ETV Bharat / state

7 বছর পর খুলল CPI(M)-র পার্টি অফিস - Jalpaiguri

CPI(M) নেতাদের অভিযোগ, তাঁদের পার্টি অফিসে হামলা চালিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস । তারপর থেকেই সেটি বন্ধ ছিল । সাত বছর পর আবার সেই পার্টি অফিস খোলা হল ।

CPI(M)-র পার্টি অফিস
author img

By

Published : Jul 7, 2019, 3:43 AM IST

জলপাইগুড়ি, 7 জুলাই : এককালে ছিল বাম দুর্গ । 2011 সালে রাজ্যে পালাবদলের বদলে যায় চিত্রটা । স্থানীয় CPI(M) নেতাদের বক্তব্য, তৃণমূল কংগ্রেসের দাপটে পার্টি অফিসে তালা ঝোলাতে হয় । লোকসভা নির্বাচনের পর রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয় । জলপাইগুড়ি আসনটি হাতছাড়া হয় তৃণমূলের । শক্তি বাড়ে গেরুয়া শিবিরের । আর পালে হাওয়া পেয়ে সাত বছর পর আবার জলপাইগুড়ির কুকুরজান গ্রামে পার্টি অফিস খুলল CPI(M) ।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া কুকুরজান গ্রাম পঞ্চায়েত বাম দুর্গ হিসেবে পরিচিত ছিল । জমি, কৃষক ও খেতমজুরদের আন্দোলনের সাক্ষী থেকেছে এই কুকুরজান । কিন্তু, 2011 সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর ফাটল ধরে বাম দুর্গে । CPI(M) নেতাদের অভিযোগ, রাজ্যে পালাবদলের পর এলাকায় সন্ত্রাস চালাতে থাকে তৃণমূল । বাম সমর্থকদের উপর হামলা চালানো হয় । একের পর এক বাড়িতে ভাঙচুর করা হয় । আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় । এলাকায় ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ে CPI(M) । ইতিমধ্যে 2011 সালের 20 ডিসেম্বর CPI(M)-র পার্টি অফিসে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে । তারপর থেকেই তা বন্ধ ছিল ।

লোকসভা নির্বাচনের পর এলাকায় তৃণমূলের দাপট হ্রাস পায় । পায়ের তলায় মাটি পেয়ে পার্টি অফিস সংস্কারের কাজ শুরু করে CPI(M) । সংস্কার শেষে গতকাল পার্টি অফিসটি খোলা হয় । পরে স্থানীয় CPI(M) নেতা সলিল আচার্য বলেন, "গরিব মানুষের ঐক্য, সংহতি ও সম্প্রীতি নষ্টের মরিয়া চেষ্টা করছে দক্ষিণপন্থীরা । সেই প্রচেষ্টা রুখতে আমাদের আরও বেশি সজাগ থাকতে হবে । ওদের (দক্ষিণপন্থী) বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবেই মানুষকে সঙ্গে নিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের গতি বাড়াতে হবে ।"

জলপাইগুড়ি, 7 জুলাই : এককালে ছিল বাম দুর্গ । 2011 সালে রাজ্যে পালাবদলের বদলে যায় চিত্রটা । স্থানীয় CPI(M) নেতাদের বক্তব্য, তৃণমূল কংগ্রেসের দাপটে পার্টি অফিসে তালা ঝোলাতে হয় । লোকসভা নির্বাচনের পর রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয় । জলপাইগুড়ি আসনটি হাতছাড়া হয় তৃণমূলের । শক্তি বাড়ে গেরুয়া শিবিরের । আর পালে হাওয়া পেয়ে সাত বছর পর আবার জলপাইগুড়ির কুকুরজান গ্রামে পার্টি অফিস খুলল CPI(M) ।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া কুকুরজান গ্রাম পঞ্চায়েত বাম দুর্গ হিসেবে পরিচিত ছিল । জমি, কৃষক ও খেতমজুরদের আন্দোলনের সাক্ষী থেকেছে এই কুকুরজান । কিন্তু, 2011 সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর ফাটল ধরে বাম দুর্গে । CPI(M) নেতাদের অভিযোগ, রাজ্যে পালাবদলের পর এলাকায় সন্ত্রাস চালাতে থাকে তৃণমূল । বাম সমর্থকদের উপর হামলা চালানো হয় । একের পর এক বাড়িতে ভাঙচুর করা হয় । আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় । এলাকায় ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ে CPI(M) । ইতিমধ্যে 2011 সালের 20 ডিসেম্বর CPI(M)-র পার্টি অফিসে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে । তারপর থেকেই তা বন্ধ ছিল ।

