আলমপুর, 3 নভেম্বর : ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড আলমপুরে একটি চিপস তৈরির কারখানায়। হাওড়ার আলমপুর এলাকায় জাতীয় সড়কের উপরে ওই কারখানায় এদিন বেলা 12টা নাগাদ বিধ্বংসী আগুন লাগে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারপাশ ৷ এক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও ঘটনাস্থলের মাত্র দু'টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছনোয় প্রাথমিকভাবে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ স্থানীয় তাদের। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দমকলের 20টি ইঞ্জিনের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে ৷
কারখানায় প্রচুর পরিমানে বর্জ্যপদার্থ মজুত থাকার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে বলে জানা গিয়েছে ৷ প্রশাসনের গাফিলতির পাশাপাশি কারখানার অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়েও ক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা । এই শিল্প পার্ক তৈরির সময় অনেক বেনিয়ম হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁদের। এ প্রসঙ্গে মশিলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্য দেবব্রত ভৌমিক জানান, আগুন দেখে তিনিই প্রথম দমকলে খবর দেন। কিন্তু খবর পাওয়ার অনেক দেরিতে এসে পৌঁছয় দমকল। এত বড় আগুন নেভানোর জন্য মাত্র দুটি ইঞ্জিন আসায় ক্ষোভ চেপে রাখতে পারেননি তিনি।
দেবব্রতবাবু আরও দাবি করেন, দমকল বিলম্বে আসার কারণে আগুন বেশি এলাকা গ্রাস করে নেয়। তাঁর অভিযোগ ওই শিল্প তালুকে যথাযথ অগ্নি নির্বাপণের ব্যবস্থারও অভাব রয়েছে। প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার শ্রমিক এই শিল্প তালুকে কাজ করে। যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটে প্রাণহানি ঘটে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি ৷
আরও পড়ুন : খড়্গপুরে ফাইনান্স কর্মীকে গুলি, ছিনতাই প্রায় দেড় লক্ষ টাকা
স্থানীয় বাসিন্দা অলোক কোলের দাবি করেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা খুবই হতাশাজনক। প্রশাসন চুপ করে দাঁড়িয়ে আগুন দেখছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। প্রাথমিকভাবে দমকলের দু'টি ইঞ্জিন আসায় ক্ষোভ চেপে রাখেননি তিনিও। এই আগুন নেভাতে মাত্র দুটি গাড়ি পর্যাপ্ত নয়। পাশাপাশি কারখানাটি জাতীয় সড়কের পাশে হওয়ায় ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
এদিকে, ওই কারখানাতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নির্দেশিকা অনুযায়ী ঠিক ছিল কি না, তা তদন্ত করে দেখবে তারা। ঠিক কী কারণে এই অগ্নিকান্ড ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে শর্টসার্কিট থেকে এই অগ্নিকাণ্ড। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর না থাকলেও প্রচুর পরিমাণে আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করছে প্রশাসন। ঘটনায় কোনও অন্তর্দ্বন্দ্ব আছে কি না, প্রশাসনের তরফে তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে।