঞ্জলি কর্মকার (65) ৷
মৃত অঞ্জলি কর্মকারের ভাইপো অমিত কর্মকার বলেন, "জেঠুর মৃত্যুর পর দিদি অনিন্দিতা কর্মকার ও জেঠিমা অঞ্জলি কর্মকার থাকত ওই বাড়িতে ৷ আত্মীয়স্বজন কারও সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছিল না। খাবার দিলেও তারা নিত না। একইভাবে গতবছর আমার জেঠু অজিত কর্মকার মারা গিয়েছিল।মারা যাওয়ার পর মৃতদেহ আগলে রাখা হয়েছিল। এবারও জেঠি মারা যেতেও একই ঘটনা ঘটল ৷ দুর্গন্ধ বেরোচ্ছিল ৷ দেহ আগলে রেখেছিল দিদি অনিন্দিতা কর্মকার। সে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ৷"
আরও পড়ুন: হাওড়ার পর পুরুলিয়া, সাত দিন ধরে ছেলের দেহ আগলে মা
তিনি আরও বলেন, "জেঠিমা অসুস্থ ছিল ৷ এর আগেও আমরা জেঠিমার চিকিৎসা করানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু লাভ হয়নি। এদিন কোতোয়ালি থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে বাড়িতে ঢুকে দেখে বাথরুমে মৃতদেহে পোকা ধরে গিয়েছে।" জলপাইগুড়ি পৌরসভার 21 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারকনাথ দাস বলেন, "এলাকায় সকাল থেকেই গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। বাড়ির ভিতর ঢুকে দেখা যাচ্ছে বাথরুমের পাশে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন অঞ্জলি কর্মকার। মা'কে মৃত অবস্থায় আগলে রেখে বাড়িতেই ছিল মেয়ে। একই বাড়িতে পরপর একই ঘটনা। গতবছর 18 অগস্ট বাড়ির মালিক অজিত কর্মকারের মৃতদেহ একইভাবে আগলে রেখেছিল মেয়েটি। এবার মা মারা যাওয়াতে একই ঘটনা ৷ মনে করা হচ্ছে, বেশ কয়েকদিন আগেই মারা গিয়েছে অঞ্জলি কর্মকার। বিষয়টা আমাদের ভাবাচ্ছে।"
আরও পড়ুন: মায়ের পচাগলা দেহ আগলে বসে ছেলে, দুর্গন্ধে টিকতে না-পেরে থানায় প্রতিবেশীরা