লোকসভা নির্বাচনের পর এলাকায় তৃণমূলের দাপট হ্রাস পায় । পায়ের তলায় মাটি পেয়ে পার্টি অফিস সংস্কারের কাজ শুরু করে CPI(M) । সংস্কার শেষে গতকাল পার্টি অফিসটি খোলা হয় । পরে স্থানীয় CPI(M) নেতা সলিল আচার্য বলেন, "গরিব মানুষের ঐক্য, সংহতি ও সম্প্রীতি নষ্টের মরিয়া চেষ্টা করছে দক্ষিণপন্থীরা । সেই প্রচেষ্টা রুখতে আমাদের আরও বেশি সজাগ থাকতে হবে । ওদের (দক্ষিণপন্থী) বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবেই মানুষকে সঙ্গে নিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের গতি বাড়াতে হবে ।"

Intro:nullBody:জলপাইগুড়িঃ বাম দুর্গ হলেও বিগত সাত বছর ধরে পার্টি অফিস খোলার সাহস হচ্ছিল না।তৃনমুল সরকারের আসার পর থেকেই পার্টি অফিসে কেউ আর ঢোকার সাহস পেত না।লোকসভা নির্বাচনের পর তৃনমুলের ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে বিজেপি জিতেছে জলপাইগুড়ি আসন।পালে হাওয়া পেয়েছে CPIM তাই।দির্ঘ সাত বছর পর পার্টি অফিস খুলল CPIM.। ভারত - বাংলাদেশ সীমান্ত ছোঁয়া কুকুরজান গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাঙামালি দীর্ঘ লড়াই - সংগ্রাম জমির আন্দোলন, কৃষক আন্দোলন, খেতমজুরদের আন্দোলন শানিত হয়েছিল এই বাম দুর্গ থেকে।কিন্তু পরিবর্তনের ঝড়ে এলাকায় একের পর এক ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা, আগুন লাগানো থেকে শুরু করে সন্ত্রাস চালাতে থাকে তৃণমূলীরা, অভিযোগ উঠতে শুরু করে।ক্রমশঃ তৃনমূলীদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছিল এলাকায়।
২০১২ সালের ২০ শে ডিসেম্বর প্রকাশ্য দিবালোকে তৃণমূলীরা এই এলাকায় সিপিআই (এম) র পার্টি দপ্তরে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। দীর্ঘ দিন থেকে বন্ধ থাকে পার্টি অফিস।সাত বছর পর কুকুরজান এলাকার বাসিন্দাদের সহযোগিতায় পার্টি দপ্তর সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়। শনিবার এই দপ্তর খুলে বাম দুর্গে লাল ধ্বজা উড়ল।
এদিন এক সমাবেশে সলিল আচার্য বলেন, " গরিব মানুষের ঐক্য সংহতি সম্প্রীতি রক্ষার স্বার্থে আমাদের আরও বেশি সজাগ থাকতে হবে। গরিব মানুষের ঐক্য ভাঙ্গার মরীয়া চেষ্টা চালাচ্ছে দক্ষিণপন্থীরা। ওদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ভাবেই মানুষকে সঙ্গে নিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গতি বাড়াতে হবে ।"
Conclusion:null
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.