হাওড়া, 2 এপ্রিল: রাজ্য সরকারের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডিকে ঘেয়ো কুকুর বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শিবপুর সংঘর্ষ কাণ্ডে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য় সরকার ৷ এরপরই রবিবার শিবপুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি ৷ সেখানে গিয়েই c৷
এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, "শিবপুর কাণ্ডে সিআইডি কেমন তদন্ত করবে সেটা জানা আছে। সিআইডি আসলে মুখ্যমন্ত্রীর পোষা কুকুর। তিনি বললে ঘেউ ঘেউ করে, না বললে করে না।" পাশাপাশি সুকান্ত স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যের শাসক দলের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের হত্যাকাণ্ডের তদন্ত 2018 সাল থেকে করছে সিআইডি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই তদন্ত শেষ করতে পারেনি। তিনি বলেন, "আসলে দিদি যা বলেন, ওরা তাই করে।"
রাজ্য় বিজেপির অভিযোগ, শিবপুর কাণ্ডের তদন্তকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এবং যাতে কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থা তদন্ত করতে না এসে যায় তাই তড়িঘড়ি সিআইডিকে এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়ার হয়েছে। তিনি দাবি করেছেন, ওখানে কর্তব্যরত পুলিশদের সরিয়ে দিলেই আসল চেহারা প্রকাশ পেয়ে যাবে ৷ তাঁর আরও অভিযোগ, "ঘটনার দিন যে হার্মাদরা ঢুকে হামলা চালিয়েছিল পরের দিনও পুলিশ নিষ্ক্রিয়ভাবে উপস্থিত থেকে পরোক্ষে সেই হার্মাদদেরকেই হামলা করতে দেয়।" তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, "মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের পুলিশ শাসাচ্ছে। মানুষ কি মমতা বন্দোপাধ্যায় ও পুলিশের কথা শুনে রামনবমীর মিছিলে অংশ নেওয়া বন্ধ করবে ?"
এর সঙ্গেই, মুখ্যমন্ত্রীকে মিথ্যেবাদী বলে তিনি হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেন, "আগামী বছর আরও দ্বিগুণ সংখ্যায় রামনবমীর মিছিল হবে। মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যে কথা বলছেন যে, মিছিলের রুট পরিবর্তণ করা হয়েছিল। কারণ রুটের জন্য অনুমতি পত্র আয়োজকরা প্রকাশ্যে দেখিয়েছেন।" শিবপুরে হিংসাত্মক সংঘর্ষের জন্য তিনি বকলমে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা ও পুলিশকে তাঁর দায়িত্ব পালন করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, "বারবার শিবপুরের পিএম বস্তি ও ফজির বাজার থেকে একই ঘটনা ঘটছে অথচ পুলিশ কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি ৷ যে সব হামলাকারী ছিল ঘটনার দিন তাঁরা কোন সম্প্রদায়ের তা ভিডিয়োগুলোতেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই ঘটনার পরে কেউ মুখ্যমন্ত্রীর উপর ভরসা রাখতে পারবেন না ৷"
আরও পড়ুন: ধনকড়ের মতো সদর্থক ভূমিকা নিতে ব্যর্থ বর্তমান রাজ্যপাল, মন্তব্য শুভেন্দুর
মুখ্যমন্ত্রীকে এদিন শুভেন্দু অধিকারীর মতই 'মূর্খমন্ত্রী' বলেও কটাক্ষ করেন সুকান্ত। তিনি স্পষ্ট দাবি করে বলেন, "এটা পূর্ব পরিকল্পিতভাবেই করানো হয়েছে। রাজ্যের দুর্নীতির ইস্যু থেকে মানুষের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেওয়া এবং সাগরদীঘিতে হেরে যাওয়ার পর সংখ্য়ালঘু ভোটকে নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসতেই পুলিশকে কাজে লাগিয়ে অশান্তি পাকানো হয়েছে ৷"