জলপাইগুড়ি, 5 অক্টোবর: প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গ ৷ বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে তিস্তা নদী ৷ তারমধ্যেই নয়া সংকট ৷ তিস্তা নদীতে ভেসে আসা সেনাবাহিনীর যন্ত্রাংশ বাড়িতে এনে খুলতে গিয়ে বিপত্তি । ওই যন্ত্রাংশ খোলার সময় বিস্ফোরণে মৃত একজন । আহত হয়েছেন 5 জন।ঘটনাটি ঘটেছে ক্রান্তি ব্লকের চাপাডাঙ্গা এলাকায় ।
জানা গিয়েছে, সিকিমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে সেনাবাহিনীর অনেক যন্ত্রাংশ-সহ যুদ্ধ সামগ্রী তিস্তার জলে ভাসছে । তিস্তা নদী থেকে উদ্ধার হয়েছে সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত মর্টার-সহ অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র, গাড়ির যন্ত্রাংশ । এনডিআরএফ, সিভিল ডিফেন্স ও পুলিশ কর্মীরা তিস্তা নদী থেকে উদ্ধারকার্যে নেমেছে । বৃহস্পতিবারও একাধিক জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে ৷ যুদ্ধে ব্যবহৃত মেশিন ও গোলা উদ্ধার হয়েছে ।
ঘটনায় মারা গিয়েছে সাইনুর আলম (7) ৷ আহত হয়েছেন লতিফা খাতুন, লাকু মহম্মদ (14), রুকসানা পারভিন, রমজান আলি (65), গুমের আলি (50) ৷ জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে গুমের আলি ও লাকু মহম্মদকে । জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এমএসভিপি ডা: কল্যাণ খাঁ বলেন, ‘‘ব্লাস্ট হয়ে আহত হয়েছে 6 জন । তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে ৷ আহতদের চিকিৎসা চলছে । অবস্থা আশঙ্কাজনক ।’’
আরও পড়ুন: সিকিমের বাঁধ ভেঙে জলস্রোতের ধ্বংসলীলার প্রকৃত কারণ কী ?
ক্রান্তী চাপাডাঙ্গার বাসিন্দা তবিবর রহমান বলেন, ‘‘আমরা কয়েকজন মিলে তিস্তা নদীতে কাঠ কুড়োতে যাই । সে সময় তিস্তা নদীতে কয়েকটা বাক্স পাই । বাকিরা বলছিল এটা শিসা ৷ বিক্রি করলে অনেক টাকা পাব ৷ তা বাড়িতে নিয়ে আসি । বাড়িতে এনে কয়েকজন বলেন, এই জিনিসটি কেটে শিশা বের করলে টাকা পাওয়া যাবে ৷ তারপরেই জিনিসটিতে আঘাত করলেই ফেটে যায় । তারপর কী হয়ে গেল আমি কিছুই জানি না । আমি খুব ভুল করেছি ।’’