ETV Bharat / state

শিবপুর শ্মশানঘাটে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে প্রতীক্ষালয়, ক্ষোভ

author img

By

Published : Aug 8, 2019, 3:19 PM IST

হাওড়া শহরের শিবপুর শ্মশানঘাটে যাত্রী প্রতিক্ষালয় থাকলেও তা বন্ধই পড়ে রয়েছে দীর্ঘদিন ৷ এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শ্মশানযাত্রীরা ৷

ছবি

শিবপুর , 8 অগাস্ট : হাওড়া শহরের শিবপুর শ্মশান ঘাট । দ্বিতীয় হুগলি সেতুর নিচে গঙ্গাপাড়ে অন্যতম প্রধান ঘাট হল এটি । সেখানে মৃতদেহ সৎকারের জন্য শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসে বহু সাধারণ মানুষ । যেহেতু সৎকারে প্রায় 45 থেকে 50 মিনিট সময় লাগে সেহেতু তাদের অপেক্ষা করতে হয় ঘাটসংলগ্ন এলাকায় । তাই তাদের জন্য হাওড়া পৌরনিগমের উদ্যোগে ঘাট সংলগ্ন এলাকায় তৈরি করা হয়েছিল একটি প্রতীক্ষালয় । কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার প্রায় দুই বছর কেটে গেলেও তা বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে ৷ যা নিয়ে ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে শ্মশানযাত্রীদের মধ্যে । কারণ ঝড়-বৃষ্টিতে গাছ কিংবা চায়ের দোকানই তাদের একমাত্র আশ্রয় । অসুবিধায় পড়তে হতে হয় গঙ্গায় স্নান সেরে পোশাক বদলানোরও ক্ষেত্রে । ফলে কেন প্রতীক্ষালয় তৈরি করেও সেটা খোলা হচ্ছে না তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তারা ।


দীর্ঘদিন ধরেই কোনও প্রতীক্ষালয় ছিল না শিবপুর বার্নিং ঘাটে । ফলে ঝড়-বৃষ্টির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপদে পড়তে হত শ্মশানযাত্রীদের । এছাড়া তীব্র গরমের দাবদাহ তো রয়েছেই । ফলে সৎকারে আসা সাধারণ মানুষকে বহু সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় । এই অবস্থায় যাত্রীদের জন্য একটি প্রতীক্ষালয় তৈরির উদ্যোগ নেয় হাওড়া পৌরনিগম । একটি বেসরকারি ট্রাস্টের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে 2017 সালে শিবপুর শ্মশানঘাট সংলগ্ন গঙ্গার পাড়ে তৈরি হয় প্রতীক্ষালয়টি ।

এরপর কেটে গিয়েছে প্রায় দুই বছর । কিন্তু এখনও তালা বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে সেই প্রতীক্ষালয় । মাঝেমধ্যে সাফাইয়ের জন্য খোলা হলেও সাধারণ মানুষ সেখানে বসতে পারে না । হাওড়া পৌরনিগমের কমিশনার বিজিন কৃষ্ণার বলেন, "স্থানীয় সমস্যার জন্য ওই প্রতীক্ষালয়টি তৈরির পরও বন্ধ পড়ে ছিল । বিষয়টি আমার কাছেও এসেছে । কিন্তু ওটা নিয়ে সেভাবে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি ৷ ওই ঘরটিকে কীভাবে খুব শীঘ্রই খোলা যায় তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে । সেটির রক্ষণাবেক্ষণ, নিরাপত্তা ও আরও কয়েকটি বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে । তারপরই খোলা হবে ঘরটি । "

আরও পড়ুন : দাউ দাউ করে জ্বলল আগুন, পুড়ল জগন্নাথঘাট

এদিকে শ্মশানে এসে সমস্যায় পড়তে হয় বলে অভিযোগ যাত্রীদের । জগাছার বাসিন্দা উত্তম দাসের বক্তব্য, "প্রতিবেশী কেউ মারা গেলে এখানে সৎকার করতে আসি । প্রত্যেকবার এসে দেখি ঘরটি তালা বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে । এই বর্ষায় বৃষ্টিতে চায়ের দোকানে আশ্রয় নিতে হয় বাধ্য হই । পৌরসভার এবিষয়ে একটু নজর দেওয়া উচিত । " অন্য এক শ্মশান যাত্রী মধুমিতা দত্তের অভিযোগ, আগে বার্নিং ঘটে মহিলারা আসত না । আজকাল আসে । অনেকেই গঙ্গায় স্নান করে । সেক্ষেত্রে তাদের পোশাক বদলানোর জন্য ঘর প্রয়োজন । ওই ঘরটি খোলা থাকলে সেই সুবিধা পাওয়া যেত । অনেক সময় রাতে এসেও উপায় না থাকায় রাস্তাতেই বসতে হয় ।

শিবপুর , 8 অগাস্ট : হাওড়া শহরের শিবপুর শ্মশান ঘাট । দ্বিতীয় হুগলি সেতুর নিচে গঙ্গাপাড়ে অন্যতম প্রধান ঘাট হল এটি । সেখানে মৃতদেহ সৎকারের জন্য শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসে বহু সাধারণ মানুষ । যেহেতু সৎকারে প্রায় 45 থেকে 50 মিনিট সময় লাগে সেহেতু তাদের অপেক্ষা করতে হয় ঘাটসংলগ্ন এলাকায় । তাই তাদের জন্য হাওড়া পৌরনিগমের উদ্যোগে ঘাট সংলগ্ন এলাকায় তৈরি করা হয়েছিল একটি প্রতীক্ষালয় । কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার প্রায় দুই বছর কেটে গেলেও তা বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে ৷ যা নিয়ে ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে শ্মশানযাত্রীদের মধ্যে । কারণ ঝড়-বৃষ্টিতে গাছ কিংবা চায়ের দোকানই তাদের একমাত্র আশ্রয় । অসুবিধায় পড়তে হতে হয় গঙ্গায় স্নান সেরে পোশাক বদলানোরও ক্ষেত্রে । ফলে কেন প্রতীক্ষালয় তৈরি করেও সেটা খোলা হচ্ছে না তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তারা ।


দীর্ঘদিন ধরেই কোনও প্রতীক্ষালয় ছিল না শিবপুর বার্নিং ঘাটে । ফলে ঝড়-বৃষ্টির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপদে পড়তে হত শ্মশানযাত্রীদের । এছাড়া তীব্র গরমের দাবদাহ তো রয়েছেই । ফলে সৎকারে আসা সাধারণ মানুষকে বহু সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় । এই অবস্থায় যাত্রীদের জন্য একটি প্রতীক্ষালয় তৈরির উদ্যোগ নেয় হাওড়া পৌরনিগম । একটি বেসরকারি ট্রাস্টের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে 2017 সালে শিবপুর শ্মশানঘাট সংলগ্ন গঙ্গার পাড়ে তৈরি হয় প্রতীক্ষালয়টি ।

এরপর কেটে গিয়েছে প্রায় দুই বছর । কিন্তু এখনও তালা বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে সেই প্রতীক্ষালয় । মাঝেমধ্যে সাফাইয়ের জন্য খোলা হলেও সাধারণ মানুষ সেখানে বসতে পারে না । হাওড়া পৌরনিগমের কমিশনার বিজিন কৃষ্ণার বলেন, "স্থানীয় সমস্যার জন্য ওই প্রতীক্ষালয়টি তৈরির পরও বন্ধ পড়ে ছিল । বিষয়টি আমার কাছেও এসেছে । কিন্তু ওটা নিয়ে সেভাবে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি ৷ ওই ঘরটিকে কীভাবে খুব শীঘ্রই খোলা যায় তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে । সেটির রক্ষণাবেক্ষণ, নিরাপত্তা ও আরও কয়েকটি বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে । তারপরই খোলা হবে ঘরটি । "

আরও পড়ুন : দাউ দাউ করে জ্বলল আগুন, পুড়ল জগন্নাথঘাট

এদিকে শ্মশানে এসে সমস্যায় পড়তে হয় বলে অভিযোগ যাত্রীদের । জগাছার বাসিন্দা উত্তম দাসের বক্তব্য, "প্রতিবেশী কেউ মারা গেলে এখানে সৎকার করতে আসি । প্রত্যেকবার এসে দেখি ঘরটি তালা বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে । এই বর্ষায় বৃষ্টিতে চায়ের দোকানে আশ্রয় নিতে হয় বাধ্য হই । পৌরসভার এবিষয়ে একটু নজর দেওয়া উচিত । " অন্য এক শ্মশান যাত্রী মধুমিতা দত্তের অভিযোগ, আগে বার্নিং ঘটে মহিলারা আসত না । আজকাল আসে । অনেকেই গঙ্গায় স্নান করে । সেক্ষেত্রে তাদের পোশাক বদলানোর জন্য ঘর প্রয়োজন । ওই ঘরটি খোলা থাকলে সেই সুবিধা পাওয়া যেত । অনেক সময় রাতে এসেও উপায় না থাকায় রাস্তাতেই বসতে হয় ।

