জলপাইগুড়ি, 9 ডিসেম্বর: ডুয়ার্সের চা-বাগানের পর জলপাইগুড়ি মালবাজার শহরে ভাল্লুকের উপস্থিতি নিয়ে চিন্তায় বন বিভাগ (Bear Locality In Jalpaiguri)। ডুয়ার্সের মেটেলি চাবাগানের ভাল্লুক উদ্ধারের পর গত 27 নভেম্বর ভগৎপুর চাবাগানে ভাল্লুক পাওয়া যায়। ঘুমপাড়ানি গুলি করে ধরা হয় ভাল্লুকটিকে। এরপর নেওড়াভ্যালি জাতীয় উদ্যানে ভাল্লুকটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ফের ভাল্লুকের আতঙ্ক ছড়ায় ভগৎপুর চাবাগান এলাকায় ৷ ঘটনাস্থলে যান গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের বনকর্মীরা। ডুয়ার্সে ভাল্লুকের অস্তিত্বের খবর আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে। বনবিভাগ মাইকিং করে মানুষদের সচেতন করছেন।
গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের ডিএফও অংশু যাদব জানান, এটা খুব চিন্তার বিষয় যে এত ভাল্লুক কীভাবে নেমে আসছে সমতলে। এখানে ভাল্লুকের দেখা মোটেই সাধারণ বিষয় নয়। 10-15 দিন ডুয়ার্সের বিভিন্ন চা-বাগানে থেকে শুরু করে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ারে ভাল্লুক পাওয়া গিয়েছে ৷ কেন ভাল্লুক এত নেমে আসছে। এখনই কোনও কিছু বলা যাবে না । যেখানে ভাল্লুক পাওয়া যাচ্ছে, তার থেকে বেশি সংখ্যক মানুষ আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বেশি মানুষ আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ৷ বিষয়টি নিয়ে আমরা কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা অবাক হচ্ছি, পাহাড় থেকে যদি এই ভাল্লুকগুলি নেমে আসে তাহলে এত দূরে কীভাবে আসছে। কোন রুটে আসছে সেটা বলা মুশকিল ৷ কিন্তু, পাহাড় থেকে আসছে এটা নিশ্চিত। জলপাইগুড়ি বন্যপ্রাণী বিভাগের বনকর্মী বিজয় ধর বলেন, "আমরা আগে কোনওদিন ডুয়ার্সে ভাল্লুকের খবর পাইনি। ফলে বনকর্মীদের কাছেও ভাল্লুক উদ্ধার করা একটা চ্যালেঞ্জ। অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে আছে। তবে ভাল্লুককে তার আস্তানায় ফিরিয়ে দেওয়াটাই আমাদের দায়িত্ব।"
আরও পড়ুন: Bear found in Malbazar : বাড়িতে ভালুক, শোরগোল মালবাজারে
গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের অতিরিক্ত বনাধিকারিক জন্মেজয় পাল জানান, ভাল্লুকের আস্তানায় একটা সমস্যা হয়েছে না হলে তারা এইভাবে আসবে না। আরও ভাল্লুক নেমেছে। আমরা সতর্ক আছি। আমাদের নেওড়াভ্যালি জাতীয় উদ্যান পাশেই সিকিমের জাতীয় উদ্যান অন্যদিকে ভুটানের জঙ্গল থেকেও এই ভাল্লুকগুলি আসতে পারে। 25 নভেম্বর মেটেলি চাবাগান এলাকায় ভাল্লুকের দেখা মেলে। যা এই চত্বরে প্রথম। ভাল্লুকটিকে দেখে ছেলেরা ছবি তুলতে গিয়েছিল। ভাল্লুকটি তাদের দেখে আক্রমণ করে। সবাই পালিয়ে গেলেও এক নাবালক পালাতে পারেনি। ভাল্লুকের আক্রমণে মৃত্যু হয় দিবেশ খালকো নামে একাদশ শ্রেণির ছাত্রের। উত্তেজিত জনতা ভাল্লুকটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। এরপর ফের ভগঠপুর চা-বাগানে ভাল্লুকের দেখা মেলে। ফলে আরও যে ভাল্লুক আছে সেটা পরিষ্কার।