কলকাতা, 27 জানুয়ারি: রাজ্যে স্যালাইন-কাণ্ডে ফের সক্রিয় রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সিআইডি । এবার স্যালাইন-কাণ্ডের জেরে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় দীর্ঘ সময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের আরএমও-কে । চিকিৎসক সৌমেন দাসকে ভবানী ভবনে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি ।
এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিআইডির এক আধিকারিক বলেন, "তদন্তের স্বার্থে এই সব চিকিৎসকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা এবং তাঁদের বয়ান বা বক্তব্য রেকর্ড করে তা যাচাই করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ৷"
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে সেখানকার 13 জন ডাক্তারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে । প্রথমে মোট 6 জন সিনিয়র ডাক্তার এবং 6 জন জুনিয়র ডাক্তারকে সাসপেন্ড করেছিল রাজ্য সরকার । এঁদের মধ্যে রয়েছেন মেদিনীপুর মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালের সুপারও । এরপরে আরও একজন জুনিয়র ডাক্তারকে সাসপেন্ড করা হয় ৷
তবে মেদিনীপুরে স্যালাইন-কাণ্ডে ভবানী ভবনে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ এই প্রথম নয় । এর আগে, গত শনিবার স্যালাইন-কাণ্ডের জেরে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় হিমাদ্রি নায়ক এবং দিলীপকুমার পালকে ডেকে ডিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন সিআইডির আধিকারিকরা । এই দুই চিকিৎসক ঘটনার দিন অপারেশন থিয়েটারে ছিলেন । প্রত্যেক চিকিৎসকের নামে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করেছে সিআইডি ।
মূলত আজ চিকিৎসক সৌমেন দাসের থেকে যে সব তথ্য সিআইডির আধিকারিকরা পাবেন, তাকে সামনে রেখে বাকি চিকিৎসকদের ক্রস কোয়েশ্চেনিংয়ের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন সিআইডির আধিকারিকরা । তাঁরা যে প্রশ্নগুলির উত্তর পাওয়ার চেষ্টা করছেন তা হল, কীভাবে ওই প্রসূতির মৃত্যু হল ? অপারেশন থিয়েটারে এত অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা থাকাকালীন কীভাবে এই ঘটনা ঘটল ? প্রসূতিকে কোন ওষুধ দেওয়া হবে, কোন স্যালাইন দেওয়া হবে সেইগুলি কারা ঠিক করেন ? ঠিক করা ওষুধের লিস্ট কেন মিলিয়ে দেখলেন না চিকিৎসকরা ?
এছাড়াও এই সব চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ উঠে এসেছে যে তাঁরা সরকারি চাকরি করলেও তার বাইরে বেসরকারি জায়গায় রোগী দেখেন । এই বিষয়টিও ভালোভাবে খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা ।