ETV Bharat / state

লকডাউনে পেশা বদল, সংসার চলছে মাস্ক-স্যানিটাইজ়ার বেচে - লকডাউনে পেশা বদল কর্মীদের

কোরোনা ও তার জেরে লকডাউন । যা কেড়েছে বহু মানুষের রুজি-রুটি । তাই সংসার চালানোর জন্য পেশা বদল করতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা । আর কোরোনা ভাইরাসকে হাতিয়ার করে পেশা হিসাবে গ্রহণ করছে মাস্ক , হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার ও গ্লাভসের ব্যবসা ।

Howrah
হাওড়া
author img

By

Published : Jun 28, 2020, 3:47 PM IST

হাওড়া , 27 জুন : চিনে প্রথম মারণ কোরোনা ভাইরাসের হদিস পাওয়া যায় । এরপর ধীরে ধীরে পৃথিবীর 200টি-র বেশি দেশে ছড়িয়ে যায় ভাইরাসের সংক্রমণ । সংক্রমণ থেকে বাঁচতে দেশে দেশে শুরু হয় লকডাউন । 25 মার্চ থেকে দফায় দফায় ভারতে লকডাউন চলে । বর্তমানে চলছে আনলক 1.0 । এই পর্বে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে । স্বাভাবিক হয়েছে পরিষেবা । কিন্তু টানা তিন মাসের লকডাউনে ওলট-পালট হয়ে গেছে বহু মানুষের জীবন । কর্মহীন হয়েছেন অনেকে । আবার অন্যদিকে , ঘরে একেবারে বসে থাকতে হয়নি তাঁদের । বলা যেতে পারে একাংশকে কর্ম জুগিয়েছে কোরোনা ভাইরাস । পেশা বদল করে এই সংকটের সময়ে নতুন উপার্জনের পথ বেছে নিয়েছে একাংশ ।

কেউ কাজ করতেন চটকলে , কেউ অন্য় কারখানায় । সেখানে কাজ করে কোনওরকমে সংসার চলে যেত । কিন্তু কোরোনা ভাইরাসের কারণে হঠাৎ-ই লকডাউন শুরু হয় । যার জেরে সব বন্ধ হয়ে যায় । কাজ হারিয়ে বাড়িতে বসেছিলেন তাঁরা । কিন্ত এভাবে আর কতদিন ? সংসার তো চালাতে হবে । তাই শেষ পর্যন্ত পেশা বদলের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা । যে ভাইরাসের জন্য তাঁরা কাজ হারিয়েছেন , বলা যেতে পারে আজ সেই ভাইরাসকে হাতিয়ার করে নিয়েছেন তাঁরা । কোরোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে অত্যাবশ্যক হল মাস্ক , হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার , গ্লাভস প্রভৃতি । এই সকল সামগ্রী বিক্রি করে রুজি-রুটি জোগাচ্ছেন অনেকে । কলকাতা , হাওড়া , হুগলি প্রভৃতি জায়গায় বিশেষ করে গঙ্গার দুই পাড়ে যে কলকারখানা রয়েছে সেখানকার শ্রমিকরা এইসব সামগ্রী বিক্রি করছেন । তাঁদের খোঁজ নিল ETV ভারত ।

হাওড়ার জুটমিলে দীর্ঘদিন কাজ করেন গুলাম নবি । লকডাউনের কারণে তা বন্ধ থাকায় মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার বিক্রি করছেন । তিনি বলছেন , "ডিসেম্বর থেকে বন্ধ জুটমিল । সংসার চালানোর জন্য মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার বিক্রি করছি । লকডাউনের চতুর্থ দফা থেকেই এই কাজ শুরু করেছি । "

তেমনই আরেকজন চুড়ি ও জামাকাপড় বিক্রেতা গপ । তিনিও একইভাবে মাস্কের পসরা সাজিয়ে বসেছেন । বলেন , " বর্তমানে চারদিকে মাস্কের ব্যবসা । আগে চুড়ি , কাপড়ের ব্যবসা করতাম । মাস্কের চাহিদা দেখে এই ব্যবসা শুরু করেছি । " একই বক্তব্য মিলের কর্মী ভরত সরকারের ।

তবে পেশা বদল করলেও বিক্রি সেইভাবে হচ্ছে না । আগে চাহিদা ছিল । কিন্তু বর্তমানে চাহিদা কিছুটা হলেও কমেছে । তাই বিক্রিও নেই । এমনটাই দাবি বিক্রেতাদের ।

হাওড়া , 27 জুন : চিনে প্রথম মারণ কোরোনা ভাইরাসের হদিস পাওয়া যায় । এরপর ধীরে ধীরে পৃথিবীর 200টি-র বেশি দেশে ছড়িয়ে যায় ভাইরাসের সংক্রমণ । সংক্রমণ থেকে বাঁচতে দেশে দেশে শুরু হয় লকডাউন । 25 মার্চ থেকে দফায় দফায় ভারতে লকডাউন চলে । বর্তমানে চলছে আনলক 1.0 । এই পর্বে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে । স্বাভাবিক হয়েছে পরিষেবা । কিন্তু টানা তিন মাসের লকডাউনে ওলট-পালট হয়ে গেছে বহু মানুষের জীবন । কর্মহীন হয়েছেন অনেকে । আবার অন্যদিকে , ঘরে একেবারে বসে থাকতে হয়নি তাঁদের । বলা যেতে পারে একাংশকে কর্ম জুগিয়েছে কোরোনা ভাইরাস । পেশা বদল করে এই সংকটের সময়ে নতুন উপার্জনের পথ বেছে নিয়েছে একাংশ ।

কেউ কাজ করতেন চটকলে , কেউ অন্য় কারখানায় । সেখানে কাজ করে কোনওরকমে সংসার চলে যেত । কিন্তু কোরোনা ভাইরাসের কারণে হঠাৎ-ই লকডাউন শুরু হয় । যার জেরে সব বন্ধ হয়ে যায় । কাজ হারিয়ে বাড়িতে বসেছিলেন তাঁরা । কিন্ত এভাবে আর কতদিন ? সংসার তো চালাতে হবে । তাই শেষ পর্যন্ত পেশা বদলের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা । যে ভাইরাসের জন্য তাঁরা কাজ হারিয়েছেন , বলা যেতে পারে আজ সেই ভাইরাসকে হাতিয়ার করে নিয়েছেন তাঁরা । কোরোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে অত্যাবশ্যক হল মাস্ক , হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার , গ্লাভস প্রভৃতি । এই সকল সামগ্রী বিক্রি করে রুজি-রুটি জোগাচ্ছেন অনেকে । কলকাতা , হাওড়া , হুগলি প্রভৃতি জায়গায় বিশেষ করে গঙ্গার দুই পাড়ে যে কলকারখানা রয়েছে সেখানকার শ্রমিকরা এইসব সামগ্রী বিক্রি করছেন । তাঁদের খোঁজ নিল ETV ভারত ।

হাওড়ার জুটমিলে দীর্ঘদিন কাজ করেন গুলাম নবি । লকডাউনের কারণে তা বন্ধ থাকায় মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার বিক্রি করছেন । তিনি বলছেন , "ডিসেম্বর থেকে বন্ধ জুটমিল । সংসার চালানোর জন্য মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার বিক্রি করছি । লকডাউনের চতুর্থ দফা থেকেই এই কাজ শুরু করেছি । "

তেমনই আরেকজন চুড়ি ও জামাকাপড় বিক্রেতা গপ । তিনিও একইভাবে মাস্কের পসরা সাজিয়ে বসেছেন । বলেন , " বর্তমানে চারদিকে মাস্কের ব্যবসা । আগে চুড়ি , কাপড়ের ব্যবসা করতাম । মাস্কের চাহিদা দেখে এই ব্যবসা শুরু করেছি । " একই বক্তব্য মিলের কর্মী ভরত সরকারের ।

তবে পেশা বদল করলেও বিক্রি সেইভাবে হচ্ছে না । আগে চাহিদা ছিল । কিন্তু বর্তমানে চাহিদা কিছুটা হলেও কমেছে । তাই বিক্রিও নেই । এমনটাই দাবি বিক্রেতাদের ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.