জলপাইগুড়ি, 20 জানুয়ারি : আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জলপাইগুড়ির বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়ির সম্পত্তি বিক্রির অভিযোগ । এই রাজবাড়ির সম্পত্তির দখল ও বিক্রি করার অভিযোগ তুলল নর্থ ইস্টার্ন ফাউন্ডেশন ফর সোশাল সায়েন্সেস রিসার্চ এবং জলপাইগুড়ি ঐতিহ্য এবং পরিবেশ রক্ষা কমিটি । হেরিটেজের সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য আন্দোলন নামতে চলেছে এই দুই সংগঠন । এই সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য হেরিটেজ কমিশন জেলাপ্রশাসনকে চিঠি দিয়ে সমস্যা সমাধানের আবেদন করেছে ।
রবিবার জলপাইগুড়ি সুভাষ ফাউন্ডেশনে জলপাইগুড়ি রাজবাড়ির হেরিটেজ সম্পত্তিকে বাঁচানোর তাগিদে এক বৈঠক করে ঐতিহ্য এবং পরিবেশ রক্ষা কমিটি । হেরিটেজ বাঁচানোর তাগিদে জলপাইগুড়ির শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষকে নিয়ে গণ আন্দোলন গড়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন জলপাইগুড়ির বিধায়ক তথা এই কমিটির অন্যতম সদস্য সুখবিলাস বর্মা । তাঁর অভিযোগ, "জলপাইগুড়ির রাজবাড়ির সম্পত্তি দখল হয়ে যাচ্ছে । এই সম্পত্তিকে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে অনেকদিন ধরে ।" তিনি আরও বলেন, রাজবাড়ির গেটের সামনে পাথরের দোকান হয়েছে। একটি পেট্রল পাম্প হচ্ছে । কীভাবে হচ্ছে তা আমরা প্রশাসনের কাছে ও হেরিটেজ কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছি । "
সম্প্রতি হেরিটেজ কমিশন জলপাইগুড়ির জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে এই রাজবাড়ি গেটের সামনের এলাকা অক্ষত রাখার দাবি জানিয়েছে । নতুন করে যাতে কোন কনস্ট্রাকশন না হয় বলে জানান সংগঠনের সম্পাদক তথা প্রাক্তন বিধায়ক গোবিন্দ রায় । তিনি আরও বলেন, "রাজবাড়ির সম্পত্তি দখল হয়ে যাচ্ছে । আমরা এটা বন্ধ করতে চাই। জমি মাফিয়া, নির্মাণ মাফিয়ার আগমন এখানে ঘটছে । আমরা হেরিটেজ কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলাম । কমিশন জেলাপ্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে রাজবাড়ির সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য ।"
জলপাইগুড়ির বিধায়ক সুখবিলাস বর্মা বলেন , "জলপাইগুড়ির রাজবাড়ির জায়গাটা দীর্ঘদিন ধরেই দখল চলছে। হেরিটেজ কমিশনও বিষয়টি নিয়ে ভাবছে না । কিছু মানুষ, কিছু সংস্থা এই জায়গাটা বিক্রি করছে । হেরিটেজ কমিশনের কাছে বিষয়টি জানানো হয়েছে । জেলাপ্রশাসনকে হেরিটেজ কমিশন জায়গাটা রক্ষা করার দায়িত্ব দিলেও তারা তা করছে না । "
সম্প্রতি রাজবাড়ির জায়গায় পেট্রল পাম্প হয়েছে । একটি মার্বেল পাথরের দোকানও হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিধায়ক । সুখবিলাস বর্মার অভিযোগ, "রাজবাড়ির যাঁরা এখন আছেন তাঁরা এই জায়গা রক্ষা করবেন মনে করতাম । কিন্তু উলটো হচ্ছে । তাঁদের সম্পত্তি রক্ষার কোনও উদ্যোগ নেই।" সরকার বা হেরিটেজ কমিশন যদি উদ্যোগ না নেয় তাহলে বিষয়টি আর রোখা যাবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন ।