জলপাইগুড়ি, 2 এপ্রিল : কোরোনা পজিটিভদের আইসোলেশন ওয়ার্ড স্যানিটাইজ না করেই তালা মেরে রাখার অভিযোগ উঠল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে । কোরোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতার পরিবারকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল । জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হলেও এখনো সেই ওয়ার্ড স্যানিটাইজ করা হয়নি বলে অভিযোগ ।
কালিম্পঙের কোরোনায় মৃত মহিলার সংস্পর্শে থাকা আত্মীয়দের মধ্যে 4 জন কোরোনায় আক্রান্ত । বুধবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর আতঙ্ক ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের কর্মীদের মধ্যে । মৃত মহিলার আত্মীয়দের গত রবিবার জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল নিয়ে আসার পরে গত পরশুদিন দুপুরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে । কিন্তু দুদিন হয়ে গেলেও এখনও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ৭ তলার আইসোলেশন ওয়ার্ড, করিডোর স্যানিটাইজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ।
মৃতার পরিবারকে শিলিগুড়ি থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে । চারজনের দেখভালের দায়িত্বে থাকা সব স্বাস্থ্য কর্মী বা অন্যান্য কর্মীরা যাঁরা ঘরে কাজ করেছেন তাঁদেরও হোম কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে । অভিযোগ যাঁরা ওই ওয়ার্ডে কাজ করেছেন, তাদের সঙ্গে অন্যান্য কর্মীরাও কাজ করছেন । ফলে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি কোরোনা পজিটিভ রোগীদের ওয়ার্ড করিডোর স্যানিটাইজ করার দাবি যেমন তোলা হয়েছে তেমনই কর্মীদের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোর দাবি উঠেছে। ইতিমধ্যেই হাসপাতালের কর্মীরা নিজেদের সুরক্ষার দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন ।
জেলা হাসপাতাল সুপার ডাঃ গয়ারাম নস্কর বলেন, ‘‘আমরা কোরোনা পজিটিভ রোগীদের আইসোলেশন ওয়ার্ড তালা মেরে রেখেছি । খুব তাড়াতাড়ি স্যানিটাইজ করা হবে । এছাড়া স্বাস্থ্য কর্মীদের একটু সাবধানে থাকতে বলা হয়েছে ।’’