জলপাইগুড়ি, 22 জানুয়ারি: রবিবার থেকে গয়েররকাটা স্কুল মাঠে একটি ক্লাবের পক্ষ থেকে ভারত, ভুটান, বাংলাদেশ ও নেপাল এই চার দেশের প্রাক্তন ফুটবলাদের নিয়ে দু'দিনব্যাপী ফুটবল খেলা আজ থেকে শুরু হয়েছিল। এদিন ম্যাচ চলাকালীন খেলতে গিয়ে মাঠে অসুস্থ হয়ে পড়েন বছর পঞ্চান্ন'র বাংলাদেশি খেলোয়াড় হামিস রশিদ ডাব্লু (55)। তাঁকে অসুস্থ অবস্থায় বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন প্রাক্তন ফুটবলারের (Bangladeshi Footballer Died During a Football Match) ৷
ফুটবলারের মৃত্যুকে ঘিরে প্রশ্ন উঠছে, একটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট চলাকালীন মাঠে কোনও অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা ছিল না কেন? একটি বেসরকারি প্রাইভেট গাড়িতে করে তাঁকে এদিন নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। কিন্তু কীভাবে মৃত্যু হয়েছে বিষয়টি এখনও পর্যন্ত পরিষ্কার নয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে মৃতদেহ আগামিকাল জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হবে। পুরো বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে বানারহাট থানার পুলিশ।
এদিন বানারহাট ব্লকের গয়েরকাটা হাইস্কুল মাঠে 22 ও 23 জানুয়ারি গ্রিন ল্যান্ড ডুয়ার্স ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় 12টি দলবিশিষ্ট এবং চার দেশীয় ভেটারেন্স ফুটবল টুর্নামেন্টের। প্রতিযোগিতায় প্রথম দিনে রবিবারে খেলা ছিল বাংলাদেশের সঙ্গে মালদা দলের। খেলা শুরু থেকেই উত্তেজনা ছিল। খেলার মাঝে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মাঠে পড়ে যান ওই বাংলাদেশি খেলোয়াড়। কিন্তু খেলোয়াড়কে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য কোনও অ্যাম্বুলেন্স ছিল না বলে অভিযোগ ওঠে। এমনকী প্রাথমিক চিকিৎসার মতো মেডিক্যাল টিমও ছিল না বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: খেপের মাঠে দেবজ্যোতির মৃত্যু নিয়ে কী বলছেন ফুটবল-কর্তারা
তারপর দ্রুত কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করেন খেলার আয়োজকরা। তারপর অবস্থা আরও বেগতিক হলে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় ওই খেলোয়াড়ের। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক আরমান জানান, মৃত ওই খেলোয়াড়ের বাড়ি বাংলাদেশের আরামবাগ এলাকায়। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী রয়েছেন ৷ রয়েছে এক ছেলে ও এক মেয়ে। প্রাথমিকভাবে অনুমান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের পরই মৃত্য়ুর আসল কারণ জানা যাবে।