হাওড়া, 25 ডিসেম্বর: ডিসেম্বর শেষ হতে চলল তবু দেখা নেই শীতের । তবু বাঙালির কাছে হুজুগটাই যথেষ্ট । জাঁকিয়ে শীত না-পড়লেও এবছর বড়দিন রবিবারে পড়ায় সোনায় সোহাগা । বেরিয়ে পড়েছেন হুজুগে বাঙালি ৷ এর জেরে রবিবার হাওড়া জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে দেখা গেল মানুষের ঢল । বড়দিনের সকাল থেকেই বোটানিক্যাল গার্ডেনে (Botanical Garden) হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমিয়েছেন । রং বেরঙের শীত পোশাক পরে বাচ্চারা চুটিয়ে আনন্দ উপভোগ করছে ।
এ দিন বি গার্ডেনে প্রচুর মানুষ বড়দিনের ছুটিতে পরিবারের সঙ্গে আনন্দ উপভোগে মেতে ওঠেন । আর শহরের কোলাহল থেকে দূরে শান্তিপূর্ণভাবে বড়দিনের রবিবার সাধারণ মানুষ নিজেদের আত্মীয়-পরিজনদের সঙ্গে সময় কাটাতে বেছে নিয়েছেন হাওড়ার বোটানিক্যাল গার্ডেনকেই । ফলে জমজমাট হয়ে ওঠে হাওড়ার এই বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্রটি ।
রবিবার যত বেলা গড়ায় বোটানিক্যাল গার্ডেনে ভিড় বাড়তে থাকে । ডিসেম্বরের রোদ পিঠে মেখে সকলে ঘুরে বেড়ান । কেউ বা আবার শুকনো খাবার নিয়ে এসে গার্ডেনে বসে খেয়ে ছুটি উপভোগ করেন । এখানে পিকনিক করার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো (Thousands of people visit Botanical Garden) ।
জানা গিয়েছে, প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই এখানে পিকনিকের ভিড় শুরু হয়ে যায় । কিন্তু, এবার শীত তেমনভাবে না পড়ায় ডিসেম্বরের বড়দিনের দিনে বহু মানুষ ভিড় করছেন । আর রবিবার হওয়ার কারণে উদ্দীপনা আরও বেশি ।
আরও পড়ুন: বিধিনিষেধের ঘেরাটোপে বড়দিনের মাইথনে পিকনিকের ভিড়
মধ্য হাওড়া থেকে প্রথমবার বোটানিক্যাল গার্ডেনে এসেছেন তৃষা মুখোপাধ্যায় । তিনি বলেন, "বাঙালির শুধু একটা হুজুগ চাই । আর পঁচিশে ডিসেম্বর রবিবার হওয়াতে আমার স্বামীও বাড়িতেই ছিলেন। তাই ছোট্ট বাচ্ছাকে সঙ্গে নিয়ে স্বপরিবারে চলে এসেছি এখানে । প্রথমবার এসেছি বোটানিক্যাল গার্ডেনে ৷ খুব ভালো সময় কাটছে পরিবারের সঙ্গে ।"
অপর এক পর্যটক বিউটি দে বলেন, "দু'বছর এখানে আসতে পারিনি । করোনার পর আবার আজকে এসেছি । একইরকম লাগছে । তবে এখন বোটিং করার ব্যবস্থা বন্ধ করা হয়েছে এটাই পার্থক্য । তবে বড়দিনের দিনে ঠান্ডা আরও পড়লে বেশি মজা হত ।"
আরও পড়ুন: ব্যান্ডেল চার্চে সমস্ত রীতি মেনে যিশুর জন্মদিন পালন
কয়েকদিন পর নতুন বছর ৷ আগামিদিনে এই ভিড় আরও বেশি বাড়বে বলেই স্থানীয় ব্যবসায়ীদের আশা । তাঁরা বলেন, "বছরের এই ক’টি দিনের দিকে আমরা তাকিয়ে থাকি । কারণ, পিকনিক করতে এখানে প্রচুর মানুষ আসেন । বিক্রিবাটা ভালোই হয় । তাই মানুষ যত বেশি সংখ্যায় আসবেন, ততই আমাদের লাভ ।"