হাওড়া, 18 মার্চ: ক্রমশই রাজ্যে বিস্তৃত হচ্ছে নিয়োগ দুর্নীতির জাল ৷ তার বিরুদ্ধে সভা করছে বিজেপি ৷ বৃহস্পতিবার শিয়ালদা স্টেশন চত্বরের পর, শুক্রবার হাওড়া স্টেশনের পোস্ট অফিসের সামনে একটি পথ নাটিকার আয়োজন করা হয়েছিল বিজেপির পক্ষ থেকে ৷ সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্যান্য কার্যকর্তারা (BJP Leader Suvendu Adhikari on TMC)।
এই সভাতেই বক্তব্য রাখতে গিয়েই বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "100 দিনের কাজ নিয়ে আমি যে আপত্তি জানিয়েছিলাম তার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় দল এসেছিল । এবার তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে আজ রাজ্যে ক্যাগ এসেছে । এতে আর তদন্তের কী আছে ? হিঙ্গলগঞ্জের বিডিও তথা উত্তর 24 পরগনার জেলা শাসক 1 কোটি 73 লক্ষ টাকা প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কম্বল বিতরণের অনুষ্ঠানে গাড়ির ভাড়া মিটিয়েছেন । রামপুরহাটের বিডিও বগটুইতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ক্ষতিপূরণের চেক দিয়েছেন সেই টাকাও মিড ডে মিলের জন্য ব্যবহার করেছেন । সেই টাকাও প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে দেওয়া হয়েছে । যতই টুপি বা দস্তানা পরুন না কেন ক্যগ রিপোর্টে চুরি ধরা পড়বেই। পড়ুয়ার সংখ্যা অনেক বেশি দেখিয়ে মিড-ডে-মিলের টাকা তুলেছে । মনরেগারও টাকা চুরি করেছে ।"
এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সভা প্রসঙ্গেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি শুভেন্দু ৷ এই প্রসঙ্গেই তিনি উল্লেখ করেন, আজ সভা নয়, চোরদের গেটটুগেদার ছিল । ওই সভায় পশ্চিমবঙ্গের সাড়ে তিনশো-চারশো চোর এসেছিলেন । এই চোরদের স্রষ্টা এবং কর্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সেখানে কেষ্ট মণ্ডলের গ্রেফতারের জন্য দু’মিনিট নিরবতা পালন করা হয়েছে । সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী লোকসভায় তৃণমূল 1000-এর বেশি আসন পেলে পার্থ চট্টপাধ্যায়কে রাজ্যপালের মতো একটি পদ দেওয়া হবে । এরপর 21 জুলাই মানিক ভট্টাচার্যকে শহিদের সম্মান দেওয়া হবে ।
সেইসঙ্গে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের সঙ্গে আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের কথা বলতে গিয়ে তিনি একটি স্লোগান দিয়ে তাঁর উত্তর দেন । বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, " যাঁর মাথায় দিদির হাত তারা খাচ্ছে জেলের ভাত । এত অপয়া এবং অশুভ লোকের কাছে ভোটের আগে এসেছে ৷ যেটুকু ভবিষৎ আছে শেষ ।"
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতির মাঝেই গ্রুপ সি চাকরিপ্রার্থীদের কাউন্সেলিং, বিজ্ঞপ্তি জারি করল কমিশন
এই সভাতেই বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী জানান , আগামী লোকসভার আগেই সমস্ত আঞ্চলিক দল এক হচ্ছে । 2019 সালেও সব আঞ্চলিক দল এক হয়েছিল । সেই সময় শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে ছিলেন, একটু আপার গ্রেডের কর্মচারী হিসেবে । তখন ব্রিগেডেও এই একই বিষয় নিয়ে বিশাল সভা করা হয়েছিল । সেবারেও মোদিজিকে হারাতে পারেনি । এবার মোদিজি বলেছেন 400 প্লাস । তাই হবে ৷