বেলুড়, 15 মে: কলকাতা সফরে এসেছেন মরিশাসের রাষ্ট্রপতি পৃথ্বীরাজ সিং রূপন ৷ তিনদিনের ব্যক্তিগত সফরে সস্ত্রীক তিলোত্তমায় এসেছেন মরিশাস প্রজাতন্ত্রের প্রধান। কলকাতা সফরে এসে সোমবার মরিশাসের রাষ্ট্রপতি পুজো দিলেন দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে ৷ গেলেন বেলুড় মঠেও ৷ তাঁকে ফুলের স্তবক দিয়ে স্বাগত জানান মঠের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ মহারাজ।
মরিশাসের রাষ্ট্রপতি পৃথ্বীরাজ সিং রূপন সোমবার সকালে প্রথমে যান দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে ৷ তাঁকে স্বাগত জানাতে দক্ষিণেশ্বর উপস্থিত ছিলেন মন্দিরের অছি কুশল চৌধুরী। দক্ষিণেশ্বরে মন্দিরে সস্ত্রীক পুজো দেন মরিশাসের রাষ্ট্রপতি পৃথ্বীরাজ ৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন গভর্নিং কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন ও 'খোলা হাওয়া'র সভাপতি ডঃ স্বপন দাশগুপ্ত । পুজো দেওয়ার পাশাপাশি পৃথ্বীরাজ সিং রূপন ঘুরে দেখেন মন্দির চত্বর ৷ যান শিবমন্দিরগুলিতেও ৷ এরপর বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান গঙ্গার ঘাট পরিদর্শনে ৷ এরপরেই তিনি চলে আসেন বেলুড় মঠে ৷ তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন বেলুর মঠের মহারাজরা ৷
বেলুড় মঠে মরিশাসের রাষ্ট্রপতি পৌঁছালে তাঁকে ফুলের স্তবক দিয়ে স্বাগত জানান মঠের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ মহারাজ। এরপর মঠে শ্রীরামকৃষ্ণের প্রধান মন্দির-সহ স্বামীজির বাসভবন, মা সারদার মন্দির ঘুরে দেখেন মরিশাসের রাষ্ট্রনেতা। এরপর দশটা পঞ্চাশ মিনিটে তিনি মঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান। মরিশাসের রাষ্ট্রপতির কলকাতা সফর প্রসঙ্গে ড: স্বপন দাশগুপ্ত বলেন, "এমন একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত যাঁর পূর্বপুরুষের মাতৃভূমি ছিল কলকাতা, তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো আমাদের পরম সৌভাগ্যের ব্যাপার।" মূলত, কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট-এ মেমোরিয়াল ফর ইনডেনচার্ড লেবারার্স থেকে মরিশাসের রাষ্ট্রপতি পৃথ্বীরাজ সিং রূপনকে সম্মাননা দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, কলকাতায় একটি নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে মরিশাসের রাষ্ট্রপতির।
আরও পড়ুন: কালীঘাটে ফিরছে জনতার দরবার, অভিযোগ শুনবেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি
প্রসঙ্গত, মরিশাসের রাষ্ট্রপতি মরিশাস প্রজাতন্ত্রের প্রধান সাংবিধানিক পদে রয়েছেন। এই দেশে রয়েছে সংসদীয় প্রজাতন্ত্র। সে দেশে রাষ্ট্রপতির ভূমিকা আনুষ্ঠানিক হলেও মরিশাসের সপ্তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে পৃথ্বীরাজ দায়িত্ব নিয়েছিলেন 2019 সালের 2 ডিসেম্বর। পৃথ্বীরাজ সিং রূপন একজন আইনজীবী। যিনি 2000 সালে প্রথম জাতীয় পরিষদে নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং তিনি শিল্প ও সংস্কৃতি, সামাজিক সংহতি এবং আঞ্চলিক প্রশাসনের মন্ত্রী ছিলেন।