জলপাইগুড়ি, 15 জুন: গ্রামপঞ্চায়েত নির্বাচনে সব আসনে প্রার্থী দেওয়াটাই বড় চ্যালেঞ্জ সিপিএম-এর কাছে। বাস্তবে প্রার্থী পাচ্ছে না সিপিএম। জলপাইগুড়ি জেলা সিপিএম-এর গড় বলে পরিচিত থাকলেও মনোনয়ন দেওয়ার নিরিখে এখনও পর্যন্ত সিপিএমের অবস্থান তৃতীয় স্থানে। প্রার্থী না-পাওয়ায় সব আসনে মনোনয়ন দেওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে চিন্তিত বাম শিবির। এদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে বিজেপি। তবে শেষ দিনে কতটা রান তুলতে পারে শাসকদল সেই দিকেও নজর সবার।
গ্রামপঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন আজ, বৃহস্পতিবার। একদিনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রায় 60 শতাংশ মনোনয়ন জমা করতে পেরেছে। 80টি গ্রামপঞ্চায়েত এই এলাকায় রয়েছে 1 হাজার 701টি আসন ৷ 14 জুন পর্যন্ত সিপিএম মনোনয়ন জমা করেছে গ্রামপঞ্চায়েতের 882টি আসনে, পঞ্চায়েত সমিতির 141টি আসনে, জেলা পরিষদের 15টি আসনে মনোনয়ন জমা করেছে ৷ শেষ দিনে বাকি আসনে মনোনয়ন দেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বর্ধমানের হোটেলে মন্ত্রী অরূপের সঙ্গে বৈঠকে পুলিশকর্তা, টুইটে দাবি শুভেন্দুর
এদিকে বিজেপি মনোনয়ন জমা করেছে 1 হাজার 701টি আসনের মধ্যে গ্রামপঞ্চায়েতে 1 হাজার 526টি, পঞ্চায়েত সমিতির 238টি আসনের মধ্যে 231টি ও জেলা পরিষদের 26টি'তে। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস গ্রামপঞ্চায়েতে 1 হাজার 210টি আসনে, পঞ্চায়েত সমিতির 158টি আসনে ও জেলা পরিষদের 8টি আসনে মনোনয়ন জমা করে। কংগ্রেস, গ্রামপঞ্চায়েতে 194টি আসনে, পঞ্চায়েত সমিতির 26টি আসন, জেলা পরিষদ 8টি আসনে মনোনয়ন দিয়েছে। নির্দল গ্রামপঞ্চায়েতে 208টি আসনে, পঞ্চায়েত সমিতির 41টি আসনে ও জেলাপরিষদের 4টি আসনে মনোনয়ন জমা করে।
সিপিএম-এর জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক সলীল আচার্য জানান, কত বেশি আসনে প্রার্থী দেওয়া যায় সেই চেষ্টায় আছি আমরা। আমরা কোনও আসন ফাঁকা রাখতে চাইছি না। ঐক্যবদ্ধভাবেই নির্বাচন করব আমরা। এদিকে সিপিএম নেতা জামিনার আলি বলেন, "আমরা 80 শতাংশ আসনে প্রার্থী দিয়েছি। জেলাজুড়ে 70 শতাংশ প্রার্থী দিয়েছি। আমাদের লোক আতঙ্কিত। আমাদের প্রার্থীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। আমরা প্রার্থী দিতে পারছি না মানে এই নয় যে আমাদের বুথে লোক বা ভোট নেই। এবার গ্রামপঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদে আমরাই নির্ণায়ক ভূমিকায় আসব ৷" বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, "আমরা আমাদের মনোনয়ন দেবার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারব। সিপিএম নীতি আদর্শ বলে কিছু নেই। মানুষ সব বোঝে তাই প্রার্থী পাচ্ছে না।"
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে সুফিয়ান প্রার্থী হতেই দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝোলাল তৃণমূলই