জলপাইগুড়ি, 29 জুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আর 9 দিন বাকি ৷ বিজেপিতে যোগ দিলেন সিপিএম প্রার্থী ৷ ভোটের আগে বাম প্রার্থীর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ঘটনায় স্বভাবত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়িতে ৷ সূত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের অন্তর্গত অরবিন্দ গ্রামপঞ্চায়েতের 17/40 নং বুথের সিপিআই(এম) প্রার্থী মামনি সরকার বিজেপিতে যোগ দান করেন ৷ প্রার্থীর দাবি, তৃণমূলকে পরাজিত করতে হলে বিজেপিই বিকল্প ৷ বাম দলে থেকে তা সম্ভব নয় ৷ তাই তিনি গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন ৷
মামনি সরকারের সঙ্গে 50টি পরিবার সিপিএম ও তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন ৷ এদিন বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামীর হাত থেকে বিজেপির পতাকা তুলে নেন মামনি সরকার ৷ অন্যদিকে ময়নাগুড়িতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বিজেপিতে যোগদান করলেন শতাধিক মানুষ ৷
বিদ্রোহী তৃণমূল কর্মীরা গেরুয়া শিবিরে এসেই শাসকদলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হন ৷ বিজেপি নেতা চঞ্চল সরকার তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন ৷ বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, "বাম প্রার্থী আজ আমাদের দলে যোগ দিয়েছে ৷" তিনি জানান, ওই বাম প্রার্থীর উদ্দেশ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলকে পরাজিত করা ৷ তবে সিপিএমে থেকে তৃণমূলকে যে হারানো যাবে না, তা বুঝতে পেরেছেন দলত্যাগী সিপিএম প্রার্থী ৷ তাই তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন । এদিকে মামনি সরকারের দাবি, "তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই ৷ তৃণমূল কংগ্রেসকে হারাতে হলে বিজেপি ছাড়া উপায় নেই তাই বিজেপিতে যোগ দিলাম ৷"
আরও পড়ুন: 'দোষী' বিডিওদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে কমিশন, আশ্বস্ত করলেন রাজীবা
ময়নাগুড়ি ব্লকের দোমহনী 2 নং গ্রাম পঞ্চায়েতের 16/60 নং বুথের বৌলবাড়িতে এই যোগদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয় ৷ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় তৃণমূল অঞ্চলের ছাত্র কমিটির সভাপতি ছিলেন শ্রীবাস চন্দ ৷ তিনি 2021 সালে দল থেকে অঞ্চল সভাপতি-সহ বেশ কয়েকজনকে দল বিরোধী তকমা দিয়ে দলের কাজকর্ম থেকে সরিয়ে দেন ৷ ফলে দীর্ঘদিন দলে সক্রিয় ছিলেন না ওই কর্মীরা ৷ এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ক্ষুব্ধ তৃণমূল যুব নেতারা বিজেপিতে যোগদান করলেন ৷ এদিন প্রায় 23টি তৃণমূল পরিবারের শতাধিক কর্মী বিজেপিতে যোগ দেয় ৷