হাওড়া, 9 এপ্রিল : ভ্যাট চুরির ঘটনা ঘটল হাওড়ায় (Vat Theft In Howrah)। ভ্যাট দখল করে, আলো, পাখা লাগিয়ে সেখানে তৈরি হয়েছে দলীয় কার্যালয়। সাংবাদিকদের দেখেই চেয়ার গুটিয়ে আস্তে আস্তে অফিস ছেড়ে বেরিয়ে যান স্থানীয় কর্মীরা। হাওড়ার পিলখানায় পৌরনিগমের 16 নম্বর ওয়ার্ডে জিটি রোডের উপর ব্রিজ অ্যান্ড রুফ কারখানার গেটের সামনে একটি অত্যাধুনিক ভ্যাট তৈরির পরিকল্পনা নেয় পৌরনিগম। সেই ভ্যাটে গাড়ি ঢুকিয়ে আবর্জনা তুলে আনার ব্যবস্থাও করা হয়। সেই ভ্যাটটি দখল করেই শাসকদলের কার্যালয় বানিয়ে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। হাওড়া পৌরনিগমের মুখ্যপ্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী বলেন, "ভবিষ্যতে হাওড়া শহরকে ভ্যাটমুক্ত করার পরিকল্পনা থাকলেও ভ্যাট দখলমুক্ত করবে পৌরনিগম। এর আগে পৌরনিগমের একটি ভ্যাটকে নিজের বাসস্থান করে ফেলেছিল একটি পরিবার। সেই ভ্যাটকে খালি করে আবার ভ্যাট ফিরিয়ে দিতে বিস্তর কাঠখড় পোড়াতে হয় পৌরনিগমকে। এরপরই আবর্জনা ও ময়লা ফেলার জন্য কেনা হয় 10টি গাড়ি। যে গাড়িগুলি সরাসরি আবর্জনা তুলে নিয়ে ফেলবে বেলগাছিয়া ভাগাড়ে।"
মুখ্যপ্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী আরও বলেন, "যদিও এখনই তা করা সম্ভব না হলেও সেটাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। আপাতত পৌরনিগমের জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজে গতি আনতে 10টির বিশেষ গাড়ি কেনার বরাত দেওয়া হয়েছে। আগামী মাসের মধ্যেই গাড়িগুলি পৌরনিগমের জঞ্জাল বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হবে। পৌরনিগমের নির্দিষ্ট ভ্যাট থেকে এই গাড়িগুলি জঞ্জাল ও আবর্জনা সংগ্রহ করে সরাসরি চলে যাবে বেলগাছিয়ার ভাগাড়ে। মাঝপথে কোথাও আবর্জনা ও ময়লা ফেলার প্রয়োজন হবে না। এই গাড়িগুলিতে প্রাথমিকভাবে ভ্যাটের জায়গাতে রাখা হবে। এই গাড়িতেই সাধারণ মানুষ জঞ্জাল ফেলবেন। এরপর এই আবর্জনা নিয়ে সরাসরি বেলগাছিয়া ভাগাড়ে দিয়ে আসবে এই গাড়িগুলি।"
আরও পড়ুন: ভর গ্রীষ্মেও লিলুয়ায় জমা জলে জেরবার এলাকাবাসী
যদিও বিজেপি নেতা উমেশ রাই সরাসরি চুরির অভিযোগ আনেন শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, "জায়গাটি 16 নম্বর এবং 13 নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যবর্তীস্থানে অবস্থিত। ওখানে পৌরনিগমের ভ্যাট ছিল। সেই ভ্যাটকে তুলে দিয়ে সেখানে একটি নতুন নির্মাণ করছিল পৌরনিগম। এই জায়গাটি পিডব্লুডির জায়গা। হাওড়া পৌরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে নির্মাণ কাজও থমকে যায়। সেই জায়গাতেই শাসকদলের লোকেরা দখল করে তাদের দলীয় অফিস তৈরি করে দিয়েছে। রাত্রে ওইস্থানে অনেক অসামাজিক কার্যকলাপ চলে। পুলিশ প্রশাসন সব জেনেও না জানার ভান করে থাকে।"