ETV Bharat / state

সময়ে আসছে না সোয়াব রিপোর্ট, সমস্যায় জেলা প্রশাসন - সোয়াব রিপোর্ট নিয়ে সমস্যায় প্রশাসন

সোয়াব টেস্টের রিপোর্ট ঠিক সময়ে না আসায় সমস্য়ায় পড়েছে জেলা প্রশাসন । কোরোনা উপসর্গ না থাকায় কোয়ারানটিন থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় বেশ কয়েক জন পরিযায়ী শ্রমিককে । অথচ পরে তাঁদের সোয়াব রিপোর্ট পজ়িটিভ আসায় সমস্যায় পড়েছে জেলা প্রশাসন । সেজন্য জলপাইগুড়ির প্রশাসন চেষ্টা করছে যাতে সোয়াব রিপোর্ট 48 থেকে 72 ঘণ্টার মধ্যে পাওয়া যায় ।

swab report not come timely
সময়ে আসছে না সোয়াব রিপোর্ট
author img

By

Published : Jun 10, 2020, 9:46 PM IST

জলপাইগুড়ি, 10 জুন : সোয়াব টেস্টের রিপোর্ট যাতে 72 ঘণ্টার মধ্যেই জেলায় চলে আসে তার জন্য উদ্যোগী হলেন জেলাশাসক অভিষেক তিওয়ারি। কোরোনা পজ়িটিভ নয় এমন পরিযায়ী শ্রমিকদের যাতে খুব তাড়াতাড়ি কোয়ারানটিন সেন্টার থেকে ছাড়া যায় তারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলায় আসা পরিযায়ী শ্রমিক, পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের সোয়াব টেস্ট করানো হয়েছিল। এখনও সবার টেস্টের রিপোর্ট আসেনি।


জেলাশাসক অভিষেক তিওয়ারি জানান, জেলায় সোয়াব টেস্টের রিপোর্ট অনেক পেন্ডিং রয়েছে। অথচ কোরোনা নেগেটিভ পরিযায়ী শ্রমিকদের কোয়ারানটিন সেন্টার থেকে ছেড়ে দিলে সুবিধা হয়। জেলাশাসক বলেন, "দেখা যাচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের কোয়ারানটিন সেন্টারে 14 দিন থাকা হলেও রিপোর্ট না আসার জন্য হয় তাদের ছেড়ে দিতে হচ্ছে । আবার অনেককে রেখে দেওয়া হচ্ছে। আমরা চাইছি পরিযায়ী শ্রমিকদের খুব তাড়াতাড়ি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তাদের উপসর্গ না থাকলে বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে। এখন বেশির ভাগ কেসই উপসর্গ থাকছে না। যাদের ছাড়া হচ্ছে রিপোর্ট আসার পরে দেখা যাচ্ছে তাদের কয়েকজনের পজ়িটিভ ছিল। ফলে সমস্যা একটা থেকেই যাচ্ছে। আমরা চাইছি এখন থেকে খুব বেশি হলে 48 থেকে 72 ঘণ্টার মধ্যেই যাতে আমরা সোয়াব টেস্টের রিপোর্ট হাতে পেয়ে যাই। ফলে এই সমস্যাটা আর থাকবে না।" আগামী 16 তারিখের মধ্যে ভিন রাজ্য থেকে 9 টি ট্রেনে করে জলপাইগুড়িতে আসবেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। ফলে আগের থেকেই কোয়ারানটিন সেন্টারে থাকা শ্রমিকদের যাতে ছেড়ে দেওয়া যায় তার চেষ্টা করা হচ্ছে।

মাঝেমধ্যেই কোয়ারানটিন সেন্টারে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরা রিপোর্ট না পেয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। 14 দিন থাকার পরেও তাদের ছাড়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠছে। এই সমস্যাগুলো মেটাতে চাইছে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যবিভাগ। এদিকে উত্তরবঙ্গের কোরোনা মোকাবিলার OSD সুশান্ত রায় জানান, আগামী দুই দিনের মধ্যেই রিপোর্ট খুব তাড়াতাড়ি পেতে শুরু করব। আগে যে সমস্যা ছিল সেটা আর থাকবে না।