Intro:হাওড়া শহরের শিবপুর শ্বশ্মান ঘাট। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর নীচে গঙ্গার পাড়ে এই বার্নিং ঘাট অন্যতম প্রধান শ্বশ্মান ঘাট। সেখানেই মৃতদেহ সৎকারের জন্য শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসেন বহু সাধারণ মানুষ। যেহেতু সৎকারে প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ মিনিট সময় লাগে সেহেতু তাদের অপেক্ষা করতে হয় ঘাট সংলগ্ন এলাকাতেই। তাই তাদের জন্যই হাওড়া করপোরেশনের উদ্যোগে ঘাট সংলগ্ন এলাকায় তৈরি করা হয়েছিল একটি প্রতিক্ষালয়। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার প্রায় ২ বছর কেটে গেলেও বন্ধই পরে রয়েছে। যা নিয়ে ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে শ্বশ্মান যাত্রীদের মধ্যে। কারণ ঝড় জল বৃষ্টিতে গাছ কিংবা চায়ের দোকানই তাদের একমাত্র আশ্রয়। অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় গঙ্গায় স্নান সেরে জামা কাপড় বদলানোর ক্ষেত্রে। ফলে কেন প্রতিক্ষালয় তৈরি করেও সেটা খোলা হচ্ছে না তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তারা।


Body:দীর্ঘদিন ধরেই নির্দিষ্ট কোনও শ্বশ্মান যাত্রী প্রতিক্ষালয় ছিল না শিবপুর বার্নিং ঘাটে। ফলে ঝড় বৃষ্টির মত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপদে পড়তে হত শ্বশ্মান যাত্রীদের। এছাড়া তীব্র গরমের দাবদাহ তো রয়েছেই। ফলে সৎকারে আসা সাধারণ মানুষকে বহু সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। এমতাবস্থায় যাত্রীদের জন্য একটি প্রতিক্ষালয় তৈরির উদ্যোগ নেয় হাওড়া পৌর নিগম। একটি বেসরকারি ট্রাস্টের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে শিবপুর শ্বশ্মান ঘাট সংলগ্ন গঙ্গার পাড়ে তৈরি হয় যাত্রী প্রতিক্ষালয়। সাল ২০১৭। এরপর কেটেছে প্রায় ২বছর। কিন্তু এখনও তালা বন্ধই পড়ে রয়েছে সেই প্রতিক্ষালয়। মাঝেমধ্যে সাফাইয়ের জন্য খোলা হলেও সাধারণ মানুষ সেখানে বসতে পারেন না। হাওড়া পুর নিগমের কমিশনার বিজিন কৃষ্ণার বক্তব্য, একটা স্থানীয় সমস্যার জন্য ওই প্রতিক্ষালয় তৈরির পরেও বন্ধ পড়ে ছিল। বিষয়টি আমার কাছেও এসেছে। কিন্তু তার পর ওটা নিয়ে সেভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বা উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে তালা বন্ধই পড়ে রয়েছে। ওই ঘরটিকে কিভাবে খুব শীঘ্রই ঠিক থাকে ভাবে চালানো যায় তা নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেটির রক্ষনাবেক্ষন, নিরাপত্তা ও আরও বেশকিছু বিষয় নিয়ে কয়েকটি সিদ্ধান্তের প্রয়োজন। সেগুলিকে সিদ্ধান্তের রূপান্তর করতে পারলেই খোলা হবে ঘরটি। এদিকে ঘর না থাকায় নিত্য সমস্যায় পড়তে হয় বলে অভিযোগ যাত্রীদের। জগাছার বাসিন্দা উত্তম দাসের বক্তব্য, প্রতিবেশী কেউ মারা গেলে এখনই সৎকার করতে আসি। প্রত্যেকবারই এসে দেখি শ্বশ্মান যাত্রী প্রতিক্ষালয় লেখা ঝাঁ চকচকে ঘরটি তালা বন্ধ। এই বর্ষায় বৃষ্টিতে চায়ের দোকানে আশ্রয় নিতে হয় বাধ্য হয়েই। পুরসভার এবিষয়ে একটু নজর দেওয়া উচিত। অন্য এক শ্মশান যাত্রী মধুমিতা দত্তের অভিযোগ, আগে বার্নিং ঘটে মহিলারা আসতেন না। আজকাল আসেন। অনেককেই গঙ্গায় স্নানও করতে হয়। সেক্ষেত্রে তাদের জামা কাপড় পাল্টাতেও একটা ঘরের প্রয়োজন। ওই ঘরটি খোলা থাকলে হয়ত সেই সুবিধা পাওয়া যেত। কিন্তু সেই ঘর তালাবন্ধই। এছাড়াও রাত বিরেতে আসতে হলে তো রাস্তায় বসা যায়না। সেক্ষেত্রে উপায় না থাকায় রাস্তাতেই বসতে হয়।


Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.