হাওড়া, 22 মার্চ : চলতি অর্থবর্ষে সম্পত্তি কর বাবদ উপার্জন বেড়েছে ৷ দাবি করলেন হাওড়া পৌরনিগমের মুখ্যপ্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী । তিনি বলেন, "গত বছরের তুলনায় এবছর বেশি সংখ্যক মানুষ আমাদের কাছে এসে সম্পত্তি কর জমা দিয়েছেন ৷ এখনও অনেক মানুষ আসছেন ৷" তাই গত বছরের তুলনায় এখনও পর্যন্ত বেশি রোজগার হয়েছে, জানালেন মুখ্যপ্রশাসক (Property tax income of Howrah Municipal Corporation increases, claims Administrator) ৷
পৌরনিগমের তরফে এলাকাবাসীর কাছে সম্পত্তি করের জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে ৷ তারা পৌরনিগমের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, জানালেন মুখ্যপ্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী ৷ তিনি বলেন, "আমরা মানুষের থেকে খুব পজ়িটিভ ফিডব্যাক পাচ্ছি ৷ মানুষও বুঝতে পারছে এই সম্পত্তি কর দেওয়া উচিত ৷ তা না হলে পৌরনিগম কাজ করতে পারবে না ৷’’
গত অর্থবর্ষে সম্পত্তিকর বাবদ আনুমানিক 17-18 কোটি টাকা আয় হয়েছিল হাওড়া পৌরনিগমের ৷ এই অর্থবর্ষে তার পরিমাণ 23 কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে জানালেন সুজয় চক্রবর্তী ৷ সম্পত্তি কর আদায় করতে মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে পৌরনিগমের বিশেষ দল ৷ 45-50 নম্বর ওয়ার্ডে পৌরনিগমের কর্মীরা গিয়েছেন, বিশেষত আবাসনগুলিতে জোর দেওয়া হচ্ছে ৷ মুখ্যপ্রশাসকের দাবি, এতে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া মিলেছে ৷
আরও পড়ুন : Corporation Election 2022 : পৌরনিগমের ভোটে কেন বাদ হাওড়া, রাজ্য ও কমিশনের কাছে জবাব তলব হাইকোর্টের
শহর এলাকায় পার্কিং ব্যবস্থায় টেন্ডার, টেন্ডারের লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ থেকেও আয় হয়েছে হাওড়া পৌরনিগমের । পাশাপাশি রয়েছে হোর্ডিং ৷ তবে তাঁর দাবি, তারা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছনোর চেষ্টা করলেও কেন্দ্রের বঞ্চনা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে । তাঁর অভিযোগ, জিএসটি-র অধিকাংশ টাকাই এখনও কেন্দ্রীয় সরকার দেয়নি ৷ দিল্লি থেকে বরাদ্দ অর্থ না আসায় একটা অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে ৷
মুখ্যপ্রশাসকের সব দাবি নস্যাৎ করে জেলা বিজেপি নেতা উমেশ রাই পাল্টা দাবি করেন, এই পৌরনিগম বেআইনি নির্মাণ থেকে কোটি কোটি টাকা আদায় করেছে । আর পার্কিং-সহ অন্য বিভাগ থেকেও যে অর্থ আয়ের কথা, তা হাওড়া পৌরনিগমের হাতে না এসে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে চলে যাচ্ছে । তৃণমূলের নেতা ও কর্মীরা সেখান থেকে তোলা তোলে বলে অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা । হোর্ডিং বিভাগের মেয়র পারিষদ অবৈধ হোর্ডিং লাগানোর অনুমতি দিয়ে টাকা কামিয়েছেন বলে দাবি করেন উমেশ রাই ।
বিজেপি নেতার আরও অভিযোগ, হাওড়া পৌরনিগমের কোনও অডিট হয়নি । যদিও এই দাবি উড়িয়ে সুজয় চক্রবর্তী বলেন, "অডিট বন্ধ ছিল, এমন কোনও খবর আমার কাছে নেই ৷"