হাওড়া, 31 ডিসেম্বর: "যারা আমাকে হাওড়াতে ঢুকতে দেবে না বলছে তাদের কতটা গ্রহণযোগ্যতা আছে সেটা যাচাই করা দরকার ৷" এবার দ্বন্দ্ব হাওড়ায় ৷ তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নাম না করে খোঁচা রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের।
2021 সালের নির্বাচনের পর দীর্ঘ দুই বছর পর হাওড়ার বুকে পা রাখলেন রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার বর্ষবরণের একটি অনুষ্ঠানে হাওড়ার সাঁকরাইল এলাকায় আসেন। সেখান থেকেই তিনি বর্তমান হাওড়া সদরের সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করেই তাঁর গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন। তাঁকে হাওড়ায় ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে গত 15 নভেম্বর একটি সভামঞ্চ থেকে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় জোড়ালো দাবি রেখেছিলেন। দীর্ঘ দুই বছর পর ফের রবিবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি স্পষ্টই বলেন, "কে বলেছে এই ধরনের কথা আমার জানা নেই ৷ যদিও যারা বলেছেন তাদের কতটা গ্রহণযোগ্যতা আছে সেটা জানা দরকার। এলাকার কর্মীদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক খোঁজ নিয়ে জেনে নিন।"
এদিন এই প্রসঙ্গে হাওড়া সদর জেলা সভাপতি তথা ডোমজুড়ের বিধায়ক কল্যাণ ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সরাসরি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, "আমাদের সাংগঠনিক জেলা ভিত্তিতে সাঁকরাইল গ্রামীণ হাওড়াতে পরে। তাই এই বিষয়ে গ্রামীণ হাওড়ার সভাপতি তথা বাগনানের বিধায়ক অরুণাভ সেনকে জিজ্ঞাসা করুন।" এদিন ওই অনুষ্ঠানে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ সাঁকরাইলের বিধায়ক এবং হাওড়া সদর সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিত ছিলেন। যদিও তাঁরা দু'জনেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুষ্ঠানে আসার আগেই ঘুরে চলে যান। বিধানসভার ফল ঘোষণার পর নিজের দলে ফিরে এলেও দীর্ঘ দুই বছর পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় হাওড়ায় এলেন। যা নিয়ে ফের জেলা রাজনীতিতে চাঞ্চল্য তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই cনে করছে তৃণমূলেরই একাংশ।
উল্লেখ্য 15 নভেম্বর হাওড়া ডুমুরজলায় ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “কিছু লোক আছে যাঁরা ঠিক নির্বাচনের আগে দল ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। সেই সব লোক হাওড়ায় ঢুকতে পারবে না। হাওড়ায় ঢুকতে দেব না।"
আরও পড়ুন: