জলপাইগুড়ি, 10 জুলাই: প্রিসাইডিং অফিসারের স্বাক্ষর ছাড়া ব্যালট বাতিল হবে না। গণনা কেন্দ্রের প্রশিক্ষণে কর্মীদের এমনটাই জানানো হয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ 12 জুলাই কমিটির। একেকটি গণনা কেন্দ্রে একেকরকমের নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে বলে জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানালেন সরকারি কর্মীরা। জলপাইগুড়ি সদর, ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ির মতো গণনা কেন্দ্রে প্রশিক্ষণের সময় বলা হয়েছে প্রিসাইডিং অফিসারের স্বাক্ষর ছাড়া ব্যালট বাতিল হবে না। কিন্তু অন্যান্য গণনা কেন্দ্রগুলিতে প্রশিক্ষণে এমন কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি বলেই খবর। কিন্তু জলপাইগুড়িতে কেন এমন নির্দেশিকা দেওয়া হল তা নিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে গণনার আগেরদিন দাঁনা বেঁধেছে বিতর্ক।
-
Ballot papers without the signature of the Presiding Officer and the distinguishing mark rubber stamp affixed at the back of the ballot paper will be considered to be invalid and will not be counted as valid: West Bengal State Election Commission on counting of votes for… pic.twitter.com/VCFr9iWAhb
— ANI (@ANI) July 10, 2023 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">Ballot papers without the signature of the Presiding Officer and the distinguishing mark rubber stamp affixed at the back of the ballot paper will be considered to be invalid and will not be counted as valid: West Bengal State Election Commission on counting of votes for… pic.twitter.com/VCFr9iWAhb
— ANI (@ANI) July 10, 2023Ballot papers without the signature of the Presiding Officer and the distinguishing mark rubber stamp affixed at the back of the ballot paper will be considered to be invalid and will not be counted as valid: West Bengal State Election Commission on counting of votes for… pic.twitter.com/VCFr9iWAhb
— ANI (@ANI) July 10, 2023
অথচ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে এমন কোনও নির্দেশিকা নেই বলেই দাবি 12 জুলাই কমিটির। এদিন কমিটির তরফে জেলাশাসক মৌমিতা গোদারাকে এক স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। কমিটির আহ্বায়ক বাণীব্রত সাহা অভিযোগ করে জানান, আমরা আতঙ্কগ্রস্ত। কারণ, নির্বাচন কমিশন গণনার যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে তাতে কখনোই বলা নেই যে প্রিসাইডিং অফিসারের স্বাক্ষর ছাড়া ব্যালট বাতিল হবে না। আমরা মনে করছি এই ধরনের মৌখিক নির্দেশিকার মাধ্যমে একটা অসৎ উদ্দেশ্যকে বৈধ করা। অবৈধ ব্যালটকে বৈধ করার একটা প্রয়াস করা হচ্ছে বলে মনে করি। একইসঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা মেনেই গণনার কাজ করার দাবি জানানো হয়ে কমিটির তরফে।
পাশাপাশি গণনা কেন্দ্রে ত্রিস্তর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিও জানানো হয় ৷ বহিরাগতরা যাতে কোন ভাবেই গণনা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না-পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। গণনা কেন্দ্রে কর্মীদের কোনওভাবে ভয় দেখানো হলে বা হামলা করা হলে তার দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে বলেও কমিটির তরফে দাবি করা হয়। এছাড়া গণনা কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী রাখা কিংবা গণনার শেষে গাড়ির ব্যবস্থা রাখার দাবি তো রয়েইছে।
আরও পড়ুন: '...এমনটা হতো না', পুত্রশোক বুকে চেপে পুনরায় ভোটাধিকার প্রয়োগ মৃত তৃণমূল কর্মীর মায়ের
এদিকে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা আশ্বাসের সুরে জানিয়েছেন, গণনা কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পরিমাণেই সশস্ত্র বাহিনী এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। নিরাপত্তার কোনও ত্রুটি হবে না। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা মেনেই গণনা হবে জানিয়েছেন জেলাশাসক । জলপাইগুড়ি জেলায় 9টি গণনা কেন্দ্রের জন্য মোতায়েন থাকছে 9 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। মোট ভোটকর্মী প্রায় 3 হাজার।