এদিকে জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত জলপাইগুড়ি জেলায় কোরোনা পজ়িটিভ সাসপেক্টেড 7088 জনের সোয়াব কালেকশন হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত 5374 জনের রিপোর্ট এসেছে। তারমধ্যে মোট 104 জনের কোরোনা পজ়িটিভ ধরা পরেছে। জেলায় ভিনরাজ্য থেকে শ্রমিক এসেছে এখন পর্যন্ত 14879 জন। তার মধ্যে 2944 জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ থেকে।

জলপাইগুড়ি, 10 জুন : সোয়াব টেস্টের রিপোর্ট যাতে 72 ঘণ্টার মধ্যেই জেলায় চলে আসে তার জন্য উদ্যোগী হলেন জেলাশাসক অভিষেক তিওয়ারি। কোরোনা পজ়িটিভ নয় এমন পরিযায়ী শ্রমিকদের যাতে খুব তাড়াতাড়ি কোয়ারানটিন সেন্টার থেকে ছাড়া যায় তারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলায় আসা পরিযায়ী শ্রমিক, পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের সোয়াব টেস্ট করানো হয়েছিল। এখনও সবার টেস্টের রিপোর্ট আসেনি।


জেলাশাসক অভিষেক তিওয়ারি জানান, জেলায় সোয়াব টেস্টের রিপোর্ট অনেক পেন্ডিং রয়েছে। অথচ কোরোনা নেগেটিভ পরিযায়ী শ্রমিকদের কোয়ারানটিন সেন্টার থেকে ছেড়ে দিলে সুবিধা হয়। জেলাশাসক বলেন, "দেখা যাচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের কোয়ারানটিন সেন্টারে 14 দিন থাকা হলেও রিপোর্ট না আসার জন্য হয় তাদের ছেড়ে দিতে হচ্ছে । আবার অনেককে রেখে দেওয়া হচ্ছে। আমরা চাইছি পরিযায়ী শ্রমিকদের খুব তাড়াতাড়ি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তাদের উপসর্গ না থাকলে বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে। এখন বেশির ভাগ কেসই উপসর্গ থাকছে না। যাদের ছাড়া হচ্ছে রিপোর্ট আসার পরে দেখা যাচ্ছে তাদের কয়েকজনের পজ়িটিভ ছিল। ফলে সমস্যা একটা থেকেই যাচ্ছে। আমরা চাইছি এখন থেকে খুব বেশি হলে 48 থেকে 72 ঘণ্টার মধ্যেই যাতে আমরা সোয়াব টেস্টের রিপোর্ট হাতে পেয়ে যাই। ফলে এই সমস্যাটা আর থাকবে না।" আগামী 16 তারিখের মধ্যে ভিন রাজ্য থেকে 9 টি ট্রেনে করে জলপাইগুড়িতে আসবেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। ফলে আগের থেকেই কোয়ারানটিন সেন্টারে থাকা শ্রমিকদের যাতে ছেড়ে দেওয়া যায় তার চেষ্টা করা হচ্ছে।

মাঝেমধ্যেই কোয়ারানটিন সেন্টারে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরা রিপোর্ট না পেয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। 14 দিন থাকার পরেও তাদের ছাড়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠছে। এই সমস্যাগুলো মেটাতে চাইছে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যবিভাগ। এদিকে উত্তরবঙ্গের কোরোনা মোকাবিলার OSD সুশান্ত রায় জানান, আগামী দুই দিনের মধ্যেই রিপোর্ট খুব তাড়াতাড়ি পেতে শুরু করব। আগে যে সমস্যা ছিল সেটা আর থাকবে না।

এদিকে জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত জলপাইগুড়ি জেলায় কোরোনা পজ়িটিভ সাসপেক্টেড 7088 জনের সোয়াব কালেকশন হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত 5374 জনের রিপোর্ট এসেছে। তারমধ্যে মোট 104 জনের কোরোনা পজ়িটিভ ধরা পরেছে। জেলায় ভিনরাজ্য থেকে শ্রমিক এসেছে এখন পর্যন্ত 14879 জন। তার মধ্যে 2944 জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ থেকে।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.