ETV Bharat / state

অর্থনৈতিক সংকটে অপেশাদার যাত্রাশিল্পীরা, চিঠি মুখ্যমন্ত্রীকে

author img

By

Published : Apr 13, 2020, 10:43 PM IST

চৈত্র মাস থেকেই মূলত যাত্রাপালা শুরু হয় ৷ তিনমাস ধরে চলে ৷ কিন্তু লকডাউনের ফলে এই বছর সব বন্ধ ৷ ফলে আর্থিক সংকটের মুখে অপেশাদার যাত্রা শিল্পীরা ৷ তাই তাঁরা তাঁদের দুরবস্থার কথা জানিয়ে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে । তাঁদের আশা রাজ্য সরকার যেভাবে পেশাদার যাত্রাশিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়েছে , সেভাবেই অপেশাদার যাত্রাশিল্পীদের পাশে দাঁড়াবে ।

Yatra artisyt
যাত্রাশিল্পী

হাওড়া , 13 এপ্রিল : চৈত্র , বৈশাখ যাত্রার প্রধান সময় । সারা বাংলা জুড়ে বিভিন্ন জায়গাতে এই সময়ে যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত হয় । কিন্তু এই বছরে সেই যাত্রা বন্ধ ৷ কারণ কোরোনার জেরে দেশজুড়ে লকডাউন চলছে ৷ ফলে সংকটে পড়েছেন যাত্রাপালার সঙ্গে জুড়ে থাকা শিল্পীরা । বছরের শুরুতেই এভাবে যাত্রাপালা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর্থিক লোকসানে এই শিল্প ৷ ফলে তার সঙ্গে যুক্ত শিল্পীরা এখন চরম সংকটে । তাই তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন ৷

এক শিল্পী মামনি মুখোপাধ্যায় জানান , চৈত্র, বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ এই তিন মাস যাত্রার মূল সময় । এই মরশুমেপ উপরে ভরসা করে থাকেন যাত্রা শিল্পীরা । এরপরে আবার সেই দুর্গাপুজোর সময় যাত্রাপালা শুরু হয় ৷ তাই এই তিনটি মাসের রোজগার দিয়েই তাঁদের সারা বছর চলে । কিন্তু কোরোনার জন্য এখন সর্বত্র লকডাউন । তাই যাত্রাপালাও বন্ধ । রোজগারের পথ বন্ধ । তিনি বলেন , কীভাবে সংসার চালাব , সেটাই এখন বড় দুশ্চিন্তার কারণ ।


তিনি আরও বলেন , শুধু হাওড়া জেলাতেই 500-600 জন যাত্রা শিল্পী আছেন ৷ রাজ্যে সেই সংখ্যা প্রায় 15 হাজার । এর মধ্যে আছেন আমেচার যাত্রাশিল্পী । এই আমেচার শিল্পীরা সরকারি খাতায় নাম নথিভুক্ত করেছেন । তাঁরা সরকারি সাহায্য পান । কিন্তু বাকি শিল্পীরা সরকারের থেকে কোনও সাহায্য পান না । তাই রাজ্যের প্রায় 10-15 হাজার পরিবার অর্ধাহারে বা অভুক্ত থেকে যাবে ৷

যেহেতু লকডাউনে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে , তাই লকডাউন ওঠার পরেও দুর্গাপুজোর যাত্রার শো উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি । তাই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন । তাঁর মতো যাত্রা শিল্পীদের পাশে যদি সরকার থাকে ও সাহায্য করে তাহলে সেই পরিবারগুলি বেঁচে থাকতে পারবে ।


পাশাপাশি একই আশঙ্কা আরেক যাত্রা শিল্পী মৌসুমী চক্রবর্তীর গলায় । তিনি জানান , বছর শুরুর তিন মাসের রোজগারের উপরে দাঁড়িয়েই তাঁদের সংসার চলে । এবারে সেই রোজগারের পথ বন্ধ । আর রেশন দোকান থেকে যে পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে, সেটা দিয়ে সংসার চলে না । তার উপরে বিভিন্ন রেশন কার্ড , সেটাও একটা বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে । এখনও কোনও নেতা , মন্ত্রী কারও কাছ থেকে কোনও সাহায্য পাননি । তিনি আরও অভিযোগ করেন, স্থানীয় প্রধানকে ফোন করলে তিনি ফোন ধরেন না । যেহেতু লকডাউন চলছে তাই বাইরে বেরোনো বন্ধ । তাই তিনি আবেদন করেন , যদি রাজ্য সরকার তাঁর মতো অপেশাদার যাত্রাশিল্পীদের সাহায্য করে তাহলে অনেকেরই উপকার হবে । তিনি আক্ষেপ করে জানান , তাঁর কাছে এপ্রিল মাসটুকু চালানোর মতো অর্থ রয়েছে । এপ্রিল মাসের পরে কীভাবে কাটবে তিনি নিজেও জানেন না ।

তাই এই অপেশাদার যাত্রাশিল্পীরা তাঁদের দুরবস্থার কথা জানিয়ে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে । তাঁদের আশা রাজ্য সরকার যেভাবে পেশাদার যাত্রাশিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়েছে , সেভাবেই অপেশাদার যাত্রাশিল্পীদের পাশে দাঁড়াবে সরকার ।

হাওড়া , 13 এপ্রিল : চৈত্র , বৈশাখ যাত্রার প্রধান সময় । সারা বাংলা জুড়ে বিভিন্ন জায়গাতে এই সময়ে যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত হয় । কিন্তু এই বছরে সেই যাত্রা বন্ধ ৷ কারণ কোরোনার জেরে দেশজুড়ে লকডাউন চলছে ৷ ফলে সংকটে পড়েছেন যাত্রাপালার সঙ্গে জুড়ে থাকা শিল্পীরা । বছরের শুরুতেই এভাবে যাত্রাপালা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর্থিক লোকসানে এই শিল্প ৷ ফলে তার সঙ্গে যুক্ত শিল্পীরা এখন চরম সংকটে । তাই তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন ৷

এক শিল্পী মামনি মুখোপাধ্যায় জানান , চৈত্র, বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ এই তিন মাস যাত্রার মূল সময় । এই মরশুমেপ উপরে ভরসা করে থাকেন যাত্রা শিল্পীরা । এরপরে আবার সেই দুর্গাপুজোর সময় যাত্রাপালা শুরু হয় ৷ তাই এই তিনটি মাসের রোজগার দিয়েই তাঁদের সারা বছর চলে । কিন্তু কোরোনার জন্য এখন সর্বত্র লকডাউন । তাই যাত্রাপালাও বন্ধ । রোজগারের পথ বন্ধ । তিনি বলেন , কীভাবে সংসার চালাব , সেটাই এখন বড় দুশ্চিন্তার কারণ ।


তিনি আরও বলেন , শুধু হাওড়া জেলাতেই 500-600 জন যাত্রা শিল্পী আছেন ৷ রাজ্যে সেই সংখ্যা প্রায় 15 হাজার । এর মধ্যে আছেন আমেচার যাত্রাশিল্পী । এই আমেচার শিল্পীরা সরকারি খাতায় নাম নথিভুক্ত করেছেন । তাঁরা সরকারি সাহায্য পান । কিন্তু বাকি শিল্পীরা সরকারের থেকে কোনও সাহায্য পান না । তাই রাজ্যের প্রায় 10-15 হাজার পরিবার অর্ধাহারে বা অভুক্ত থেকে যাবে ৷

যেহেতু লকডাউনে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে , তাই লকডাউন ওঠার পরেও দুর্গাপুজোর যাত্রার শো উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তিনি । তাই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেন । তাঁর মতো যাত্রা শিল্পীদের পাশে যদি সরকার থাকে ও সাহায্য করে তাহলে সেই পরিবারগুলি বেঁচে থাকতে পারবে ।


পাশাপাশি একই আশঙ্কা আরেক যাত্রা শিল্পী মৌসুমী চক্রবর্তীর গলায় । তিনি জানান , বছর শুরুর তিন মাসের রোজগারের উপরে দাঁড়িয়েই তাঁদের সংসার চলে । এবারে সেই রোজগারের পথ বন্ধ । আর রেশন দোকান থেকে যে পরিমাণ খাদ্য সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে, সেটা দিয়ে সংসার চলে না । তার উপরে বিভিন্ন রেশন কার্ড , সেটাও একটা বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে । এখনও কোনও নেতা , মন্ত্রী কারও কাছ থেকে কোনও সাহায্য পাননি । তিনি আরও অভিযোগ করেন, স্থানীয় প্রধানকে ফোন করলে তিনি ফোন ধরেন না । যেহেতু লকডাউন চলছে তাই বাইরে বেরোনো বন্ধ । তাই তিনি আবেদন করেন , যদি রাজ্য সরকার তাঁর মতো অপেশাদার যাত্রাশিল্পীদের সাহায্য করে তাহলে অনেকেরই উপকার হবে । তিনি আক্ষেপ করে জানান , তাঁর কাছে এপ্রিল মাসটুকু চালানোর মতো অর্থ রয়েছে । এপ্রিল মাসের পরে কীভাবে কাটবে তিনি নিজেও জানেন না ।

তাই এই অপেশাদার যাত্রাশিল্পীরা তাঁদের দুরবস্থার কথা জানিয়ে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে । তাঁদের আশা রাজ্য সরকার যেভাবে পেশাদার যাত্রাশিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়েছে , সেভাবেই অপেশাদার যাত্রাশিল্পীদের পাশে দাঁড়াবে সরকার ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.