হাওড়া, 2 এপ্রিল: "মাফিয়া বলে তাকে তো রাস্তায় মেরে দেওয়া যায় না ! তাহলে তো ভাইপোকে সবার আগে মেরে দিতে হয় ! সে তো সবথেকে বড় মাফিয়া !" শক্তিগড় শ্যুটআউট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এমনই বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ৷
রবিবার হাওড়ার শিবপুরে আসেন সুকান্ত ৷ গত বৃহস্পতিবার রামনবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এই এলাকা ৷ ঘটনায় বেশ কিছু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন ৷ তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে এদিন শিবপুরে আসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ৷ কিন্তু, পুলিশ তাঁকে এলাকায় ঢুকতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ ৷ পুলিশের আধিকারিকদের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন সুকান্ত ৷ সেই সময় সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকরা সুকান্তকে নানা বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করেন ৷ তখনই শক্তিগড় শ্যুটআউটে কয়লা মাফিয়া রাজু ঝায়ের খুনের প্রসঙ্গে ওঠে ৷ সুকান্ত সেই খুনের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে সরাসরি আক্রমণ করে বসেন 'ভাইপো'কে !
তথ্যাভিজ্ঞ মহল মনে করছে, 'ভাইপো' বলতে এখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো তথা তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেই বোঝাতে চেয়েছেন বালুরঘাটের সাংসদ ৷ তিনি 'ভাইপো'কে সরাসরি 'সবথেকে বড় মাফিয়া' এবং 'সবার আগে মেরে দিতে হয়' বলেছেন ! প্রশ্ন উঠছে, প্রবল রাজনৈতিক বিরোধিতা থাকলেও একজন জনপ্রতিনিধি এবং রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের পদাধিকারী নেতার মুখে আর একজন জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক নেতা সম্পর্কে এমন মন্তব্য কি কাঙ্ক্ষিত ?
আরও পড়ুন: 'রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে', মমতাকে বিঁধে হাওড়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি সুকান্তর
এদিকে, এদিন শিবপুরে দাঁড়িয়েই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সুকান্ত ৷ পুলিশের বক্তব্য ছিল, যেহেতু এই এলাকায় 144 ধারা কার্যকর রয়েছে, তাই সুকান্ত দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে ঢুকতে পারবেন না ৷ তাতে সুকান্ত পালটা প্রশ্ন তোলেন, তৃণমূলের নেতা ও মন্ত্রীরা যদি ঘটনাস্থলে আসতে পারেন, তাহলে তাঁকে কেন বাধা দেওয়া হবে ? পুলিশের বিরুদ্ধে তাদের সামনে দাঁড়িয়েই পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগ তোলেন সুকান্ত ৷ পুলিশকে তার ন্য়ায্য কর্তব্যও মনে করিয়ে দেন তিনি ৷ মোবাইলে সরাসরি কথা বলেন আক্রান্ত পরিবারগুলির একটির সদস্যদের সঙ্গে ৷ জানান, বিজেপি তাঁদের পাশে রয়েছে ৷ পাশাপাশি, শিবপুরের ঘটনায় এনআইএ এবং প্রয়োজনে সিবিআই তদন্তেরও দাবি তোলেন সুকান্ত ৷