জলপাইগুড়ি, 7 সেপ্টেম্বর: জলপাইগুড়ি পৌরসভার (Jalpaiguri Municipality) আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হচ্ছে বিজেপি (BJP) । পাশাপাশি তিনি জানান, সমবায় ব্যাংকের 'স্বাস্থ্য' কী অবস্থায় রয়েছে সেই বিষয়ে তাঁর যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে । যারা ওই ব্যাংকে টাকা রাখেন, তারা টাকা রাখার পরিমাণ কমিয়ে দিন । রাজ্য সরকার যেহেতু 'ভাঁড়ের মা ভবানী' সেই কারণে ওই ব্যাংকের টাকা তুলে নিয়েছে। তাই রাজ্য সরকারের যা অবস্থা, ওই ব্যাংকে টাকার গ্যারান্টি দিতে পারবে কি না জানি না । এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (BJP state president Sukanta Majumdar) ।
আগামী 9 এবং 13 তারিখ বিজেপির কর্মসূচি নিয়ে মঙ্গলবার জেলা কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পরে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন সুকান্ত । শুধু তাই নয়, এদিন শহরের একটি হোটেলে করা সাংবাদিক বৈঠকে জলপাইগুড়ি পৌরসভা থেকে শুরু করে গরু পাচার, নদী থেকে বালিপাচার সমস্ত কিছু নিয়ে সরব হন তিনি । 2011 সাল থেকে পেনশন তহবিলে ভুয়ো বিল জমা করে টাকা তছরূপ করার ঘটনা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান সুকান্ত ।
নবান্ন অভিযানকে সামনে রেখেই মঙ্গলবার কোচবিহারে সাংগঠনিক বৈঠক করে রাতে জলপাইগুড়ি আসেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার । সমবায় ব্যাংকের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, "জলপাইগুড়িতে সমবায় ব্যাংকে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বজনপোষন এবং দুর্নীতি চলছে । কেবল এখানেই নয়, রাজ্যে সমস্ত জেলায় সমবয় ব্যাংকে এই ঘটনা চলছে । শুধু তাই নয়, সমবয় ব্যাংকে যে টাকা ছিল সেটাও রাজ্য সরকার তুলে নিয়েছে। সুতরাং ওই ব্যাংকেরই 'স্বাস্থ্য' বিষয়ে আমার যথেষ্ট সন্ধিহান রয়েছে ।"
সুকান্ত জলপাইগুড়ি পৌরসভার ভুয়ো বিল দিয়ে পেনশন তহবিলের আর্থিক তছরূপের ঘটনা তুলে ধরেন । তিনি বলেন, "কলকাতায় শাসক দলের নেতা মন্ত্রীরা কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি ধরা পড়েছে । এই দুর্নীতির শিকড় জেলা পর্যন্ত বিস্তৃত । জলপাইগুড়ি জেলাও এর বাইরে নয় । জলপাইগুড়ি পৌরসভায় কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে । ওই দুর্নীতি জন্য আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছি । কিন্তু রাজ্য সরকার সিবিআই তদন্ত করবে না । তাই জেলায় দলের পদাধিকারিকদের বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে বলা হয়েছে (BJP to appeal in High Court over financial corruption of Jalpaiguri Municipality) ।"
আরও পড়ুন: ভাবছি সব ছেড়ে মাছ বিক্রি করব, টাকা উদ্ধার প্রসঙ্গে মন্তব্য সুকান্ত'র
সুকান্ত আর বলেন, "শুধু তাই নয়, কয়লা, গরুপাচার এবং নদীর বালি তুলে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে । এই কাজে শাসক দলের নেতারা সরসরি যুক্ত রয়েছে । প্রাথমিকে অযোগ্য প্রার্থীদের টাকা নিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে । আবার শিক্ষকদের বদলির ক্ষেত্রেও আর্থিক লেনদেন হয়েছে ।"