উদয়নারায়ণপুর (হাওড়া), 5 অক্টোবর : উদয়নারায়ণপুরে জলস্তর কিছুটা নামলেও বন্যা পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি ৷ এখনও জলমগ্ন শতাধিক গ্রাম ৷ এই সমস্ত এলাকা জলমগ্ন হওয়ার কারণে চরম সমস্যায় পড়েছে বারোয়ারি পুজো কমিটি এমনকি বাড়ির পুজোর উদ্যোক্তারাও ৷ জলের মধ্যে পড়ে রয়েছে অসমাপ্ত মণ্ডপ ৷ জল না নামায় মণ্ডপ বাঁধার কাজ শুরু করতে পারছেন না মণ্ডপ কর্মীরা ৷ এমনকি জল পেরিয়ে প্রতিমা মণ্ডপে আনাও প্রায় অসম্ভব ৷ আর এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আদৌ পুজো করা যাবে কি না, সেই নিয়ে দোটানায় রয়েছে পুজো কমিটিগুলি ৷
এক পুজো কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, যতক্ষণ না জল নামছে, তারা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না ৷ এখানকার অধিকাংশ লোকজন চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করেন ৷ দুই মাসের মধ্যে পর দু’বারের বন্যায় তাঁরা আর্থিকভাবে চরম সমস্যায় পড়ছেন ৷ তাঁদের কাছ থেকে চাঁদা পাওয়া বা চাওয়া সম্ভব নয় ৷ ফলে পুজো বন্ধ না হলেও, কোনও মতে শুধু নিয়ম পালন করে দেবীর আরাধনা করা হবে ৷ সেক্ষেত্রে ঘট বসিয়েই এ বছর পুজো সারবেন উদ্যোক্তারা ৷
আরও পড়ুন : Water Crisis : ডিভিসির ছাড়া জল মিশেছে গঙ্গায়, পরিশ্রুত পানীয় পেতে আরও 3 দিন
বাড়ির পুজোগুলিরও একই অবস্থা ৷ কীভাবে জমা জলের মধ্যে পুজোর আয়োজন হবে ? সেই প্রশ্নই ভাবাচ্ছে সদস্যদের ৷ তাঁরাও জানিয়েছেন পুজোগুলির কোনওটা 200 বছর ৷ তো কোনওটা 400 বছরের ৷ আগে বহুবার বন্যা হলেও, পুজো কোনওদিন বন্ধ হয়নি ৷ কিন্তু, এই বছরের পরিস্থিতি খুব খারাপ ৷ তারা জানিয়েছেন আগে জল নামুক, মানুষ বাঁচুক, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক, তার পরেই পুজোর কথা ভাবা হবে ৷
আরও পড়ুন : Weather Forecast : বৃষ্টি কমলেও ঊর্ধ্বমুখী তাপমাত্রা, আর্দ্রতার পরিমাণ বাড়ায় অস্বস্তিকর গরম
এই পরিস্থিতিতে সমস্যায় পড়ছেন প্রতিমা শিল্পীরারাও ৷ তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেক পুজো বন্ধ, প্রতিমার কাজ অনেকটা এগিয়ে গেলেও অনেকই বরাত বাতিল করে দিয়েছে ৷ আর্থিকভাবে তাঁদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে ৷ এলাকার বিধায়ক সমীর পাঁজা বলেন, ‘‘উদয়নারায়ণপুরে মোট 137টি পুজো হয় ৷ অধিকাংশ জায়গাই জলমগ্ন ৷ ফলে পুজো বন্ধ হয়ে গেছে ৷ যে কটা পুজো হবে, তা নমো নমো করে সারা হবে ৷’’
আরও পড়ুন : Colootola Fire : কলুটোলায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পকেট ফায়ারে চিন্তিত দমকল