হাওড়া, 11 সেপ্টেম্বর: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে 13 তারিখ তলব করেছে ইডি। টুইটে এই তলব নিয়ে প্রতিক্রিয়াও দিয়েছেন অভিষেক। ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের দিনই তলব নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তিনি। এবার এই প্রসঙ্গে দলীয় সভা থেকে তাঁকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার সন্ধ্যায় হাওড়ার আন্দুলের দানেশ শেখ লেনের দলীয় সভা থেকে তিনি বলেন, "অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও আলালের দুলাল নন। উনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে, রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের কাছে, তৃণমূলের কোম্পানির কর্মচারীদের কাছে কেউকেটা হতে পারেন। কিন্তু আইনের চোখে উনি সন্দেহভাজন অভিযুক্ত। তাই স্বাভাবিকভাবে এজেন্সি কখন ডাকবে সেটা ওঁকে আগে থেকে জিজ্ঞাসা করা হবে না।"
তিনি আরও বলেন, "পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দিনে পুলিশ বিরোধী দলের পঞ্চায়েত সদস্যদের অফিসের সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছে, এরকম দশটি উদাহরণ দিতে পারি। তাঁদের জেল খাটিয়েছে তৃণমূল। এখন ওদের সঙ্গে একই ঘটনা ঘটছে। তাই দেখতে থাকুন। কেন্দ্রীয় এজেন্সি স্বাধীন সংস্থা। না গেলে কী করা হবে সেটা তারাই বলতে পারবে।"
পাশাপাশি, শনিবার মধ্যরাতে রাজ্যপালের দু'টি চিঠি প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকারের সকলে এখন জি-20'র অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত। তাই তাঁদের প্রতিক্রিয়া কী পদ্ধতিতে আসবে সেটা আমার জানা নেই। তবে ওই চিঠি নবান্নে পৌঁছে গিয়েছে, চিঠি পড়াও হয়ে গিয়েছে। যদিও এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ধামাধরা সংবাদমাধ্যম কিছু বলছে না। ওই চিঠিতে এমন কিছু উল্লেখ আছে যা প্রকাশ্যে এলে দলের বিড়ম্বনা বাড়বে।"
তাঁর কথায়, "আমি বিরোধী দলনেতা। তাই রাজ্যপালকে বলতে পারি না। তবে আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাচ্ছি ওই চিঠি জনসমক্ষে প্রকাশ করা হোক। এই বিষয়টি রাজ্যের সাড়ে দশ কোটি বাসিন্দা জানতে চায় ৷" এছাড়াও শুভেন্দুকে তৃণমূল নেতা সাকেত গোখলের জি-20 আয়োজনের খরচ সংক্রান্ত মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। উত্তরে তিনি বলেন, "পিসি ও ভাইপোর দু'টো টিম চলছে। সাকেত ভাইপোর টিম। মেদিনীপুরের সাংবাদিক গ্রেফতারের ঘটনা যেমন পিসি জানতেন না, এটাও সেরকম।"
আরও পড়ুন: জারি রাজ্যপালের মাঝরাতের পত্র বোমার রহস্য, বাড়ছে রাজনৈতিক তরজা