জলপাইগুড়ি, ১৭ মার্চ : যারা প্রার্থী দিতে পারে না, যাদের কোনও সংগঠন নেই, অসম থেকে RSS- এর লোক এনে যাদের মিছিল করতে হয়, এজেন্সি দিয়ে পোস্টার লাগাতে হয়, তারা প্রতিপক্ষ হয় কী করে? আজ একথা বলেন অরূপ বিশ্বাস। আজ তিনি জলপাইগুড়িতে সরোজেন্দ্রদেব রায়কত কলাকেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী বিজয় চন্দ্র বর্মণের সমর্থনে আয়োজিত এক সভায় যোগ দেন। সভায় জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতিদের মঞ্চে ডেকে এনে সম্মান জানানো হয়। উপস্থিত ছিলেন সৌরভ চক্রবর্তী, সৈকত চ্যাটার্জি সহ জেলার একাধিক নেতানেত্রী।
আজ অরূপবাবু জলপাইগুড়িতে দলের বুথ, অঞ্চল সভাপতি, নেতা, বিধায়ক,পঞ্চায়েত সদস্য সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, "আমরা সবাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। আমাদের নেত্রী ৪২ শে ৪২ শের ডাক দিয়েছেন। তারজন্য আমরা সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছি। আমারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে দেখলাম আমাদের কতটা কাজ বাকি আছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাকি কাজগুলি শেষ করতে হবে।"
তিনি আরও বলেন, "নরেন্দ্র মোদি উত্তরবঙ্গের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তিনি বলেছিলেন সাতটি চা বাগান অধিগ্রহণ করেন। সাতটি চা বাগানই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খুলে দিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চ, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ , উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস, বিশ্ব বাংলা ক্রীড়াঙ্গণ সহ একাধিক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। তাই জলপাইগুড়ির মানুষ ১৮ এপ্রিল জোড়াফুলে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করে আছে।"
লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলের কর্মীদের প্রস্তুতি সম্পর্কে অরূপবাবু বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৪৮টি সামাজিক প্রকল্প নিয়ে মানুষের কাছে যেতে হবে। যাতে প্রত্যেকে এই প্রকল্পগুলির সুযোগ সুবিধা পায়, তারজন্য আমাদের কর্মীদের সাধারণ মানুষের বাড়িতে গিয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছি।"